Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ শ্যামল আদকের ১৪ দিনের জেল হেফাজত

শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ শ্যামল আদকের ১৪ দিনের জেল হেফাজত হলদিয়া পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্যামল আদকের সময় কালে অর্থ তাসরূপে দায়ে সুতাহাটা থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল হলদিয়া থেকে স্পেশাল বেঞ্চে শুনানির জন্য তমলুক আদালতে স্থান…

 




শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ শ্যামল আদকের ১৪ দিনের জেল হেফাজত হলদিয়া পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্যামল আদকের সময় কালে অর্থ তাসরূপে দায়ে সুতাহাটা থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল হলদিয়া থেকে স্পেশাল বেঞ্চে শুনানির জন্য তমলুক আদালতে স্থানান্তরিত হয়। গত চারদিন পুলিশ হেফাজতের নিয়েছিল সুতাহাটা থানা। সেই সময়কালে সুতাহাটা থানা পুলিশের উদ্যোগে শ্যামল আদত কে নিয়ে পুনর নির্মাণ করেন আজ একুশে ডিসেম্বর তমলুক আদালতে শ্যামল আদককে তোলা হয় ।আগামী ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিলেন বিচারক। আগামীকাল ২২শে ডিসেম্বর কলকাতা হাইকোর্টে তদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়ার তারিখ। সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে হাইকোর্ট কি রায় দেয়। যদিও শ্যামল আদক কে আগামী ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত জানুয়ারি পর্যন্ত হাইকোর্ট তাকে গ্রেফতার করা যাবে না কিন্তু শ্যামল আদক চেয়ারম্যান থাকাকালীন সুতাহাটা বাজারে নয়নজুরি ভরাট করে অটো স্ট্যান্ড এবং কয়েকটি স্টল বিলিবন্টনে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব কমলেশ চক্রবর্তী তারি পরিপ্রেক্ষিতে সুতাহাটা থানার পুলিশ শ্যামল আদককে গ্রেফতার করেছিল।

নতুন অনিয়মের অভিযোগে ফের ফাঁপরে হলদিয়ার প্রাক্তন পুরপ্রধান শ্যামল আদক। দুর্নীতির অভিযোগের পুরনো মামলার তদন্তের সময় সরকারি দোকান ঘর বণ্টন নিয়েও তাঁর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ সামনে এসেছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।

সুতাহাটায় অটো-ট্রেকার স্ট্যান্ড নিয়ে আর্থিক দুর্নীতি এবং তথ্য লোপাটের অভিযোগে ইতিমধ্যেই অভিযোগ রয়েছে শ্যামলের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে বর্তমানে তিনি জেল হেফাজতে রয়েছেন। পুলিশ সূত্রের খবর, গোদের ওপর বিষ ফোঁড়ার মতো সরকারি দোকানঘর বিতরণের অনিয়ম নিয়ে তদন্তে নয়া অভিযোগ সামনে আসছে শ্যামলের বিরুদ্ধে। সুতাহাটায় একটি নয়ানজুলি ভরাট করে পুরসভা দোকান ঘর তৈরি করেছিল। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, কীসের ভিত্তিতে দোকান ঘরগুলি বণ্টন করা হবে, তা নিয়ে ‘বোর্ড অফ কাউন্সিলর্স'-এ কোনওরকম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। পরে দেখা যায় সেই সব দোকান ঘরের মধ্যে ৮০ শতাংশ হকারদের জন্য, ১০ শতাংশ বরাদ্দ হয়েছিল স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্য এবং বাকি ১০ শতাংশ আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়াদের জন্য বরাদ্দ ছিল। অভিযোগ, শ্যামল আদক পুরপ্রধান

থাকাকালীন ’হলদিয়া পুরসভার ‘সেকেন্ড ইন কম্যান্ড' হিসাবে বিবেচিত হতেন প্রাক্তন পুরপারিষদ সত্যব্রত দাস। তিনি তাঁর নিজের প্যাডে ওই ৩৭টি স্টলের মধ্যে ৩৬টি দোকান ঘর বিতরণ করার জন্য নিজের মতো করে দোকান ঘর প্রাপকদের একটি তালিকা করে শ্যামলকে তথা প্রাক্তন পুর প্রধানকে চিঠি দিয়েছিলেন। অভিযোগ, প্রাপকদের তালিকার সেই চিঠির অনুমোদনও দেন শ্যামল আদক। পরে দেখা যায় সেই তালিকা অনুযায়ীই দোকান ঘর পেয়েছেন প্রাপকেরা।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্যামলের বিরুদ্ধে তদন্তের সময় হলদিয়া পুরসভা থেকে একাধিক ফাইল বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সুতাহাটা থানার পুলিশের ক্ষেত্রে পক্ষ থেকে বিতরণ সম্পর্কিত ফাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

এ দিকে, বুধবার শ্যামলকে তমলুকের বিশেষ আদালতে তোলা হলে তার ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। আর বর্তমানে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে জেলে হেফাজতে রয়েছেন প্রাক্তন পুর পারিষদ সত্যব্রত দাস। দুর্নীতির নতুন অভিযোগ প্রসঙ্গে হলদিয়া মহকুমার পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার তদন্তে হলদিয়া পুরসভা থেকে দোকান ঘর বণ্টন সম্পর্কিত ফাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।”


No comments