তৃণমূল যুব সংগঠনের হাল ধরলেন হলদিয়ার ছেলে আজগর রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসর বার্তা স্পষ্ট। সংগঠনকে নতুন অক্সিজেন দেওয়া, পুরনোদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করার মানসিকতাকে গুরুত্ব দেওয়া। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিয়ে সংগঠন…
তৃণমূল যুব সংগঠনের হাল ধরলেন হলদিয়ার ছেলে আজগর
রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসর বার্তা স্পষ্ট। সংগঠনকে নতুন অক্সিজেন দেওয়া, পুরনোদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করার মানসিকতাকে গুরুত্ব দেওয়া। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিয়ে সংগঠন ও সাধারণ মানুষকে স্বচ্ছতার বার্তা দেওয়া। এইসব লক্ষ্য পূরণেই তমলুক জেলা সংগঠনে রদবদল করল তৃণমূল কংগ্রেস। ১৪ ই ফেব্রুয়ারি ভালবাসা দিবসেই তৃণমূল কংগ্রেসের তমলুক সাংগঠনিক জেলা যুব সভাপতি হয়েছেন আজগর আলি ওরফে পল্টু। যিনি হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল। তাঁর কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলদিয়া শুধু নয়, পাঁশকুড়া থেকে নন্দীগ্রাম, ময়না থেকে তমলুক যুবশক্তিকে সক্রিয় করা। জং ছাড়ানো। সদ্য প্রাক্তন যুব সভাপতি অভিষেক দাসের সময় যে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। জেলার দায়িত্ব পেলেও নিজের ব্লক সুতাহাটাতেই তাঁর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছিল। রাজ্যের কাছে বিভিন্ন অভিযোগ যাচ্ছিল। আর্থিক কিছু অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে দলের একাংশ সরব হয়েছিলেন। সবচেয়ে বড় কথা, অভিষেক সবাইকে নিয়ে চলতে ও চালাতে পারছিলেন না। অভিযোগ ব্লকগুলিতে যুব সংগঠনের তরফে।গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে তাও মনে করতে পারছেন না কর্মীরা। তাই অভিষেকের জায়গায় আনা হয়েছে আজগরকে। তাঁকেও বার্তা দেওয়া হয়েছে প্রবীণদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করার। বিশেষ করে শিল্পাঞ্চলে দুই প্রাক্তন চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ মণ্ডল ও সুধাংশু মণ্ডল, জয়হিন্দ বাহিনীর জ্যোতিপ্রসাদ দাস রয়েছেন। সদ্য প্রাক্তন হওয়া ব্লক সভাপতি স্বপন নস্কর আছেন। যুবর দায়িত্ব পাওয়া আজগর বলেছেন, “শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে যখন কেউ মুখ খুলতে পারত না তখনও আমি রুখে দাঁড়িয়েছিলাম। এখনও আমার স্ট্যান্ড একই। সবাইকে নিয়ে তো চলতেই হবে। সেটাই দায়িত্বশীলতার পরিচয়। যুবকদের সক্রিয় করতে পারলেই দল শক্তিশালী হবে। আশা করছি সিনিয়রদের পরামর্শ ও সহকর্মীদের উদ্যম, আমাদের পথকে সুগম করবে।”
No comments