জেলা আইএনটিটিইউসির দায়িত্ব তমলুকের কাউন্সিলরের কাঁধে
হলদিয়া বন্দর: জেলা সদর শহরে দলের কাউন্সিলর তিনি। বয়সে নবীন। তাঁর উপরে আস্থা রেখেই তমলুক সাংগঠনিক জেলা শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্ব দিল শাসকদল। আইএনটিটিইউসির সভাপতি শিবনাথ সরকারকে …
জেলা আইএনটিটিইউসির দায়িত্ব তমলুকের কাউন্সিলরের কাঁধে
হলদিয়া বন্দর: জেলা সদর শহরে দলের কাউন্সিলর তিনি। বয়সে নবীন। তাঁর উপরে আস্থা রেখেই তমলুক সাংগঠনিক জেলা শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্ব দিল শাসকদল। আইএনটিটিইউসির সভাপতি শিবনাথ সরকারকে সরিয়ে চন্দন দে ওরফে মানাকে সেখানে আনা হয়েছে একদা বামপন্থী ঘরানা থেকে উঠে আসা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে। তমলুকের অতি প্রাচীন রামসাগর পুকুরপাড় এলাকার বাসিন্দা। অত্যন্ত মিশুকে। রাজনৈতিক হাতে খড়ি তাম্রলিপ্ত কলেজ থেকেই। রাজ্যে পালাবদলের পর তিনিও তৃণমূলে যোগ দেন। দু'বারের কাউন্সিলর। নতুন মুখ হিসাবে তাঁকেই তুলে আনা হল জেলাস্তরে। চন্দন বলেছেন, “সংগঠনের দায়িত্ব পেয়ে আমি রাজ্যের নির্দেশ মেনেই চলব। এবং স্থানীয় নেতাদের গুরুত্ব দেব। যাতে সবাই সংগঠনে একাত্ম হন।”
হলদিয়ার মতো শিল্পাঞ্চল থাকায় তাঁর পদ যে গুরুত্বপূর্ণ তা মেনে নিয়েই বলেছেন, “সেখানে প্রবীণদের পারমর্শ মেনে চলব।” সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “নতুন প্রজন্মের হাতে দায়িত্ব পড়ল। লড়াকু ছেলে। সংগঠনের কাজে লাগবে।” মঙ্গলবার ১৪ ই ফেব্রুয়ারি জেলার রাজনৈতিক মহলে সবচেয়ে বড় চমক ছিল চন্দনের পদপ্রাপ্তি। চন্দন দে বলেন, “দল আমার প্রতি ভরসা রাখায় কাজ করবে।”
আমি খুশি। আগামী সময়ে সামগ্রিক সমন্বয়ের মাধ্যমে দলীয় নির্দেশমতোই সংগঠনের যাবতীয় কাজ-কর্ম চালিয়ে যাব।” হলদিয়ায় একের পর এক কারখানায় শ্রমিক সমস্যা মিটিয়ে সংগঠনকে পোক্ত করার কাজ করছে রাজ্য নেতৃত্ব। সেখানে শ্রমিকদের দাবি আদায়ে কারখানাগুলিতে বেতন বৃদ্ধির চুক্তি হচ্ছে, যা নিয়ে আগে শ্রমিকদের ক্ষোভ ছিল। বর্তমান বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলে থাকাকালীন হলদিয়াকে নিজের হাতে রেখেছিলেন। এখন সেখানে শুভেন্দুর ছায়া থেকে সংগঠনকে বের করে নিজস্ব শক্তি বৃদ্ধি করার কাজ চলছে। যে কাজে গতি আনতে চন্দনের মতো যুবকদের হাতে দায়িত্ব তুলে দিল দল। ঋতব্রত বলেছেন, “তমলুক সাংগঠনিক জেলার মধ্যে হলদিয়া থাকায় এই দায়িত্ব অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। চন্দন সবাইকে নিয়ে সেই কাজ করবে।
No comments