Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

এপ্রিল মাসেই ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে চলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন

এপ্রিল মাসেই ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে চলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনআসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করবে।জট কাটল। পঞ্চায়েত স্তরে আসন সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলার রায় ঘোষণা করে মঙ্গলবা…



 এপ্রিল মাসেই ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে চলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন

আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করবে।

জট কাটল। পঞ্চায়েত স্তরে আসন সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলার রায় ঘোষণা করে মঙ্গলবার হাইকোর্ট জানিয়ে দিল, এই ইস্যুতে তারা হস্তক্ষেপ করছে না। বরং এব্যাপারে কমিশনের সিদ্ধান্তের উপরই আস্থা রেখেছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণায় আর কোনও বাধা রইল না। সূত্রের খবর, এপ্রিল মাসেই ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে চলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এবং মে মাসেই গোটা ভোট প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে চাইছে তারা। 

এদিন হাইকোর্টের রায় আসার পরই তৎপরতা শুরু হয় কমিশনের অন্দরে। নিয়ম মতো, কমিশন ও রাজ্য সরকার—উভয় পক্ষের সম্মতির ভিত্তিতে নির্বাচনের দিনক্ষণ স্থির হয়ে থাকে। শীঘ্রই সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চাইছে কমিশন। সূত্রের খবর, কয়েক দিনের মধ্যেই এব্যাপারে রাজ্যকে চিঠি পাঠাতে চলেছে তারা। রাজ্যের তরফে সম্মতি মিললে দু’পক্ষের আলোচনা ও সহমতের ভিত্তিতে ভোটের নির্ঘণ্ট স্থির হবে। তারপরই বিজ্ঞপ্তি জারি পথে হাঁটবে কমিশন। দিন ঘোষণার ক্ষেত্রে রমজান মাসের বিষয়টিও আলোচনায় আসবে। আইন অনুযায়ী, বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর ন্যূনতম ২১ থেকে সর্বাধিক ৪৫ দিনের ব্যবধান জরুরি। সেক্ষেত্রে মাঝামাঝি সময়কে ভিত্তি ধরে মে মাসের মধ্যে গোটা ভোট প্রক্রিয়া শেষ করতে চায় কমিশন। 

জনস্বার্থ মামলায় দাবি করা হয়েছিল, সঠিক গণনা না করেই রাজ্যের তফসিলি জাতি-উপজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির ক্ষেত্রে আসন সংরক্ষণ করা হয়েছে। কমিশন অবশ্য পাল্টা জানায়, জনগণনা না হওয়ায় ২০১১ সালের সেন্সাস রিপোর্ট অনুযায়ী জনসংখ্যা বৃদ্ধির যে হার নির্ধারিত ছিল, সেই হারকে মান্যতা দিয়েই আসন সংরক্ষিত হয়েছে। এক্ষেত্রে কমিশনের কোনও ভুল নেই। দীর্ঘ শুনানিতে উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, এব্যাপারে আদালত হস্তক্ষেপ করতে রাজি নয়। এব্যাপারে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার, তা নেবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনই।

আদালতের রায়ের পর বল সরাসরি কমিশনের কোর্টে এসে পড়ায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি কর্তারা। কারণ ভোটের লক্ষ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যেই সেরে রেখেছে রাজ্য কমিশন। দফায় দফায় জেলাগুলির সঙ্গে আলোচনা চলছে। বুথ সংখ্যা চূড়ান্ত করার পর কোন কোন এলাকায় ভোটকেন্দ্র তৈরি হবে, জেলাগুলিকে তার তালিকা প্রকাশের সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ৫ এপ্রিলের মধ্যে ভোটকেন্দ্র সংক্রান্ত খসড়া তালিকা প্রকাশ করতে হবে। ২৫ এপ্রিলের মধ্যে এই ইস্যুতে কোনও অভিযোগ থাকলে তার নিষ্পত্তি করে ২৮ এপ্রিলের মধ্যে চূড়ান্ত তালিকা কমিশনের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠাতে হবে জেলাগুলিকে। পাশাপাশি নির্বাচন পরিচালনার জন্য টিম তৈরির কাজও চলছে জোরকদমে। হিসেব অনুযায়ী, ভোটের কাজের জন্য ২২টি জেলায় ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ সহ প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার লক্ষ সরকারি কর্মীর প্রয়োজন পড়বে। আপাতত সেই কাজও চলছে জোরকদমে। ফলে এই পরিস্থিতিতে আদালতের নির্দেশ বিপক্ষে গেলে বিপাকে পড়তে হতো বলেই মনে করছেন কমিশন কর্তারা। 

এবারের নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানাচ্ছে কমিশন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস জানিয়েছেন, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে যাতে সবক’টি রাজনৈতিক দলই মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারে, সেদিকে কড়া নজর রাখছে কমিশন।

No comments