৪৫ তম বর্ষে হলদিয়া বাডস স্কুলের বাৎসরিক অনুষ্ঠান
১৯৭৮ সালে বন্দরের একটি কোয়ার্টারে, বন্দর কর্মীদের সন্তান সন্ততিদের নিয়ে প্রাক প্রাথমিক স্তরে একটি প্রথাগত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। উদ্দেশ্যে ছিল, তৎকালীন সেন্ট জেভিয়ার্…
৪৫ তম বর্ষে হলদিয়া বাডস স্কুলের বাৎসরিক অনুষ্ঠান
১৯৭৮ সালে বন্দরের একটি কোয়ার্টারে, বন্দর কর্মীদের সন্তান সন্ততিদের নিয়ে প্রাক প্রাথমিক স্তরে একটি প্রথাগত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। উদ্দেশ্যে ছিল, তৎকালীন সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের অ্যাডমিশন পরীক্ষায় যাতে শীক্ষার্থীরা সহজে উত্তীর্ণ হতে পারে। এই লক্ষ্য একশ শতাংশ সফল হয়েছিল। পরবর্তী সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের অ্যাডমিশন টেস্টে সবাই চান্স পেয়েছিল। তারপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি। বাডস স্কুলের এই শুরুর কাহিনী শুনিয়েছিলেন, তখনকার স্কুলের প্রধান রেবা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ সেই বাডস স্কুলের বাৎসরিক ক্রীড়ানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হল হলদিয়া ডক ইনস্টিটিউট এর ক্রিকেট ময়দানে। দু থেকে চার বছরের প্রায় চারশো বাচ্চা তাদের কালচারাল ও ক্রীড়া নৈপুণ্য প্রদর্শন করল। মুকাবিলা, উড়ি উড়ি যায়, ওয়ে ও, দীল হি ছোটাশা, নাচো নাচো, নো চাপ, কালীয় দমন, হাওয়া কি, ক্রিসমাস ইভেন্ট, উপভোগ করলেন সহস্রাধিক অভিভাবক, অন্যান্য স্কুলের শিক্ষক, বন্দরের পদাধিকারী ও সাধারণ দর্শক।
সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর ছিল ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। ক্যাট ওয়াক, কমলা লেবু রেস, ব্যাঙ্গেল রেশ, চকোলেট রেশ ইত্যাদি ছিল উল্লেখযোগ্য। ছোট ছোট শিশুরা যখন পাঁই পাঁই করে ছুটতে ছুটতে হঠাৎ করে বন্ধুকে পাশে না দেখে দাঁড়িয়ে পড়ে, বন্ধু এলে আবার দোড় শুরু করে, তখন অন্য কেউ ফার্স্ট হয়ে গেছে। বন্ধু কে ছেড়ে যাবো না, সামান্য ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ছোটদের এই মানসিকতা থেকে বড়োরাও কি কিছু শিখলেন, এমন প্রশ্ন ওঠে।
প্রিন্সিপাল ঝুমা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ক্রীড়া অনুশীলন এর মাধ্যমে যেমন শারীরিক সক্ষমতা বাড়ে, তেমনি ভবিষ্যত জীবনে নিয়মানুবর্তী হওয়া শেখায়।
স্কুলের সম্পাদক ননীগোপাল মন্ডল সুন্দর করে বললেন, বাড়ির পরিবেশ থেকে এই শিশু ছাত্র ছাত্রীরা স্কুলেও বাড়ির পরিবেশ চায়। আর একথা মাথায় রেখে, বাডসের প্রতি টি ক্লাশে তিরিশ জন স্টুডেন্টের জন্য তিনজন শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী থাকেন। পড়াশোনা তো উন্নত প্রথা মেনে হয়, এছাড়াও সাধারণ এটিকেট, শেয়ারিং, দলগত ইভেন্টগুলিতে অংশগ্রহণও দেখানো হয়।
এডুকেশনাল সোসাইটির এই স্কুলের সভাপতি অভিজিত গুপ্ত, সহ সভাপতি প্রবীণ দাস, বিজিতেশ ভট্টাচার্য,অমিত কর, ডিএভি এর প্রিন্সিপাল এন পি দত্ত সহ বিদ্যা ভবনস, এপিজে, সুধীর ইনস্টিটিউট এর শিক্ষক শিক্ষিকারা উপস্থিত ছিলেন।
শীতের মরসুম এ বাডস স্কুলের এই ক্রীড়ানুষ্ঠান সমগ্র টাউনশিপ কে আমোদিত করে তোলে।
No comments