Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

গ্রামে গ্রামে হাজির দিদির দূত

গ্রামে গ্রামে হাজির দিদির দূত 
 ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটের আগে নতুনভাবে জনসংযোগ করতে গ্রামে গ্রামে হাজির ঘাসফুল নেতারা। ইতিমধ্যেই চলতি বছরে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে রাজ্যের শাসকদল। বিরোধীদের একইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারা…

 



গ্রামে গ্রামে হাজির দিদির দূত 


 ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটের আগে নতুনভাবে জনসংযোগ করতে গ্রামে গ্রামে হাজির ঘাসফুল নেতারা। ইতিমধ্যেই চলতি বছরে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে রাজ্যের শাসকদল। বিরোধীদের একইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ ঘাসফুল শিবির। এবার 'দিদির দূত' কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে 'অঞ্চলে একদিন' পালন করলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চন্ডীপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি স্নেহাংশু শেখর পন্ডিত। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কর্মসূচি পালনে মাঠে-ময়দানে নেমে পড়ছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চন্ডীপুর  ব্লকের উসমানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় জনসংযোগ কর্মসূচিতে গেলেন চন্ডীপুর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি স্নেহাংশু শেখর পন্ডিত। এদিন প্রথমে উসমানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবর্ধনপুরে একটি মসজিদে পবিত্র নামাজ পাঠ করেন। তারপর গোবর্ধনপুর গ্রামের বাসিন্দাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা খোঁজ খবর নেন স্থানীয় ব্লক তৃণমূল সভাপতি।  এরপরে কালিকাখালি গ্রামে যান। সেখানে সাধারণ মানুষের অভাব - অভিযোগ শোনেন। পাশাপাশি কালিকাখালি সারোদেশ্বরি বালিকা বিদ্যাপীঠে   মিড-ডে-মিল খতিয়ে দেখেন এবং স্কুলের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন। সেইসঙ্গে পড়ুয়াদের হাতে চকলেট তুলে দেন রাজ্যের শাসকদলের ব্লক সভাপতি স্নেহাংশু শেখর পন্ডিত । চন্ডীপুরের ব্লক তৃণমূল সভাপতি স্নেহাংশু শেখর পন্ডিত জানিয়েছেন, "গত ২ রা জানুয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন "দিদি সুরক্ষা কবচ" কর্মসূচি পালনের জন্য। দ্বিতীয়  পর্যায়ের 'অঞ্চলে একদিন'  কর্মসূচি শুরু করলাম। এই কর্মসূচি দু'টি পর্বে চলবে। প্রথমে জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সাংসদ ও বিধায়ক যাবেন। তারা তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে রাত্রি যাপন করবেন। এরকম করে ৭ দফা কর্মসূচি পালন হবে।" উল্লেখ্য, চলতি বছরের গত ১১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে 'দিদির সুরক্ষা কবচ' কর্মসূচি। কর্মসূচিতে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে পৌঁছে যাবেন 'দিদির দূত'রা। গ্রামে-গ্রামে ঘুরে শুনবেন মানুষের কথা। মানুষ যা পেয়েছেন সেটা যেমন লেখা হবে, তেমন না পাওয়ার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে। তৈরি করা হবে লিস্ট। দলের কর্মীর বাড়িতে তাঁদের সঙ্গে ভাগ করে খেতে হবে রাতের খাবার। প্রসঙ্গত, গত ২ জানুয়ারি কোলকাতার নজরুল মঞ্চে 'দিদির দূত'-এর ঘোষণা করে দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, দিদির দূত হিসাবে কাজ করবেন প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ ভভলেন্টিয়ার। তাঁরা মানুষের বাড়ি বাড়ি যাবেন। এই কর্মসূচি ২টো পর্যায়। প্রথম পর্যায়ে, প্রত্যেক সাংসদ, বিধায়ক, সভাধিপতি, জেলা প্রেসিডেন্ট, জেলা চেয়ারম্যান, দলীয় মুখপাত্ররা ৩২০ জনের টিম তৈরি হয়েছে। তাঁরা জানুয়ারির ১১ তারিখ থেকে ফেব্রুয়ারী ২৮ অবধি ১০ রাত করে গ্রামে থাকবেন। বাংলায় সব মিলিয়ে ৩ হাজার ৩৪৩ অঞ্চল রয়েছে। ১ জন ১০টা অঞ্চলে রাতে থাকেন, তবে ৩২০ জনের হিসাবে ৩ হাজার ২০০ অঞ্চলে রাত কাটানো যাবে। ৯৮ শতাংশ অঞ্চলই ঘোরা হবে বলে দলীয় সূত্রের খবর। এদিনের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন উসমানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নিলীমা মিদ্যা, উপ-প্রধান শেখ সামসুল আলম, বিশিষ্ট সমাজসেবী মুকুল আলি, পঞ্চায়েত সদস্য আজানুর আলি, পঞ্চায়েত সদস্যা পুতুল চক্রবর্তী ও পশুপতি দাস, ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি আলোবরণ দাস, ঈশ্বরপুর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি দেবাশিষ দাস, জেলা পরিষদের সদস্যা সোমা রানি সাউ, পঞ্চায়েত সদস্য সবিতা মন্ডল, চন্ডীপুর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তপন বারিক, পঞ্চায়েত সদস্য টিয়া দাস দোবে ও রুমা বেরা এবং ফরিজুল ইসলাম, অজিত সামন্ত, আখি রায় প্রমুখ।

No comments