কেকের ফ্র্যাঞ্চাইজির নামে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা প্রতারণা, থানায় বন্দরকর্মী
হলদিয়ায় কেকের ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে গিয়ে সাইবার প্রতারণার শিকার হয়ে ১ লক্ষ ২৫ न হাজার টাকা খোয়ালেন হলদিয়া ... বন্দরের এক কর্মী। হলদিয়া শহরের ল বাসুদেবপ…
কেকের ফ্র্যাঞ্চাইজির নামে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা প্রতারণা, থানায় বন্দরকর্মী
হলদিয়ায় কেকের ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে গিয়ে সাইবার প্রতারণার শিকার হয়ে ১ লক্ষ ২৫ न হাজার টাকা খোয়ালেন হলদিয়া ... বন্দরের এক কর্মী। হলদিয়া শহরের ল বাসুদেবপুরের ওই বন্দর কর্মীর নাম অভিজিৎ সামন্ত। তিনি মেয়ের নামে একটি কেক, পেস্ট্রির দোকান খোলার পরিকল্পনা করেছিলেন। ফ্র্যাঞ্চাইজি নেওয়ার জন্য অনলাইনে একটি নামী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আবেদন করতেই ২৫ হাজার টাকা ও সিকিউরিটি ডিপোজিট বাবদ আরও এক লক্ষ টাকা চাওয়া প্রাথমিকভাবে খোঁজখবর নেওয়ার পর দু'দফায় ৫০ হাজার ও ৭৫ হাজার টাকা পাঠান ওই বন্দর কর্মী। তারপর থেকে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় তারা। তড়িঘড়ি অভিজিৎবাবু ওই সংস্থার অফিসে যান। তিনি জানতে পারেন, সাইবার প্রতারক চক্রের পড়েছেন। আসলে ওই সংস্থার অ্যাকাউন্টে কোনও টাকাই জমা পড়েনি। কেওয়াইসি আপডেট বা টাওয়ার বসানোর নামে সাইবার প্রতারণার ছক বদলে প্রতারকরা এখন নিত্য নতুন কৌশল নিচ্ছে। উল্লেখযোগ্যভাবে বিভিন্ন সংস্থার নামে ভুয়ো সাইট খুলে ডিলারশিপ, ফ্র্যাঞ্চাইজি, লাইসেন্স দেওয়ার নামে চলছে লোক ঠকানো। ওই কেক, পেস্ট্রির ফ্র্যাঞ্চাইজির ক্ষেত্রে সেটাই
হয়েছে। নকল সাইট বানিয়ে রেখে আবেদনকারীকে ঠকানো হয়েছে। দুর্গাচক থানার পুলিস গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে কেক, পেস্ট্রির চাহিদা ভালো। চাহিদার কথা মাথায় রেখেই অভিজিৎবাবু মেয়ের নামে ফ্রাঞ্চাইজি নিয়ে দোকান খুলতে চেয়েছিলেন। এজন্য অর্থ জোগাড় করে রেখেছিলেন। কিন্তু, সাইবার প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে তাঁর সঞ্চিত টাকা জলে চলে গিয়েছে। গোটা ঘটনায় তিনি হতাশ। ২৯ জানুয়ারি এনিয়ে দুর্গাচক থানায় এফআইআর করছেন। এসআই মনোরঞ্জন মণ্ডল ওই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়। করেছেন। থানার ওসি বুদ্ধদেব মাল বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে এগরা থানার শীপুর গ্রামের এক গৃহবধূ অভিনব কায়দায় সাইবার প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা খোয়া গিয়েছে। ফাঁদে ৩২ বছর বয়সি ওই বধূর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কলে ভাব জমিয়েছিল এক অচেনা যুবক। তারপর আকর্ষণীয় ভ্যালেন্টাইন্স গিফ্ট দেওয়ার টোপ দেওয়া হয়। এর জন্য পোস্টাল খরচ বাবদ প্রথমে ৩০ হাজার টাকা চাওয়া হয়। তারপর সেই গিফ্ট কাস্টমস আটকে দেওয়ার গল্প ফেঁদে মামলার ভয় দেখিয়ে আরও ৭৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় সাইবার অপরাধী। শেষ পর্যন্ত এগরার ওই বধূ টাকা ফেরতের দাবিতে পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছেন।
No comments