তমলুকে বিশেষ আদলতেও সুবিধা হল না শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ শ্যামল আদকের তিন দিনের জেল হেফাজততমলুকে বিশেষ আদলতেও সুবিধা হল না হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান,রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ শ্যামল কুমার আদকের । হল জেল হে…
তমলুকে বিশেষ আদলতেও সুবিধা হল না শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ শ্যামল আদকের তিন দিনের জেল হেফাজত
তমলুকে বিশেষ আদলতেও সুবিধা হল না হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান,রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ শ্যামল কুমার আদকের । হল জেল হেফাজত । সোমবার তাঁর ৩ দিনের জেল হেফাজত হল বিশেষ আদালতের নির্দেশে । ১৫ ডিসেম্বর ফের এই আদালতে তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । সুতাহাটা বাজার লাগোয়া এলাকায় সরকারি জায়গায় সংশ্লিষ্ট পিডব্লিডি দফতরের অনুমতি না নিয়ে অটো-টোটো স্ট্যাণ্ড নির্মাণ প্রকল্পে তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের তথ্য পুলিশের হাতে উঠে এসেছে । সেই মামলায় শনিবার রাতে হলদিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয় প্রাক্তন পুর প্রধানকে । রবিবার হলদিয়া মহকুমা আদালতের নির্দেশে তাঁর এক দিনের জেল হেফাজত হয়েছিল । বিচার বিভাগীয় প্রক্রিয়ায় সোমবার তাঁকে তমলুকে জেলা সদরের বিশেষ আদালতে তোলা হয় ।
পুর-প্রধান পক্ষের বেশ কয়েক জন আইনজীবী এই মামলায় তাঁদের মক্কেলের মুক্তি চেয়ে দীর্ঘ সময় গলা উঁচিয়ে সওয়াল করেন । সেই সঙ্গে সরকার পক্ষের আইনজীবী প্রভাবশালী ব্যক্তি শ্যামলের বিরুদ্ধে সরকারি পদে থেকে আর্থিক অনিয়ম সহ নানা দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন । ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত চাওয়াও হয় । কিন্তু সব পক্ষের আবেদন খারিজ করে বিচারক ৩ দিনের জেল হেফাজত নির্দেশ দিয়েছেন । তবে হলদিয়া পুরসভায় শ্যামল আদকের সময়কালে যে আর্থিক অনিয়ম হয়েছে, তার প্রভূত তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের তদন্তে । কেবল অটো-টোটো স্ট্যাণ্ড নির্মাণ প্রকল্প না । স্থানীয় হাতিবেড়িয়া গ্রামে একটি পিচ রাস্তা মেরামতি প্রকল্পে ৮৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে । তার বাইরে আরও বেশ কয়েকটি আর্থিক দুর্নীতির তথ্য রয়েছে পুলিশের কাছে । এক মামলায় ছাড় পেলেও অন্য মামলা ধৃত শ্যামলের ঘাড়ে শ্বাস ফেলছে । তাঁর রক্ষা কবচের যে কথা চাউর হয়েছে, তা আদপে রক্ষা কবচ না । আদালত আসামীকে পুলিশের কাজে সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছে মাতে । পুলিশ গ্রেফতার করতে পারবে না । তেমন কোনো স্পষ্ট নির্দেশ ছিল না বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে । তবে শ্যামল আদক বিজেপি হলেও এদিন আদালতে বিজেপি শিবিরের একজনও কেউ মানবিকতার খাতিরে তাঁকে চোখের দেখার জন্য উপস্থিতি জানান দেননি । রবিবার হলদিয়া আদালতেও তেমন চিত্র ছিল । তাঁর বিরুদ্ধে চাপা অসন্তোষ,ক্ষোভ এখনো যথেষ্ট রয়েছে । এই ঘটনায় তা প্রমাণিত বলে রাজনৈতিক মহলের ধারনা । এখন ১৫ ডিসেম্বর বিশেষ আদালতের রায়ের দিকে তাকিয়ে সকলে ।
No comments