Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ডঃ সুশীল কুমার ধাঁড়ার ১১৩ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপনে ১১৭ জন টিবি রুগিকে উপহার সামগ্রী প্রদান

ডঃ সুশীল কুমার ধাঁড়ার ১১৩ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপনে  ১১৭ জন টিবি রুগিকে উপহার সামগ্রী প্রদান

মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতি ও স্বামী প্রজ্ঞানানন্দ স্মৃতির রক্ষা সমিতির আয়োজনে সর্বজন শ্রদ্ধেয় ডঃ সুশীল কুমার ধাঁড়া মহাশয় ১১৩ তম জন্ম জয়ন…

 


ডঃ সুশীল কুমার ধাঁড়ার ১১৩ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপনে  ১১৭ জন টিবি রুগিকে উপহার সামগ্রী প্রদান



মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতি ও স্বামী প্রজ্ঞানানন্দ স্মৃতির রক্ষা সমিতির আয়োজনে সর্বজন শ্রদ্ধেয় ডঃ সুশীল কুমার ধাঁড়া মহাশয় ১১৩ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠান। বর্তমান প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতা সংগ্রামী বিপ্লবী সুশীলকুমার ধাড়ার কর্মকান্ড তুলে ধরতে প্রতিবছরের মতো এবছর স্বাধীনতা সংগ্রামী সুশীলকুমার ধাড়ার ১১৩ তম উদযাপন করা হয়। বৃহস্পতিবার মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতি ও স্বামী প্রঞ্জানানন্দ স্মৃতি রক্ষা সমিতির উদ্যোগে জন্মজয়ন্তী উদযাপন করা হয়। প্রাঞ্জানানন্দ স্মৃতি রক্ষা সমিতির ভবনে জন্ম জয়ন্তীর অনুষ্ঠান পালিত হয়। সুশীলকুমার ধাড়ার প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করার পাশাপাশি  স্মৃতি চারণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দিনটিকে পালন করা হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী চিত্তরঞ্জন সামন্ত, মহিষাদলের বিধায়ক তিলককুমার চক্রবর্তী,  বিডিও যোগেশচন্দ্র মন্ডল, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিউলি দাস, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক হরিপদ মাইতি,  স্বামী প্রঞ্জানান্দ স্মৃতি রক্ষা সমিতির সভাপতি সম্পাদক শীতলপ্রসাদ বাগ সহ অন্যান্যরা। 

প্রসঙ্গত,১৯১১ সালের ২ মার্চ অবিভক্ত  পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের অদূরে অবস্থিত মহিষাদলের টিকারামপুরে সুশীল কুমার ধাড়া জন্মগ্রহণ করেছিলেন। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই তিনি জড়িয়ে পড়েছিলেন রাজনীতির সঙ্গে। ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় গঠিত তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের যুদ্ধ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। তমলুকের এই সমান্তরাল সরকারের "বিদ্যুৎ বাহিনী" নামক সশস্ত্র সেনাদলের সর্বাধিনায়কও ছিলেন সুশীল ধাড়া। ১৯৪৪ সালে ব্রিটিশ সরকার সুশীল ধাড়াকে জীবিত অথবা মৃত অবস্থায় ধরে দেওয়ার জন্য দশ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে। ব্রিটিশ আমলে তিনি বারো বছর চার মাস জেল খেটেছিলেন।

স্বাধীন ভারতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে একাধিক নির্বাচনে জয়ী হন সুশীল ধাড়া।  তিনি মহিষাদল কেন্দ্র থেকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং রাজ্য মন্ত্রিসভায় মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছিলেন।

১৯৭৭ সালে তমলুক কেন্দ্র থেকে লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন সুশীল ধাড়া। আশির দশকে রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে পুরোপুরি সমাজসেবায় আত্মনিয়োগ করেন তিনি।২০১১ সালের ২৮ জানুয়ারি তার মৃত্যু হয়।




No comments