সাংসদ কোটার ৮২ লক্ষ টাকার কাজ না হওয়া দূর্ণীতির অভিযোগ কুণাল ঘোষের, তদন্তের দাবি সাংসদ থাকাকালীন হলদিয়া পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের পরাণচক শিক্ষানিকেতনে কুণাল ঘোষ ৮২ লক্ষ টাকা সাংসদ কোটার টাকা অনুমোদন করেছিলেন ২০১৭ সালে। সেই টাকা ঠ…
সাংসদ কোটার ৮২ লক্ষ টাকার কাজ না হওয়া দূর্ণীতির অভিযোগ কুণাল ঘোষের, তদন্তের দাবি
সাংসদ থাকাকালীন হলদিয়া পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের পরাণচক শিক্ষানিকেতনে কুণাল ঘোষ ৮২ লক্ষ টাকা সাংসদ কোটার টাকা অনুমোদন করেছিলেন ২০১৭ সালে। সেই টাকা ঠিক মতো ব্যবহার না হওয়ার অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার স্কুলে কাজ পরিদর্শন করলেন প্রাক্তন সাংসদ তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি তাঁর সাংসদ তহবিল থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ৩৫ টি স্কুলে পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য মোট ৪ কোটি ২৯ লক্ষ ৬৯ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছিলেন। অধিকাংশ স্কুলের কাজ সম্পূর্ণ হলেও হলদিয়ার পরাণচক শিক্ষানিকেতনে মাঝ পথেই কাজ আটকে রয়েছে। এত টাকা দেওয়ার পরে কেন কাজ সম্পূর্ণ হলো না তা খতিয়ে দেখতে স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেন কুণাল। দূর্ণীতির আঁচ পাচ্ছেন কুণালবাবু। যাতে সুন্দরভাবে স্কুলের কাজ সম্পূর্ণ তার জন্য যা যা করনীয় আইনের ব্যবস্থা গ্রহন করার দরকার তা করবেন বলে জানান কুণাল ঘোষ।
শিল্পনগরী হলদিয়ার শতাব্দী প্রাচীন পরাণচক শিক্ষা নিকেতন।হলদিয়ার এইচ পি এল লিঙ্ক রোড লাগোয়া পরাণচক গ্ৰামে ১৯০৭ সালে গড়ে ওঠে স্কুলটি।হলদিয়ার প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।পরে শিল্প কারখানার প্রসারের জন্য সুতাহাটা থানা লাগোয়া হলদিয়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীকৃষ্ণপুরে স্থানান্তরিত হয়।স্কুলের পড়ুয়া সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে থাকার পাশাপাশি ওই স্কুলের পড়ুয়ারা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় মেধা তালিকায় স্থান পায়।কিন্তু স্কুলের স্থায়ী অডিটোরিয়াম হল না থাকায় স্কুল কর্তৃপক্ষ সরকারের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।২০১৭ সালে স্কুলে অত্যাধুনিক মানের অডিটোরিয়াম নির্মাণে জন্য তৎকালীন সাংসদ কুণাল ঘোষ তাঁর সাংসদ তহবিল থেকে ৮২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেন।কাজের দায়ভার দেন জেলাশাসক কে।হলদিয়া পুরসভার তত্ত্বাবধানে স্থানীয় এক ঠিকাদার সংস্থা কাজ শুরু করে ২০১৯ সালের শেষ দিকে।চলতি বছরে পুজোয় আগে অর্থের অভাবে কাজ বন্ধ হয়ে যায়।স্কুলের তরফ থেকে বহু অভিযোগ জানানো হয় সাংসদকে।শুক্রবার ১৮ ই নভেম্বর সকালে সরজমিনে কাজ দেখতে যান প্রাক্তন সাংসদ তৃনমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।পুরো বিষয় জেনে ঘটনায় তদন্তের আশ্বাস দেন।সেই সঙ্গে কাজের জট কাটিয়ে কাজ শেষ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। জানা যায় প্রথম দফায় ৬১ লক্ষ টাকা দেন।সেই মতো কাজ শুরু হয়।কিন্তু কাজে ঢিলেমির জন্য পাঁচ বছর পার হয়ে গেলেও জীর্ণ কঙ্কাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে।ঠিকাদার সংস্থার দাবি যা বাজেটে কাজ শুরু হয়েছিল,তা পরবর্তী কালে অনেকখানি বেড়ে যায় তাই অডিটোরিয়ামের কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ার আগেই টাকা শেষ হয়ে গেছে।
No comments