ভ্রাম্যমান চক্ষু পরীক্ষা শিবির
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্তর্রগত নন্দীগ্রাম কালির বাজার সংলগ্ন এলাকায় দিনভর প্রায় শতাধিক এলাকাবাসীর চক্ষু পরীক্ষা ও সচেতনতা শিবির অনুষ্ঠীত হল। এই প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় ন্যাশানেল প্র…
ভ্রাম্যমান চক্ষু পরীক্ষা শিবির
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্তর্রগত নন্দীগ্রাম কালির বাজার সংলগ্ন এলাকায় দিনভর প্রায় শতাধিক এলাকাবাসীর চক্ষু পরীক্ষা ও সচেতনতা শিবির অনুষ্ঠীত হল। এই প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় ন্যাশানেল প্রোগ্রাম ফর কন্ট্রোল অফ ব্লাইন্ডনেশ কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে এই শিবির পরিচালনা করেন রামকৃষ্ণ সারদা মিশন আশ্রম হলদিয়া পরিচালিত নেত্রালয় (চোখের চিকিৎসালয় ও রিসার্চ সেন্টার)। মূলত এই শিবিরের মাধ্যমে ছানি সনাক্তকরন ও শল্য চিকিৎসার পরামর্শ দেওয়া এবং প্রতিস্বরনজনিত ত্রুটি সনাক্তকরন সেই সঙ্গে কাছে অথবা কাছে এবং দূরে পরিস্কার দেখার জন্য চশমার পাওয়ার প্রদান করা হয়। আমাদের দেশে বিগতদিনে নেত্র বিজ্ঞানের সমীক্ষায় আজ পযর্ন্ত যা তথ্য উঠে এসেছে তাতে অন্ধত্বের (ভিস্যুয়াল ইমপেয়ার্ড) মুলত প্রধান দুটি কারন হচ্ছে - ছানি ও প্রতিস্বরনজনিত ত্রুটি (রিফ্রেকটিব এরর)। পরিসংখ্যায় বলা হয়েছে শতকরা ৬২% জন ছানি জনিত কারনে এবং প্রায় ১৯ শতাংশ রিফ্রেকটিব এররের (প্রতিস্বরনজনিত ত্রুটির) কারনে মুলত অন্ধত্বের স্বীকার। এর বাইরে অন্ধত্বের কারন বলা হচ্ছে তা হল গ্লুকোমা, কর্নিয়া জনিত ত্রুটি, ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি ইত্যাদি ইত্যাদি। মিশন আশ্রমের সম্পাদক স্বামী বিবেকাত্মানন্দ (বিবেক মহারাজ) বলেন চোখের এই দুটি প্রধান রোগ ও তার চিকিৎসা সম্পর্কে আপামর জনসাধারনকে আরো বেশি বেশি করে সঠিক ধারণা দিয়ে সচেতন করে গড় তুলতে হবে। এছাড়াও চোখের ছানি (ক্যাটারেকট্) কি ? এবং এর সঠিক চিকিৎসা কি ? এই সম্পর্কে অনেকেই অবগত নয়। সেই কারনে সঠিক সময়ে চোখের ছানি পরীক্ষা ও শল্য চিকিৎসা না করায় বেশিরভাগ ছানি রোগী বেশি করে অন্ধত্বের স্বীকার হচ্ছেন। খুব সাধারণ কথায় মানুষের চোখের জন্মগত লেন্সের অস্বচ্ছতাই হল ছানি (ক্যাটারেকট্) এর একমাএ চিকিৎসা হচ্ছে অপারেশন (শল্য চিকিৎসা)। বতর্মানে জাতীয় অন্ধত্ব নিবারন কর্মসূচির মাধ্যমে গ্রামগঞ্জে আরও বেশি বেশি করে চোখের রোগ প্রতিরোধ এবং নিরাময় বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো তার সঙ্গে চক্ষু পরীক্ষা শিবির সংগঠিত করতে হবে এবং এই দৃষ্টিহীনতা দূরীকরনের মতো এই মহতী সেবাকার্যে সব্বাইকে বেশি করে এগিয়ে আসতে হবে।
No comments