Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

এক বছরেই বাংলায় নতুন করে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হলেন প্রায় এক লক্ষ মানুষ! এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানা গেল স্বাস্থ্যভবন সূত্রে

এক বছরেই বাংলায় নতুন করে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হলেন প্রায় এক লক্ষ মানুষ! এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানা গেল স্বাস্থ্যভবন সূত্রেডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার মতো প্রাপ্য গুরুত্ব মেলে না। অথচ রাজ্যে চুপচাপ প্রবল গতিতে বাড়ছে যক্ষ্মা। ২০২২ সালের ১ জানু…

 

এক বছরেই বাংলায় নতুন করে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হলেন প্রায় এক লক্ষ মানুষ! এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানা গেল স্বাস্থ্যভবন সূত্রে

ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার মতো প্রাপ্য গুরুত্ব মেলে না। অথচ রাজ্যে চুপচাপ প্রবল গতিতে বাড়ছে যক্ষ্মা। ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর—এই এক বছরেই বাংলায় নতুন করে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হলেন প্রায় এক লক্ষ মানুষ! এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানা গেল স্বাস্থ্যভবন সূত্রে। 

২০২১ সালে বাংলায় টিবিতে আক্রান্ত হন ৯১ হাজার মানুষ। ফলে মাত্র এক বছরের ব্যবধানে আক্রান্ত বাড়ল প্রায় ১০ হাজার! এর মধ্যে কলকাতাতেই নতুন করে টিবি ধরা পড়েছে প্রায় ১৩ হাজার মানুষের। 

পরিসংখ্যান উদ্বেগজনক হলেও এতে নিজেদের ‘জয়’ দেখছে স্বাস্থ্যভবন। শীর্ষ স্বাস্থ্যকর্তাদের দাবি, আসলে তাঁদের উদ্যমেই এই এক লক্ষ মানুষকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। আরও বেশি সংখ্যায় রোগী চিকিৎসার মধ্যে আসছেন। আসছেন প্রত্যক্ষ সরকারি নজরদারিতে। এতে ‘ওষুধ-ছুট’ আটকানো যাবে। অগ্রসর হওয়া যাবে টিবিমুক্ত পশ্চিমবঙ্গ গড়ার দিকে। 

কিন্তু, কলকাতায় আক্রান্ত এত কেন? কর্তাদের বক্তব্য, আক্রান্তদের মধ্যে কলকাতার বাসিন্দা কমই। আসলে, বিভিন্ন জেলা থেকে ঘুরে কলকাতায় আসা রোগীদের টিবি ধরা পড়ছে। তাই মনে হচ্ছে তাঁরা বোধহয় মহানগরবাসী। বাস্তবটা তা নয়। 

এই এক লক্ষ নতুন টিবি রোগীর মধ্যে সরকারি হাসপাতালের রোগীই চারভাগের তিনভাগ—৭৫ হাজার ৮৭৩। বাকি একভাগের (২৩ হাজার ৩৭৪) টিবি ধরা পড়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে। আক্রান্তের সংখ্যার বিচারে শীর্ষস্থানে কলকাতা (১২ হাজার ৮২৯)। তার পরই দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে মুর্শিদাবাদ ও উত্তর ২৪ পরগনা। 

এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, ‘সাধারণ মানুষ ভাবছে, টিবি রোগীর সংখ্যা বেশি। আমাদের মনে হচ্ছে, আরও বেশি সংখ্যক টিবি রোগীকে আদর্শ চিকিৎসার আওতায় আনা গেল। রোগনির্ণয় যত বাড়বে, ততই সঠিক চিকিৎসা দেওয়া যাবে।’ 

এখন প্রশ্ন, টিবির দাপাদাপি ফের এতটা বেড়ে যাওয়ার কারণ কী? স্বাস্থ্যকর্তারা বলছেন, কারণ অনেক। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার হ্রাস ডেকে আনতে পারে টিবি। ঩রোগটি ভীষণ সংক্রামকও। অপুষ্টি, ধূমপান বা অন্য ধরনের নেশা থেকেও টিবি সংক্রমণ ঘটতে পারে। দূষণ, ফাঙ্গাল ইনফেকশন, পাথর খাদানে কাজের জন্য সিলিকোসিস প্রভৃতিও টিবি সংক্রমণের কারণ।

No comments