হলদিয়ার বিদ্যুৎ বিহীন দুটি গ্রামে বিদ্যুৎ দেওয়ার ফর্ম বিতরণ শুরু
বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য বুধবার ৭ ই ডিসেম্বর প্রশাসনের তরফে ফর্ম বিলি করা হল হলদিয়া টাউনশিপ সংলগ্ন বিদ্যুৎহীন দুই গ্রামের বাসিন্দাদের। এদিন সকাল থেকে হলদিয়া পু…
হলদিয়ার বিদ্যুৎ বিহীন দুটি গ্রামে বিদ্যুৎ দেওয়ার ফর্ম বিতরণ শুরু
বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য বুধবার ৭ ই ডিসেম্বর প্রশাসনের তরফে ফর্ম বিলি করা হল হলদিয়া টাউনশিপ সংলগ্ন বিদ্যুৎহীন দুই গ্রামের বাসিন্দাদের। এদিন সকাল থেকে হলদিয়া পুরসভার প্রশাসক পুলিসের যৌথ উদ্যোগে টাউনশিপ পুলিস ফাঁড়িতে ফর্ম বিলির শিবির হয়। বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা শিবির থেকে ফর্ম বিলি করেন। পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিষ্ণুরামচক ও সাওতানচকে বাড়ি বাড়ি বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে এই উদ্যোগ নিয়েছে বিদ্যুৎদপ্তর। বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের নির্দেশে প্রাথমিক সার্ভে রিপোর্ট পাঠানোর একদিন পরই দ্রুততার সঙ্গে ফর্ম বিলির কাজ শুরু হয়েছে। গত রবিবার হলদিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ শহরের দুই বিদ্যুৎহীন গ্রামের বাসিন্দাদের সমস্যার কথা জানার পরই মন্ত্রীকে ফোন করে এই উদ্যোগ নেন। বিদ্যুৎ দপ্তরের হলদিয়ার ডিভিশনাল ম্যানেজার বিশ্বজিত ভঞ্জ করে জমা দেওয়ার পর সেগুলি বলেন, এদিন বিদ্যুত দপ্তরের দুর্গাচক অনলাইনে এন্ট্রি করার পর গ্রাহক পিছু কাস্টমার কেয়ার সেন্টার থেকে এক কোটেশন তৈরি হবে। ওই ফর্মেই হাজার ফর্ম পাঠানো হয়েছিল। বিকেল জানাতে হবে কতগুলি পর্যন্ত ৪৫০টি ফর্ম বিলি হয়েছে।ফর্ম পূরণ করে দ্রুত দুর্গাচক অফিসে জমা দিতে। সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমস্ত কাগজপত্র যুক্ত করে দিতে হবে। যাঁরা এদিন ফর্ম নিতে পারেননি তাঁদের অফিস থেকে ফর্ম নিতে হবে। বিদ্যুৎ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ফর্ম পূরণ
করে জমা দেওয়ার পর সেগুলি অনলাইনে এন্ট্রি করার পর গ্রাহক কিছু কোটেশন তৈরি হবে ওই ফর্মেই জানাতে হবে কতগুলি আলো জ্বালাবেন এবং সেই অনুযায়ী পাওয়ার লোড তৈরি হবে। গ্রাহকদের চাহিদা জানার পর কী পরিমাণ বিদ্যুৎ প্রয়োজন তা বোঝা যাবে। এরপর বিদ্যুৎ দপ্তর যোগাযোগ সার্ভে করে দেখবে কীভাবে ওই এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছনো সম্ভব।বিদ্যুৎ দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, ওই দুই গ্রামে প্রায় হাজারখানেক হাউস হোল্ড রয়েছে। সেজন্য হিসেব করে ফর্ম পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কিছু লোকজন প্রথমে বুঝতে পারেননি, সেজন্য এদিন শিবিরে সবাই আসেননি। তাঁদের এবিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এদিন প্রশাসনের পাশাপাশি বাসিন্দাদের সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা ও প্রাক্তন কাউন্সিলারও। তবে বন্দরের 'নো অবজেকশন' কীভাবে মিলবে তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। বিদ্যুৎ আধিকারিকরা বলেন, এ বিষয়ে উচ্চপর্যায়ে কথাবার্তা চলছে। আমাদের দ্রুত কাজ এগিয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হলদিয়া বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) প্রবীণকুমার দাস বলেন, আমাদের সঙ্গে এখনও কেউ এ বিষয়ে যোগাযোগ করেননি। বন্দরের অধিগৃহীত এলাকায় কারা কী কাজ করছেন তা জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়া হবে শীঘ্রই।
No comments