Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী

যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী  বীরভূমে  বিশ্বভারতীর উপচার্যের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এই প্রশ্নের উত্তরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র কট…

 


যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী 

 বীরভূমে  বিশ্বভারতীর উপচার্যের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এই প্রশ্নের উত্তরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র কটাক্ষ করে বলেন, উনি (মুখ্যমন্ত্রী) নিজেই যোগ্যতা সম্পন্ন কিনা আগে সেটা বিচার করতে হবে। তারপরে অপরের যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন করবেন। তবে বিশ্বভারতীর উপচার্য যা করছে সেটা বিশ্বভারতীর যে মূল বিষয় তাকে ধ্বংস করছে। এবিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু যোগ্যতা আছে কি নেই, যিনি প্রশ্ন করছেন তিনি যোগ্য কিনা আমার সন্দেহ আছে। সোমবার জাতির জনক মহাত্মা মহাত্মা গান্ধীর ৭৬ দিবস স্মরণ সভায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ২ ব্লকের বালিঘাইতে সিপিএমের প্রকাশ্য সেমিনারে এহেন মন্তব্য করলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তথা 'আক্রান্ত আমরা'র অন্যতম মুখ অম্বিকেশ মহাপাত্র। তিনি বলেন, "রাজ্যের শাসকদল প্রশাসনকে ব্যবহার করছে। রাজ্যের তৃণমূল সরকার দুস্কৃতীদের ব্যবহার করে দিকে দিকে চুরি, ডাকাতি ও সন্ত্রাস করছে। এইসময়কালে বিচারব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা চলে গেছে। বর্তমান রাজ্যের সরকার ও রাজ্যের শাসকদল বিচারব্যবস্থাকে প্রভাবিত করে বিচারব্যবস্থার মাধ্যম দিয়ে মানুষের মুখ বন্ধ করার যে প্রচেষ্টা সেটা চালিয়ে রেখেছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে একটা ঘটনা যে, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় দুর্নীতি গুলোকে সামনে নিয়ে আসছেন এবং মানুষের কাছে ফেলে দিচ্ছেন। তাঁর বিচারব্যবস্থার মাধ্যমে তিনি উপড়ে দিতে পারবেন কি না সেই প্রশ্ন রয়েছে। কারণ তিনি তো বিচারব্যবস্থার সঙ্গেই রয়েছেন। তাঁকে যদি আবার সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া যায়, তিনি পারবেন কি পারবেন একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কিন্তু তিনি তার বিচারব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যেটুকু চেষ্টা এইসময় কালে তার একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তিনি পালন করছেন। মানুষের কাজ করছেন, বিচারকের কাজ করছেন, সমাজের মঙ্গলের জন্য কাজ করছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি পারবেন কি না সেটা সময়ের অপেক্ষা করে আমাদের থাকতে হবে। ভাঙড়ের বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী একজন জনপ্রতিনিধি। তাঁকে গ্রেফতার করাটা আমাদের দেশের সংবিধান অনুযায়ী একেবারেই অনুচিত হয়েছে। এক্ষেত্রে বিধানসভার অধ্যক্ষের বক্তব্য হাজির করা উচিত ছিল। তিনি যে বক্তব্যটা এনেছেন সেটা সংবিধানের বিপক্ষেই যাচ্ছে। আমাদের রাজ্যের সংবিধানের কোন বিধান নেই। এখানে 'মমতা' বিধানই কাজ করছে। সেটা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে। মানুষের নাগরিক অধিকারের বিরুদ্ধে। তারই আরেকটা উদাহরণ যুক্ত হল নওসাদ সিদ্দিকীকে গ্রেফতার করে জেলবন্দী করে রাখা বলে চাঞ্চল্যকর দাবি করেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র। এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আশীষ কুমার দাস, এগরা কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক হৃষিকেশ পড়্যা প্রমুখ।

No comments