হলদিয়া টাউনশিপের ব্রজনাথচকে পাল মেডিক্যাল অ্যাণ্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারের ভূয়া রিপোর্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার খুলে চিকিৎসা ক্ষেত্রে এমন চটকদারি,ভণ্ডামির ঘটনায় এলাকায় গুঞ্জন ছড়িয়েছে ।
হলদিয়া বন্দর : একই রক্তের নমুনায় সুগারের ফাস্টিং(…
হলদিয়া বন্দর : একই রক্তের নমুনায় সুগারের ফাস্টিং(এফবিএস) এবং পিপি(পিপিবিএস) রক্ত পরীক্ষা হয়েছে । মেডিক্যাল গাইডলাইন ভেঙে পরীক্ষায় এমন ভুল পদ্ধতির প্রতিবাদে সরব হলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি আনন্দময় অধিকারী । সেই মর্মে অভিযোগ গড়িয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছ পর্যন্ত । ঘটনা খতিয়ে দেখতে গঠিত হয়েছে ৩ সদস্যের এক তদন্ত কমিটি । চিকিৎসা ক্ষেত্রে এহেন কারচুপিতে আলোড়ন পড়েছে এলাকায় ।
অভিযোগ,হলদিয়া টাউনশিপের ব্রজনাথচকে পাল মেডিক্যাল অ্যাণ্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে । ১২ মার্চ রাত বারোটায় সুগার টেস্টের জন্য এক মহিলার শরীর থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয় । ওই ডায়াগানস্টিক সেন্টারের তরফে একবারই রক্ত নেওয়া হয়েছে । আর তা দিয়ে খাওয়ারের আগে এবং পরে ফাস্টিং এবং পিপি দুটি পরীক্ষা করা হয়েছে বলে অভিযোগ । সুগার টেস্টের ক্ষেত্রে যা একেবারেই বাঞ্ছনীয় না । পরীক্ষা সংস্থাটিকে দেখানো হয়েছে ন্যাশান্যাল অ্যাক্রিডিটেশন বোর্ড ফর টেস্টিং অ্যাণ্ড ক্যালিব্রেশন ল্যাবরেটরির (এনএবিএল)অধীন । যদিও তার তেমন উপযুক্ত প্রমান নেই বলে অভিযোগ । বেসরকারি এই ডায়াগনস্টিক সেন্টারটির রিপোর্টের সঙ্গে দুই সরকারি ডাক্তার বাণীব্রত বেরা এবং উন্নতি রায়ের নামেও অভিযোগ উঠেছে । সরকারি ডাক্তার হয়ে তাঁরা এই রিপোর্ট দিয়েছেন বলি অভিযোগকারী উল্লেখ করেছেন । ডাক্তার বাণীব্রত বেরা তমলুক জেলা সদর হাসপাতালে এবং উন্নতি রায় হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে কর্মরত বলে অভিযোগে বলা হয়েছে । যদিও হলদিয়া মহকুমা হাসপাতাল সুপার সুভাস মাহাত জানিয়েছেন,"উন্নতি রায় নামে কোনো ডাক্তার আমার হাসপাতালে নেই ।" তবে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক শক্তিপদ পাল দাবি করেছেন,"এনএবিএল অনুমোদন আমার রয়েছে । রাত বারোটার সময় কেউ রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেনি । আর যে সব অভিযোগ উঠেছে তা সঠিক মনে করছি না ।" যদিও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকের যুক্তিতে আশ্বস্ত না স্বাস্থ্য কর্তাগন । ইতিমধ্যে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের ডেপুটি সিএমওএইচ-১ নয়ন মিদ্যাকে চেয়ারম্যান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠিত হয়েছে । তাতে কমিটির অপর দুই সদস্য রয়েছেন হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালের প্যাথলোজিস্ট অঙ্কন নন্দী এবং স্থানীয় বাড়ঘাসিপুর বিপিএইচসি'র বিএমওএইচ তৃষা কর । আগামী ২৭ তারিখের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিভাস রায় জানান,"তদন্ত হবে । রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে ।" ডায়াগনস্টিক সেন্টার খুলে চিকিৎসা ক্ষেত্রে এমন চটকদারি,ভণ্ডামির ঘটনায় এলাকায় গুঞ্জন ছড়িয়েছে ।
No comments