Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

চৈতন্যপুর দৃষ্টিহীন স্কুল হস্টেল থেকে বেপাত্তা ৩ ছাএ

চৈতন্যপুর দৃষ্টিহীন স্কুল হস্টেল থেকে বেপাত্তা ৩ ছাএ
ভিনরাজ্যে কাজের খোঁজে হস্টেল থেকে পাঁচিল টপকে পালাল তিনজন পড়ুয়া। ঘটনাটি ঘটেছে হলদিয়ার চৈতন্যপুর বিবেকানন্দ মিশন আবাসিক দৃষ্টিহীন শিক্ষায়তনে। এটি মিশনের অধীন রাজ্য সরকার পোষ…

 




 চৈতন্যপুর দৃষ্টিহীন স্কুল হস্টেল থেকে বেপাত্তা ৩ ছাএ


ভিনরাজ্যে কাজের খোঁজে হস্টেল থেকে পাঁচিল টপকে পালাল তিনজন পড়ুয়া। ঘটনাটি ঘটেছে হলদিয়ার চৈতন্যপুর বিবেকানন্দ মিশন আবাসিক দৃষ্টিহীন শিক্ষায়তনে। এটি মিশনের অধীন রাজ্য সরকার পোষিত দৃষ্টিহীনদের স্পেশাল স্কুল। মঙ্গলবার ৮ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ ওই তিন ছাত্র হস্টেল থেকে পাঁচিল টপকে পালিয়ে যায়। বলে অভিযোগ। সন্ধে নাগাদ প্রার্থনার সময় রোল কল করতে গিয়ে ৩জন ছাত্র নিখোঁজ বলে জানতে পারে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এরপরই স্কুল কর্তৃপক্ষ সুতাহাটা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে। পুলিশ ও স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্লাস এইটের গোবিন্দ জানা, ক্লাস সিক্সের ওসমান গনি এবং ক্লাস ফোরের বিজয় শাসমল নামে তিনজন ছাত্র পলাতক। গোবিন্দর বাড়ি হাওড়ার শ্যামপুর থানার গাদিয়াড়া, ওসমানের বাড়ি মালদার কালিয়াচক এবং বিজয়ের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের কামরা এলাকায়। এরা হস্টেল থেকে খালি হাতে বেরিয়েছিল বলে স্থানীয়রা কেউ সন্দেহ করেনি। কুঁকড়াহাটিতে লঞ্চ পেরিয়ে ডায়মন্ডহারবার হয়ে ওই ছাত্ররা পালিয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে।ছাত্র পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় মিশন স্কুল কর্তৃপক্ষের নজরদারির শিথিলতার অভিযোগ উঠেছে। এই স্কুলে মোট ১৩০জন পড়ুয়া রয়েছে। দৃষ্টিহীন স্কুলে অনেকেই ক্ষীণদৃষ্টির পড়ুয়াও রয়েছে। পড়াশোনার ক্ষেত্রে সমস্যার জন্যই এরা ব্রেইলের মাধ্যমে শিক্ষা নেয়। পলাতক তিন পড়ুয়াই ক্ষীণদৃষ্টিসম্পন্ন। তবে একা বাড়ি যাতায়াতে তারা অভ্যস্ত ছিল। স্কুল ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, নিচু ক্লাসে পড়লেও ওই পলাতক ছাত্রদের প্রত্যেকের বয়স আঠারো পেরিয়েছে। তিনজন শলাপরামর্শ করেই স্কুলের পিছনের পাঁচিল টপকে পালিয়েছে। জানা গিয়েছে, পালানোর মতলব কষেই ওই ছাত্ররা হস্টেলের অন্য ছাত্রদের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিল। পালানোর সময় ডায়মন্ডহারবারে সিভিকের হাতে ধরা পড়ার পর মা অসুস্থ বলে কোনও রকমে তারা পালিয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে রাতে খবর পেয়েই এদিন সকালে তিন ছাত্রের অভিভাবক মিশন স্কুলে এসে উপস্থিত হন। হাওড়ার পড়ুয়া গোবিন্দর বাবা স্বপন জানা বলেন, লকডাউনের সময় কাজের জন্য ছেলে কয়েকবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। পরে নিজেই আবার বাড়ি ফিরে আসে। স্বপনবাবু পেশায় ভ্যানচালক। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আশিস পাণ্ডা বলেন, তিন ছাত্রের হদিশ মিলেছে। হস্টেল থেকে পালিয়ে গোবিন্দ হাওড়া স্টেশনে থেকে যায়। বিজয় ও ওসমান গনি ট্রেনে চেপে এলাহবাদ চলে গিয়েছে। বিজয়ের কোনও আত্মীয় এলাহবাদে কাজ করে। সেখানে গিয়েই ওরা দু'জন উঠেছে।

আশিসবাবু বলেন, হস্টেলের সিসিটিভি ফুটেজে ওদের গতিবিধি ধরা পড়েছে। পুলিসকে সেই তথ্য দেওয়া হয়েছে। হলদিয়ার এসডিপিও রাহুল পাণ্ডে বলেন, এলাহবাদে হস্টেল পালানো ছাত্রদের খোঁজ মিলেছে। ওদের কীভাবে ফিরিয়ে আনা হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে। স্কুলের হস্টেলের নিরাপত্তা বাড়াতে বলা হয়েছে।

No comments