রাস্তায় কাঠ গুড়ি ফেলিয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষকের বদলি আটকালো স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক অভাবিকরাস্কুলে তালা ঝুলিয়ে রাস্তায় কাঠ গুড়ি ফেলিয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষকের বদলি আটকালো স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক অভাবিকরা। জেলা জু…
রাস্তায় কাঠ গুড়ি ফেলিয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষকের বদলি আটকালো স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক অভাবিকরা
স্কুলে তালা ঝুলিয়ে রাস্তায় কাঠ গুড়ি ফেলিয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষকের বদলি আটকালো স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক অভাবিকরা। জেলা জুড়ে শিক্ষক প্রধান শিক্ষক নিয়োগ চলছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বিভিন্ন স্কুলে সেইরুপ নন্দকুমার ব্লকে বরগোদার জলপাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ২৩ বছর স্কুল থেকে সাত বছর সরকারি শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছে। ওই স্কুলে নিয়ম অনুযায়ী সহকারী শিক্ষকই প্রধান শিক্ষক হওয়ার কথা এবং লিস্টে ১৭ নম্বরে তার নাম রয়েছে। কিন্তু ওই স্কুলে ওই এলাকার অন্য স্কুল থেকে এক প্রধান শিক্ষক উড়ে এসে জুড়ে বসেন প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নিয়ে। তাই এলাকায় গ্রামবাসী বৃন্দ এই বিদ্যালয়ে প্রায় ২৩ বছরে কর্মরত বিদ্যালয়ের মোট কর্মজীবন। এই ২১ বছর এই স্কুলের মধ্যে ৭ বছর রয়েছেন স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে। নানা সুখ-দুঃখের সাথী হয়েছেন শেখর ঢল তাই এই এলাকার এই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক অভিভাবিকা এবং গ্রামবাসী বৃন্দ তারা এই শেখর বল বাবুকে এই প্রধান শিক্ষক হিসেবে পেতে চান কিন্তু তাদের অভিযোগ অন্য কোন অ্যাক্ট্রেস স্কুল থেকে অন্য একজনকে প্রধান শিক্ষক হিসাবে পাঠানো হয়েছে তারই প্রতিবাদে আজ নন্দকুমার ব্লকে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্কুলের সামনে অভিভাবক স্কুলে তালা লাগিয়ে রাস্তায় কাঠ গুড়ি ফেলে বিক্ষোভ। বিধান কুন্ডুকে এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে পাঠানো হয়েছে এই দাবি মানতে নারাজ এলাকাবাসী।
এই মুহূর্তে অন্য একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মহাশয় বিধানচন্দ্র কুন্ডুকে এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগদান করা অনুমতি পত্র জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর হইতে প্রদান করা হইয়াছে।
অভিভাবকের দাবি যদি ওই বিধানচন্দ্র কূন্ডু এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক করা হয় তাহলে আমরা স্কুলে কোন ছাত্র-ছাত্রী পাঠাবো না।
শিক্ষককে জড়িয়ে ধরে ছাত্র-ছাত্রীদের অঝরে কান্না তারা প্রধান শিক্ষক শেখর বাবুকেই দ্বারা প্রধান শিক্ষক হিসেবে চান।
বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শেখর ঢল বলেন ২৩ বছরের কর্মজীবনে ২১ বছর এক মাস এর মধ্যে ৭ বছর তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে ছিলেন।
আমরা এলাকাবাসীকে নিয়ে এই স্কুলটিকে সুনামের শহীদ গড়ে তুলেছি।
ঘটনাস্থলে নন্দকুমার থানার পুলিশ এসে সামাল দিতে না পারায় অবশেষে নন্দকুমার ব্লকের বিডিও শানু বক্সী এসে কথা দেন তিনি এই বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন তারপরে স্কুলের তালা খুলে দেয়া হয়। শিক্ষক মশাই কাঁদতে কাঁদতে গিয়ে সেই চেয়ারে আবার বসেন। ছাত্র-ছাত্রীদের মুখে হাসি ফোটে।
No comments