Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

সিঙ্গুরের মাটিকে ‘পুণ্যভূমি’ সম্বোধন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী

সিঙ্গুরের মাটিকে ‘পুণ্যভূমি’ সম্বোধন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীমমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সিঙ্গুর। মঙ্গলবার রাজ্যের মেগা প্রজেক্টের উদ্বোধনে এসে সেই কথাই আরও একবার ঘোষণা করে গেলেন তিনি। একইসঙ্গে সিঙ্…

 



সিঙ্গুরের মাটিকে ‘পুণ্যভূমি’ সম্বোধন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সিঙ্গুর। মঙ্গলবার রাজ্যের মেগা প্রজেক্টের উদ্বোধনে এসে সেই কথাই আরও একবার ঘোষণা করে গেলেন তিনি। একইসঙ্গে সিঙ্গুরের মাটিকে ‘পুণ্যভূমি’ সম্বোধন করে তার মর্যাদা আরও একপরত বাড়িয়ে গেলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। উল্টোদিকে, রাজ্য তথা দেশের রাজনৈতিক মহল দেখল ‘জননেত্রী’ মমতাকে। যাঁর উপস্থিতির আভাস পাওয়া মাত্র উৎফুল্ল হয়ে গলা ফাটায় জনতা। তাঁর কথায় তাল দিয়ে গর্জে ওঠে সিঙ্গুর। রাজ্যের সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে তাঁর ‘জননেত্রী’ ভাবমূর্তিকে পালিশ করে দিয়ে গেল সিঙ্গুরের জনজোয়ার। মঙ্গলবার দুপুরের পর তৃণমূল নেতৃত্ব তো বটেই, রাজনৈতিক মহলও ঘরে-বাইরে সেই তত্ত্বেই সিলমোহর দিচ্ছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই এদিন সিঙ্গুরের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেছেন। একইসঙ্গে সিঙ্গুর তো বটেই, হুগলি জেলায় উন্নয়নের যে ঢালাও কাজ হয়েছে, তার তথ্য তুলে ধরেন তিনি। বলা বাহুল্য, তাতে কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপি’র ভূমিকা নিয়ে তাঁর উষ্মা গোপন থাকেনি। বিশেষ করে হুগলির ডানলপ কারখানা নিয়ে এদিন তিনি তীব্র রোষ ব্যক্ত করেছেন।
মঙ্গলবার রতনপুরের মঞ্চে উঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আজ সিঙ্গুরে কেন এসেছি? সেই দিনের ইতিহাস সবার মনে আছে নিশ্চয়ই। সিপিএম জমি হাতিয়ে নিয়েছিল। আন্দোলন করতে গিয়ে বারবার মৃত্যুর মুখে দাঁড়াতে হয়েছিল। সিঙ্গুরের মানুষ আমাকে আগলে রেখেছেন। মুড়ি-বাতাসা খাইয়েছেন। কিছুই ভুলিনি। তাই সিঙ্গুরের পাশে থাকি। জমি ফিরিয়ে দিয়েছি। ওরা তাপসী মালিককে হত্যা করেছিল। তার স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ করেছি। জমিতে চাষের ব্যবস্থা করেছি। কিছু জমিতে শিল্প হচ্ছে। স্থানীয় মানুষ কাজ পাবেন। তারপরেই তিনি বলেন, বুধবার থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ধরনায় বসছি। উন্নয়নের টাকা বন্ধের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রকে হত্যার বিরুদ্ধে লড়াই হবে। তার আগে এই পুণ্যভূমিতে মাথা ছুঁইয়ে যাচ্ছি। জনতার বিপুল গর্জনে তখন কানপাতা দায়।
এদিন হুগলির ডানলপ কারখানা নিয়ে সোচ্চার হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, শুধু লোকটা (ডানলপের বর্তমান মালিক) বিজেপি করে বলে কেন্দ্রীয় সরকার ডানলপ অধিগ্রহণের অনুমতি আমাদের দিচ্ছে না। অথচ পাঁচ-ছ’বছর ধরে সেখানকার কর্মীদের আর্থিক সাহায্য দিচ্ছি আমরা। এখন তো জমি বিক্রির প্রক্রিয়া চলছে বলে শুনতে পাচ্ছি। ভাবুন, একটা কাজের জন্য যদি ছ’বছর লাগে, তবে ১৫ লক্ষ টাকা প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে যেতে কত বছর লাগবে? ওয়াকিবহাল মহল বলছে, একদা বিজেপি সরকার প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর কথা বলেছিল। সেই টাকা এখনও পৌঁছয়নি। সেই বিষয়টিকেই ডানলপ ‌ইস্যুতে আরও একবার উস্কে দিলেন নেত্রী।
এদিন তিনি জেলার স্বাস্থ্য থেকে শিল্প, জলস্বপ্ন থেকে কিষাণমান্ডি, উন্নয়নের কাজের লম্বা তালিকা পেশ করেছেন। সেই সঙ্গে তাঁর স্বপ্নের প্রকল্প বলাগড়ের সবুজদ্বীপ দেখতে দ্রুত জেলায় আসবেন বলেও জানিয়েছেন। 

No comments