হলদিয়া মেলায় জনপ্লাবন বয়ে গেল
গত ৩ রা ফেব্রুয়ারি থেকে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে হলদিয়ার রাণীচকে সতীশচন্দ্র সামন্ত ট্রেড সেন্টারের সংহতি ময়দানে "হলদিয়া মেলা-২০২৩" শুরু হয়েছে। মেলা চলার কথা ১২ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। …
হলদিয়া মেলায় জনপ্লাবন বয়ে গেল
গত ৩ রা ফেব্রুয়ারি থেকে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে হলদিয়ার রাণীচকে সতীশচন্দ্র সামন্ত ট্রেড সেন্টারের সংহতি ময়দানে "হলদিয়া মেলা-২০২৩" শুরু হয়েছে। মেলা চলার কথা ১২ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। কিন্ত তার মাঝেই মেলা বয়কটের ডাক দিয়েছিল মেলায় স্টলের বিক্রেতা থেকে হকাররা। দুপুরে এমনই ছবি ধরা পড়ে ছিল। বিক্ষোভকারিদের দাবি, মেলা প্রতিদিন রাত্রি সাড়ে ৯ থেকে ১০টার মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। সেই সাথে ভালো নামকরা শিল্পী না থাকায় মেলায় লোক আসছে না। যারা আসছে তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মেলার দোকানে বিক্রি হচ্ছে না। মেলায় আগত স্টলের কর্মীদের খাওয়ানোর পয়সা উঠছে না। ফলে এদিন তারা বিক্ষোভ দেখাতে থাকে মেলা প্রাঙ্গনে। তাদের দাবি, মেলায় রাত্রিকালীন অনুষ্ঠানের সময়সীমা বাড়াতে হবে এবং নামীদামি শিল্পী দিয়ে রাতে অনুষ্ঠান করতে হবে। শুধু স্থানীয় ও কলকাতার শিল্পী দিয়ে অনুষ্ঠান করলে হবে না। হলদিয়াতে পর্যাপ্ত মাইক প্রচার করতে হবে। তাদের হুঁশিয়ারি, মেলা কর্তৃপক্ষ যদি কোনো ব্যবস্থা গ্রহন না করে, মেলায় আগত স্টলমালিকরা স্টল বন্ধ রেখে মেলা বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেবে।
এই বিষয়ে মেলা কমিটির সদস্য হলদিয়া পৌরসভার প্রাক্তন পৌর পরিষদ সদস্য আজগর আলি (পল্টু) বলেন মেলা কমিটির সঙ্গে দোকানদারদের কোন আলোচনাই হয়নি। মেলা কমিটি ই-টেন্ডার ডেকে ছিলেন মেলা করার জন্য। সেখানে দোকান বসানোর জন্য সাতজন এই টেন্ডার অংশগ্রহণ করেন। সর্বোচ্চ জিনি টেন্ডার পেয়েছেন তাকে এই মেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মেলায় কোন কোন শিল্পী আসবে তার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। মেলাতে কেনাবেচা সেটা মেলা কমিটির দায়ভার নয়। মেলাতে লোক আসছে ঢল নেমেছে কিন্তু তারা কিনবে কারা কিনবে না সেটা মেলা কমিটি ঠিক করতে পারেনা। তিনি আরো দাবি করেন বিগত দিনের হলদিয়া মেলা থেকে এ বছরের মেলা অন্য ধরনের এবং সরকারী মেলায় হিসেবেই পরিচালিত হচ্ছে। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মেলা বারোটা পর্যন্ত খোলা রাখা সম্ভব নয়। দোকানদারদের বিতর্কে অবসান ঘটিয়ে হলদিয়া মেলায় জন প্লাবন বয়ে গেল।
No comments