আগ বাড়িয়ে কাজ করতে গিয়ে দলের রসানলে পড়লো ব্লক সভাপতি
হলদিয়া শহরে তৃণমূল কংগ্রেস দলের সভাপতি। কিন্তু তিনি সাংগঠনিক কাজ করছেন গ্রামীণ এলাকায় গিয়েও। এতেই 'ক্ষুব্ধ' গ্রামীণ এলাকার দলীয় নেতৃত্ব। তাঁদের অভিযোগ, পাল্টা সম…
আগ বাড়িয়ে কাজ করতে গিয়ে দলের রসানলে পড়লো ব্লক সভাপতি
হলদিয়া শহরে তৃণমূল কংগ্রেস দলের সভাপতি। কিন্তু তিনি সাংগঠনিক কাজ করছেন গ্রামীণ এলাকায় গিয়েও। এতেই 'ক্ষুব্ধ' গ্রামীণ এলাকার দলীয় নেতৃত্ব। তাঁদের অভিযোগ, পাল্টা সমান্তরাল সংগঠন গড়ার চেষ্টা করছেন হলদিয়া শহর তৃণমূল সভাপতি স্বপন নস্কর। এভাবেই এলাকা নিয়ে টানাটানি শুরু হয়েছে হলদিয়া শহর ও হলদিয়া গ্রামীণ তৃণমূলের অন্দরে।
একাংশের অভিযোগ, শহর তৃণমূল এলাকা ছেড়ে সুতাহাটা ব্লক, গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতে এসেও সংগঠন করার চেষ্টা করছেন স্বপন। দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে তিনি পঞ্চায়েত এলাকায় পতাকা উত্তোলন করেছেন। তাঁর নামাঙ্কিত পোস্টার খাটানো হয়েছে সুতাহাটা চৈতন্যপুর বিভিন্ন এলাকার। এছাড়াও ব্রজলালচকেও, যে এলাকাটি মহিষাদল বিধানসভার আওতাধীন। এতেই গোঁসা দলের একাংশ নেতার মধ্যে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের নেতা বলেন, এক দিবসে সুতাহাটা ব্লকের হোড়খালি পঞ্চায়েতের দণ্ডীপুর ও বাহারডাব গ্রামে পতাকা উত্তোলন করেন স্বপন নস্কর। সুতাহাটা ব্লকের আসলে নেতাকে তা নিয়ে রীতিমতো দ্বিধা বিভক্ত তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। দল সাংগঠনিকভাবে সুতাহাটা ব্লকের দায়িত্ব সেখানকার ব্লক সভাপতিকে দিয়েছে। পাশের ব্লক থেকে এসে হলদিয়া গ্রামীণ তৃণমূল নেতৃত্বের দলীয় কর্মসূচি করলে কর্মীরা কাকে নেতা হিসাবে মানবেন?” সুতাহাটার ব্লক তৃণমূল সভাপতি অশোক মিশ্র বলেন, “সুতাহাটা ব্লকে শহর তৃণমূলের সভাপতি কর্মসূচি করলে সংগঠনের কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে। মানুষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হচ্ছে।”
যদিও স্বপনের দাবি, তিনি বিধানসভার প্রার্থী ছিলেন। তাই শহর, গ্রাম দু'জায়গাতেই কাজ করতে পারেন। এর প্রেক্ষিতে দলীয় কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, “প্রতিষ্ঠা বিধানসভা নির্বাচনে যাঁরা তলায় তলায় বিজেপির সঙ্গে যোগ রেখে তৃণমূলকে হারানোর ফন্দি করেছিল, মূলত তাঁদের নিয়েই বৈঠক করে সংগঠন তৈরি করতে চাইছেন স্বপন। স্বপনের অবশ্য সাফ কথা, “আমি হলদিয়া বিধানসভা প্রার্থী ছিলাম। সেজন্য সব জায়গায় যাতায়াত করি। আমপান ও ইয়াসের পরে যখন গিয়েছিলাম, তখন কেন এ প্রশ্ন তোলা হয়নি!'
No comments