বন্দর শহরে বাজার মাত করেছে ইটালিয়ান রেসিপিতে তৈরি কোকোনাট কেক
বড়দিন উপলক্ষে বন্দর শহরে বাজার মাত করেছে ইটালিয়ান রেসিপিতে তৈরি কোকোনাট কেক। জিভে জল এনে দেওয়া কেকের স্বাদে মজেছে ছেলে বুড়ো সবাই।
কেকের সুদৃশ্য মোড়ক আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠ…
বন্দর শহরে বাজার মাত করেছে ইটালিয়ান রেসিপিতে তৈরি কোকোনাট কেক
বড়দিন উপলক্ষে বন্দর শহরে বাজার মাত করেছে ইটালিয়ান রেসিপিতে তৈরি কোকোনাট কেক। জিভে জল এনে দেওয়া কেকের স্বাদে মজেছে ছেলে বুড়ো সবাই।
কেকের সুদৃশ্য মোড়ক আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে ক্রেতাদের কাছে। বড়দিনে উপহার দিতে কোকোনাট কেক ও আমন্ড ফেস্টিভ্যাল কেকের চাহিদা তুঙ্গে। কোকোনাট কেকের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে মিল্কমেড ও গাওয়া ঘি দিয়ে তৈরি নলেনগুড়ের কেক।
বাংলাদেশ থেকে ভাল জাতের নলেনগুড় এনে তৈরি হয়েছে কেক। এক টুকরো কেক মুখে দিলেই মিলবে নলেনগুড়ের অতুলনীয় স্বাদ। সেইসঙ্গে খাদ্য রসিক বাঙালিকে অভিনব উপহার দিতে মিষ্টিতেও লেগেছে শীত ও বড়দিনের ছোঁয়া।
এবার নামী মিষ্টি দোকানের তৈরি কমলালেবুর ক্ষীরকদম, ক্ষীরের পাটিসাপটা ও দুধপুলি দারুণ জনপ্রিয় হয়েছে। একহাতে সুদৃশ্য কেকের বাক্স অন্যহাতে মিষ্টি ও পিঠেপুলি ভর্তি হাঁড়ি নিয়ে ক্রেতাদের আপ্যায়ন করছে সান্তাক্লজ।
করোনাবিধি গত দু'বছর বড়দিনের উন্মাদনায় খানিকটা রাশ টেনেছিল। এবার ফের নতুন করে করোনা নিয়ে উৎকণ্ঠা তৈরি হলেও শিল্পশহরে এখনও প্রভাব পড়েনি। বড়দিন বা নতুন বছর উদ্দীপনার সঙ্গে 'গালা ফেস্টিভ্যাল' উদযাপনের জন্য শহর জুড়ে বড় বড় হোর্ডিং পড়েছে দিন পনের আগে থেকে। বিভিন্ন শপিংমল এবং হোটেলের তরফে অফার দিয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে দুর্গাচক, টাউনশিপ, সিটিসেন্টার সহ জনবহুল এলাকায়। কেকের দোকানগুলি সান্তাক্লজ ও রঙিন আলোয় সাজানো হয়েছে। টাউনশিপ মোহনা মার্কেটে বড়দিনের জন্য বিক্রি হচ্ছে নানা সাইজের সান্তাক্লজ। বিক্রেতা দিলীপ হাজরা বলেন, হলদিয়ায় গত ৫-৬বছর ধরে বড়দিনে সান্তাক্লজ সাজানোর চল হয়েছে। অনেকেই বাড়িতে সান্তাক্লজ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। পাঁচ টাকা থেকে ৫০০টাকায় বিক্রি হচ্ছে সান্তাক্লজ। কুমোরটুলি থেকে হলদিয়ার বাজারে এসেছে খড় ও প্লাস্টিক চাদরে ঢাকা সান্তা।
হলদিয়ার নামী নিউ বিদ্যুৎ বেকারির কর্ণধার অতনুকুমার দাস বলেন, ইটালিয়ান রেসিপিতে তৈরি কোকোনাট ও আমন্ড ফেস্টিভ্যাল কেক এবার বড়দিনের স্পেশাল হিসেবে বাজারে এনেছি। প্রিমিয়াম কোয়ালিটির কেকের হাফ পাউন্ডের দাম ৪০০টাকা। তবে সাধারণের দিকে তাকিয়ে ৭৫-১০০টাকার কেকও রযেছে। হলদিয়া থেকে কোকোনাট কেকের মতো বিভিন্ন ধরনের ফ্রুট কেক রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে। হলদিয়ার অন্যতম নামী দেশপ্রাণ বেকারির কর্ণধার স্বপন রায় বলেন, এবার কেকের বাজার অপেক্ষাকৃত ভাল হলেও কাঁচামালের দাম অত্যধিক বেড়ে যাওয়ায় ছোট বেকারি ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছে। ময়দার দাম কুইন্টালে প্রায় সাড়ে ৮০০ টাকা বেড়ে গিয়েছে। পাম অয়েলের দামও চড়া। প্রধান দুটি কাঁচামালের দাম বেড়ে গেলেও কেকের দাম তেমন বাড়েনি। পাউন্ডে ৫-১০টাকা মাত্র বেড়েছে এবার। তবে কেক প্যাকেজিং খরচ ব্যাপকহারে বেড়েছে। দুর্গাচকের মিষ্টি ব্যবসায়ী অভয়ানন্দ পাত্র বলেন, বড়দিনে টখন কেকের সঙ্গে মিষ্টি উপহার দেওয়া বেড়েছে। সেজন্য বড়দিন উপলক্ষে মিল্কমেড নলেন কেকের পাশাপাশি কমলালেবুর ক্ষীরকদম তৈরি করছি। হলদিয়ার বাসিন্দা দুর্গাপদ মিশ্র বলেন, একসময় বড়দিনের দামি আসত কলকাতা থেকে। এখন হলদিয়ার নামী বেকারির কেক রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছে। আমাদের কাছে এটা গর্বের।
No comments