Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

হলদিয়া কালচারাল ফোরাম" আয়োজিত উচ্চাঙ্গ সংগীতের অনুষ্ঠান

হলদিয়া কালচারাল ফোরাম" আয়োজিত উচ্চাঙ্গ  সংগীতের আসর
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সুতাহাটা থানার অন্তর্গত চৈতন্যপুর বাজিতপুর গ্রামে"হলদিয়া কালচারাল ফোরাম" আয়োজিত উচ্চাঙ্গ  সংগীতানুষ্ঠানে পন্ডিত নয়ন ঘোষ ও পন্ডিত অনিদ্য  চট্ট…

 



হলদিয়া কালচারাল ফোরাম" আয়োজিত উচ্চাঙ্গ  সংগীতের আসর


পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সুতাহাটা থানার অন্তর্গত চৈতন্যপুর বাজিতপুর গ্রামে"হলদিয়া কালচারাল ফোরাম" আয়োজিত উচ্চাঙ্গ  সংগীতানুষ্ঠানে পন্ডিত নয়ন ঘোষ ও পন্ডিত অনিদ্য  চট্টোপাধ্যায়ের অসাধারণ সেতার তবলার যুগলবন্দীতে আজ মোহিত হল শ্রোতৃমন্ডলী। হলদিয়া কালচারাল ফোরাম কর্ণধার মধুপ রায় এর বাড়িতে পৌষ মাসের কনকনে ঠান্ডায় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের অনুষ্ঠানে মোহিত হয়ে গেলেন শ্রোতৃমন্ডলী। হলদিয়া কালচারাল ফোরাম প্রতিবছর বিভিন্ন মহান-মহান সঙ্গীত শিল্পীদের আনার জন্য সাধারণ মানুষ মহান শিল্পীদের সান্নিধ্য পেয়ে থাকেন। সেজন্য উপস্থিত দর্শক ও শ্রোতৃ মন্ডলী মধুপবাবুকে ধন্যবাদ জানান।  


আ -মেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। দুঃস্থদের সাহায্যে এক কনসার্টের আয়োজন কমে গিয়েছে। করেছিলেন জিমি কার্টার। বাজিয়ে ছিলেন প্রখ্যাত তবলা ও সেতার শিল্পী পণ্ডিত নয়ন ঘোষ। ২০ মিনিটের অনুষ্ঠান ছিল। কিন্তু অনুষ্ঠান এক ঘণ্টা ছাড়িয়ে যায়। আমেরিকার গৃহহীনদের বাড়ি তৈরির জন্য অনুষ্ঠান করেছিলেন তিনি। “মধুর সেই স্মৃতি”, বলছিলেন পণ্ডিত নয়ন ঘোষ।

প্রসঙ্গত,হলদিয়া কালচারাল ফোরামের উদ্যোগে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের আসর বসেছিল চৈতন্যপুরের বাজিতপুর গ্রামে। বিশিষ্ট তবলা শিল্পী পণ্ডিত নিখিল ঘোষের স্মরণে আয়োজিত অনুষ্ঠান হয় ১৩ জানুয়ারি। আমন্ত্রিত ছিলেন তাঁর পুত্র তথা প্রখ্যাত তবলা ও সেতার শিল্পী পণ্ডিত নয়ন ঘোষ এবং পণ্ডিত অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। সেতারের অনুষ্ঠানে ঝিঁঝিট রাগ

পরিবেশন করেন পণ্ডিত নয়ন ঘোষ। তবলায় ছিলেন পণ্ডিত অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। সেতার পরিবেশনের মধ্যেই শিল্পী কণ্ঠ সঙ্গীতে একটি বন্দিশ ও বাউল আঙ্গিকের গান পরিবেশন করেন। শ্রোতারা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শোনেন। পণ্ডিত নয়ন ঘোষ জানান, উদ্যোক্তা মধুপ রায়ের আমন্ত্রণে তিনি এমন গ্রামীণ পরিবেশে অনুষ্ঠান করে খুশি। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সমঝদার দর্শকদের তিনি তারিফ করেন।

অনুষ্ঠান মঞ্চেই স্মৃতিচারণ করেন পণ্ডিত নয়ন ঘোষ। জানান, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের বিজ্ঞানসম্মত শিক্ষার জন্য তাঁর বাবা, পণ্ডিত নিখিল ঘোষ তৎকালীন বোম্বাইয়ে গড়ে তুলেছিলেন ‘সঙ্গীত মহাভারতী'। সেই সঙ্গীত বিদ্যালয় এখন তিনি পরিচালনা করছেন। ৫০০ জন শিক্ষার্থী এখন সেখানে। গুরুকুল আছে, আর্ট গ্যালারি আছে, অডিটরিয়াম আছে, রেকডিং আর্কাইভ আছে। প্রয়াত পণ্ডিত নিখিল ঘোষের ছ'হাজার পাতার সঙ্গীত এনসাইক্লোপিডিয়ার দ্বিতীয় সংস্করণের কাজ চলছে, জানিয়েছেন তিনি। এখন কত সময় ধরে রেওয়াজ করেন? শিল্পী জানান, প্রথম দিকে দশ থেকে পনেরো ঘণ্টা রেওয়াজ করতেন। এখন সময়

এদিন অনুষ্ঠানে শ্রোতার আসনে ছিলেন শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অনুরাগী প্রদীপ জানা। তাঁর সংগ্রহে ছিল ১৯৬৮ সালে ইংরেজিতে প্রকাশিত, পরে ১৯৭৪ সালে বাংলায় অনূদিত শাস্ত্রীয় সঙ্গীত গ্রন্থ, 'রাগ তালের মৌল বিষয় ও নুতন সংগীতলিপি পদ্ধতি'। বইয়ের লেখক পণ্ডিত নিখিল ঘোষ। বইটি হাতে পেয়ে দুই শিল্পীই উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন। এই বই এক সময় বিদেশে সঙ্গীত শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় হয়েছিল। এদিন একই অনুষ্ঠানে মধুবন্তী রাগে খেয়াল পরিবেশন করেন সুস্মিতা মাইতি গুড়িয়া। তাঁকে তবলায় পার্বতীচরণ গুড়িয়া ও হারমোনিয়ামে সঙ্গত করেন সৌম্যাশীষ সামন্ত। এর পর কথক নৃত্য পরিবেশন করেন নবীন সুদীপা কুইলা। বোলবাণীতে সহযোগিতা করেন তাঁর গুরু


No comments