অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আজ রাজ্য জুড়ে আয়োজিত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের টেট (WB TET) পরীক্ষা

অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আজ রাজ্য জুড়ে আয়োজিত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের টেট (WB TET) পরীক্ষা
চাকরীপ্রার্থীদের দীর্ঘ দিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আজ রাজ্য জুড়ে আয়োজিত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের টেট (WB TET) পরীক্ষা। …

 

অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আজ রাজ্য জুড়ে আয়োজিত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের টেট (WB TET) পরীক্ষা

চাকরীপ্রার্থীদের দীর্ঘ দিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আজ রাজ্য জুড়ে আয়োজিত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের টেট (WB TET) পরীক্ষা। রাজ্যে প্রায় ৭ লক্ষ পরীক্ষার্থী এবার টেট পরীক্ষায় বসছেন যার মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেই পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৫ হাজার ৭০০ জন। পরীক্ষা হচ্ছে ৭৬টি কেন্দ্রে। জেলায় পরীক্ষা সুষ্ঠ ভাবে নেওয়ার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, শিক্ষা দফতর, জেলা প্রশাসন-পুলিশের তরফে যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, জেলার প্রায় সব ক’টি কলেজ এবং বড় রাস্তার ধারে বিভিন্ন হাইস্কুলগুলিকে পরীক্ষা কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এবার প্রতিটি কেন্দ্রে কড়া নিরাপত্তার পাশাপাশি, নজিরবিহীন নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরার নজরদারি ছাড়াও কেন্দ্রের প্রবেশপথে ‘মেটাল ডিটেক্টর’ বসানো হচ্ছে। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতি যাচাই করা হবে।

কেন্দ্রের আশেপাশে জারি থাকছে ১৪৪ ধারা। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন সেন্টার ইনচার্জ (সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক কিংবা কলেজ অধ্যক্ষ) ও একজন অফিসার ইনচার্জ (শিক্ষা দফতর বা প্রশাসনের আধিকারিক) এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ নিযুক্ত একজন ‘অবজার্ভার’ থাকবেন। এছাড়াও একজন পুলিশের ইনচার্জ নিযুক্ত করা হয়েছে।

পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতি থেকে পরীক্ষা দেওয়া ও কেন্দ্র থেকে বের হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বেলা ১২টা থেকে দুপুর আড়াই পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে। পরীক্ষার্থীদের সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। পরীক্ষার্থীদের ব্যাগ, মোবাইল, ঘড়ি, ক্যালকুলেটর, জলের বোতল নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না। কেন্দ্রের প্রতিটি কক্ষে বড় দেওয়াল ঘড়ি রাখা হবে।

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র থানায় কড়া নিরাপত্তার মধ্য রাখা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র নিয়ে যাওয়া হবে কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে। পরীক্ষা গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনিকভাবে জেলা ও মহকুমা স্তরে মনিটরিং কমিটি গড়া হয়েছে। জেলা স্তরে মনিটরিং কমিটির চেয়ারম্যান জেলাশাসক ও মহকুমাস্তরে মনিটরিং কমিটির সংশ্লিষ্ট এলাকার মহকুমাশাসক। পরীক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়লে তা জানানোর জন্য জেলাশাসকের অফিসে কন্ট্রোল রুম’ও খোলা হয়েছে।