Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

বিতর্কিত তালিকায় থাকা ৩০০ শিক্ষক-শিক্ষিকার তথ্য সংগ্রহ

বিতর্কিত তালিকায় থাকা ৩০০ শিক্ষক-শিক্ষিকার তথ্য সংগ্রহ
পূর্ব মেদিনীপুরে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের ভূমিকা নিয়ে হইচইবিতর্কিত তালিকায় নাম থাকা পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ১৯৭টি হাইস্কুলের তিনশো শিক্ষক শিক্ষিকার নথি সংগ্রহ করা হল। দু দফ…

 




বিতর্কিত তালিকায় থাকা ৩০০ শিক্ষক-শিক্ষিকার তথ্য সংগ্রহ


পূর্ব মেদিনীপুরে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের ভূমিকা নিয়ে হইচই

বিতর্কিত তালিকায় নাম থাকা পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ১৯৭টি হাইস্কুলের তিনশো শিক্ষক শিক্ষিকার নথি সংগ্রহ করা হল। দু দফায় তাঁদের নামের তালিকা জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) অফিসে এসে পৌঁছয়। প্রায় সকলেই ২০১৯ সালে স্কুলে যোগ দেন। গত ২ ডিসেম্বরের মধ্যে ১৯৭টি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও টিচার ইন-চার্জকে তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছিল। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ১৮৩টি স্কুল থেকে রিপোর্ট আসে। ১৪টি স্কুল ওই তথ্য না দেওয়ায় সোমবার বেলা ১২টার মধ্যে ফের তথ্য তলব করা হয়। তারমধ্যে কয়েকটি স্কুল তথ্য পাঠিয়েছে বলে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সুভাশিস মিত্র বলেন, প্রায় তিনশো শিক্ষক-শিক্ষিকার নামের তালিকা রাজ্য থেকে আমাদের অফিসে পাঠানো হয়। তাঁদের সম্পর্কে কয়েকটি বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। সেইমতো প্রধান শিক্ষকদের থেকে তথ্য চাওয়া হয়। বেশিরভাগ স্কুল থেকে ওই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সম্পর্কে তথ্য এসে পৌঁছেছে।

স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি হিসেবে কোথাও বিধায়ক, কোথাও ত্রিস্তর পঞ্চায়েত কিংবা তালিকায় থাকা শিক্ষক শিক্ষিকাদের তথ্য চাওয়ায় তাঁরা চূড়ান্ত বিড়ম্বনায় পড়েছেন। কেউ কেউ স্কুলে শাসক দলের নেতা আছেন। সভাপতি পদটি মনোনীত। অভিযোগ, তাঁদের আপত্তিতে ১৪টি ঠিকমতো যাতায়াত করছেন না। স্কুলের প্রধান শিক্ষক ওই তথ্য দেননি। ভগবানপুর-১ ব্লকের এক্তারপুর হাইস্কুলের দু'জন শিক্ষকের সম্পর্কে তথ্য চাওয়া হয়েছিল। টিচার ইন-চার্জ অভিজিৎ দাস তাঁদের সম্পর্কে তথ্য দিয়েছেন। নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের দেবীপুর মিলন বিদ্যাপীঠের শিক্ষিকা টুম্পারানি মণ্ডল পড়ুয়ার নামে তথ্য চাওয়া হয়েছিল। প্রধান শিক্ষক জয়ন্ত অফিস। অগস্তি তাঁর সম্পর্কে তথ্য ডিআই অফিসে পাঠিয়ে দেন। রবিবার বিকেল ৫টায় ওই শিক্ষিকা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন।

দু'দফায় তিনশো শিক্ষক শিক্ষিকার সম্পর্কে তথ্য তলবের ঘটনায় জেলায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এরআগে প্রাথমিকে ৩০ জনের চাকরি খোয়া গিয়েছিল। তারপর সর্বোচ্চ আদালত হাইকোর্টের নির্দেশে স্থাগিতাদেশ দেওয়ায় সেই শিক্ষক শিক্ষিকারা ফের স্কুলে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু, সামাজিকভাবে তাঁরা তীব্র অস্বস্তির মধ্যে পড়েছেন। একইভাবে নবম-দশম ক্যাটাগরিতে বিতর্কিতএরআগে গত ৮নভেম্বর কোলাঘাট থানার দেড়িয়াচক গ্রামের শিক্ষক বাপ্পা বর্মন আত্মঘাতী হন। তিনি দেশপ্রাণ ব্লকের ভবানীপুরঅঘোরচাঁদ হাইস্কুলের ইতিহাসের শিক্ষক ছিলেন। বিতর্কিত তালিকায় ওই শিক্ষকেরও নাম রয়েছে। প্রধান শিক্ষকের কাছে তাঁর সম্পর্কে তথ্য চেয়েছে ডিআই।শুধুমাত্র পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেই বিতর্কিত তালিকায় নাম থাকা দুজন শিক্ষক-শিক্ষিকা আত্মঘাতী হলেন। এদিকে ওইসব শিক্ষক শিক্ষিকাদের সম্পর্কে অভিভাবক থেকে ছাত্রছাত্রীরাও এখন বাঁকা চোখে তাকাচ্ছে। এনিয়ে তাঁরাও চূড়ান্ত অস্বস্তির মধ্যে পড়েছেন। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) বলেন, আমাদের কাছে তালিকা এসেছে। সেই তালিকায় নাম থাকা শিক্ষক শিক্ষিকাদের কিছু তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। সেইমতো আমরা স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং টিআইসি-র কাছ থেকে জানতে চেয়েছি।

No comments