সাতসকালে দুষ্কৃতি হামলায় মাথা ফাটল তৃণমূল নেতার, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই উত্তপ্ত পূর্ব মেদিনীপুর !
সাতসকালে তৃণমূল কংগ্রেসের এক অঞ্চল সভাপতির ওপর হামলার অভিযোগ উঠল একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পূর্ব মেদিনীপুরের ভুপতিনগরের বরোজ এলাক…
সাতসকালে দুষ্কৃতি হামলায় মাথা ফাটল তৃণমূল নেতার, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই উত্তপ্ত পূর্ব মেদিনীপুর !
সাতসকালে তৃণমূল কংগ্রেসের এক অঞ্চল সভাপতির ওপর হামলার অভিযোগ উঠল একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পূর্ব মেদিনীপুরের ভুপতিনগরের বরোজ এলাকায় মঙ্গলবার সকালে একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন তৃণমূল নেতা মিহির ভৌমিক।
সেই সময়ই তাঁর ওপরে বাঁশ, রড নিয়ে একদল দুষ্কৃতি হামলা চালায় বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযোগের তীর বিজেপির দিকে, যদিও বিজেপি অভিযোগ অস্বীকার করেছে। খবর পেয়েই ভুপতিনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
তৃণমূলের অভিযোগ, গতকাল পাশের এলাকায় ভগবানপুর ২ ব্লকের পাউসিতে মন্ত্রী অখিল গিরি সহ তৃণমূলের একঝাঁক হেভিওয়েট নেতানেত্রীদের সভা চলাকালীনই কিছু দূরে বোমার আওয়াজ শোনা যায়। তারপরেই ভগবানপুরের ২ ব্লকেরই ভুপতিনগরে আজকের হামলার ঘটনা ঘিরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে।
এই ঘটনার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা এগরার বিধায়ক তরুন কুমার মাইতি বলেন "বিজেপি পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে। সিপিএমের হার্মাদগুলো এখন বিজেপির ঝাণ্ডা নিয়ে হামলা চালিয়েছে। পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য অনুরোধ করেছি"।
অন্যদিকে ঘটনায় দলীয় কর্মী যোগ অস্বীকার করে ভগবানপুরের বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি বলেন "এটা আসলে নব্য ও পুরানো তৃণমূলের অন্তরদ্বন্দ্ব। দুই গোষ্ঠী হামলা চালাচ্ছে আর বিজেপির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা চাপানো হচ্ছে”।
একই ভাবে রাজনৈতিক হামলার অভিযোগ উঠেছে নন্দীগ্রামে। সোমবার রাতে নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের সামসাবাদ এলাকায় দলীয় বৈঠক সেরে বাড়ি ফেরার পথে হামলার মুখে পড়েছে বিজেপি নেত্রী মামনি জানা। তাঁর ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
মামনির দাবী, তিনটি মোটর বাইকে চড়ে রাস্তা ঘিরে দাঁড়ায় দুষ্কৃতিরা। এরপরেই একটি বাইক থেকে তাঁকে লক্ষ করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। বিপদ বুঝে তিনি রাস্তার পাশে সরে গেলেও অস্ত্রের ঘায়ে তাঁর কাপড়, শীতের পোশাক ছিঁড়ে যায়। এরপরেই আবারও অন্য বাইক থেকে অস্ত্র চালাতে গেলে কোনওক্রমে চিৎকার করতেই দুষ্কৃতীরা অন্ধকারে গা ঢাকা দেয়। হামলাকারীদের প্রত্যেকের মুখ হেলমেটে ঢাকা ছিল। তবে এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি। পরে নন্দীগ্রাম থানায় এই নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন মামনি।
এদিকে এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে আরও একটি হামলার ঘটনার অভিযোগ উঠেছে খেজুরি বিধানসভা এলাকায় খেজুরি ২ ব্লকের মতিলালচকের নারায়ণমোড় এলাকায়। তৃণমূলের দাবী, তাঁদের দলীয় কর্মী প্রদীপ মিদ্যা বাড়ি ফেরার সময় কয়েকজনের সঙ্গে তাঁর বচসা বাধে। এরপরেই তাঁকে লোহার রড দিয়ে মারধর করা হয়। যদিও স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বে ঘটনাটিকে পারিবারিক বিবাদ বলেই দাবী করেছে।
No comments