লাল ছেড়ে গেরুয়া, ভিড়তে চেয়েছিলেন ঘাসফুলে, এবার লক্ষ্মণ হলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সহ সভাপতি
দলের এই সিদ্ধান্তে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত লক্ষ্মণ। এ বিষয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি শুনেছি নতুন সিদ্ধান্তের কথা। খুবই ভাল সিদ্ধ…
লাল ছেড়ে গেরুয়া, ভিড়তে চেয়েছিলেন ঘাসফুলে, এবার লক্ষ্মণ হলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সহ সভাপতি
দলের এই সিদ্ধান্তে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত লক্ষ্মণ। এ বিষয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি শুনেছি নতুন সিদ্ধান্তের কথা। খুবই ভাল সিদ্ধান্ত। আমি কংগ্রেসকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করব।”
বারেবারে বদলেছেন জ্যাকেট। বাম (Left) ছেড়ে ভিড়েছিলেন বিজেপিতে (BJP)। অবশেষে ২০১৯ সালের গোড়ার দিকে কংগ্রেসে যোগদান করেন লক্ষ্মণ শেঠ। তাঁর হাতে দলীয় পতাকা দিতে দেখা যায় সোমেন মিত্রকে। যদিও তারপরেও যেতে চেয়েছিলেন তৃণমূলে। এবার সেই কংগ্রেসেরই সহ-সভাপতির আসনে বসতে চলেছেন লক্ষণ শেঠ (Laxman Sheth)। নয়া পদে তাঁকে বহাল করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। প্রদেশ কংগ্রেসের (Congress) সাধারণ সম্পাদক মুস্তাক আলম ইতিমধ্যেই লক্ষণের নতুন দায়িত্ব পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিধান ভবনের তরফে লক্ষণকে চিঠি পাঠিয়েও নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
দলের এই সিদ্ধান্তে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত লক্ষ্মণ। এ বিষয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি দিল্লি থেকে হলদিয়া ফিরছি। আমি শুনেছি নতুন সিদ্ধান্তের কথা। খুবই ভাল সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্তে আমি খুশি। আমি কংগ্রেসকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করব। আমার কিছু পরিকল্পনা আছে সেটা পরে বলব।” প্রসঙ্গত, শেষ বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়েছিল হাত শিবির। তবে ভোটের রেজাল্টেই স্পষ্ট বিমান-অধীরকে একযোগে ব্রিগেডের মঞ্চে দেখা গেলেও হালে বিশেষ পানি পায়নি হাত শিবির। বর্তমানে গোটা রাজ্যেও কংগ্রেসের সংগঠনের অবস্থা তথৈবচ। এদিকে দরদায় কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এমতাবস্থায় লক্ষণ এখন কী করেন সেটাই দেখার।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের গোড়ায় আবার তৃণমূলে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন লক্ষণ। তবে সেবারই প্রথম নয়, একুশের শুভেন্দু অধিকারীর দলবদলের সময় লক্ষ্মণ শেঠ তৃণমূলে যোগদান করতে চেয়েছিলেন। লক্ষণকে বলতে শোনা গিয়েছিল “তৃণমূলে যোগদানের ইচ্ছে আছে। আমার ইচ্ছের কথা আমি জানিয়েছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শের পক্ষে। জনকল্যাণ মূলক কাজের প্রতি তিনি খুবই উদ্যোগী। উনি চাইলেই যে কোনও সময় ঘাসফুল শিবিরে যোগদান করতে পারি।” যা নিয়ে বিস্তর চর্চাও হয় রাজনৈতিক মহলে। এবার সেই লক্ষণের কাঁধে প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতির মতো গুরু দায়িত্ব এসে পড়ায় তা নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
No comments