আজব স্টেশন নেই টিকিট কাউন্টার, স্টেশন রয়েছে ঝোপ-জঙ্গলে
হলদিয়া বন্দর স্টেশনের আগে ট্রেন থেমে যায় দু'বার। স্টেশনের দরজা, জানলাহীন ভাঙাচোরা টিকিট কাউন্টারে সাপের আড্ডা। চারপাশ জঙ্গলে ঢেকে গিয়েছে। এক সময় ট্রেন দাঁড়াত। যাত্রী…
আজব স্টেশন নেই টিকিট কাউন্টার, স্টেশন রয়েছে ঝোপ-জঙ্গলে
হলদিয়া বন্দর স্টেশনের আগে ট্রেন থেমে যায় দু'বার। স্টেশনের দরজা, জানলাহীন ভাঙাচোরা টিকিট কাউন্টারে সাপের আড্ডা। চারপাশ জঙ্গলে ঢেকে গিয়েছে। এক সময় ট্রেন দাঁড়াত। যাত্রীরা ওঠা নামা করতেন। সম্প্রতি স্টেশনে ফের ট্রেন দাঁড়াতে শুরু করেছে। তবে স্টেশনে দু'বার থামে ট্রেন। কারণ, ঝোপঝাড়। তুলনায় যেখানে ঝোপঝাড় কম সেখানে একবার দাঁড়িয়ে সামনের দিকের যাত্রীদের নামায়। ফের কিছুদুর গিয়েই দাঁড়ায় পিছনের কামরার যাত্রীদের নামা-ওঠার জন্য।স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম বলতে প্রায় কিছু নেই। তবু শ'য়ে শ'য়ে যাত্রী রোজ ওঠা নামা করছেন শিল্পপ্রবেশ স্টেশনে যাবতীয় অসুবিধা নিয়েই। শিল্পশহরের প্রচুর লোকজন কাজের সূত্রে এই স্টেশন গিয়েই যাতায়াত করেন। এক নিত্যযাত্রীর অভিযোগ, “এত মানুষ নামেন এই স্টেশনে। অথচ টিকিট কাউন্টার নেই এখানে। লেই নিরাপত্তা। ঝোপ-জঙ্গল পেরিয়ে স্টেশনে আসতে হয়। স্টেশন থেকে অ্যাপোচ রোড নেই এই এলাকায়। ঝোপঝাড়ে বিষাক্তসাপের আড্ডা। ভয়ে ভয়ে পথ চলতে হয়।” তাঁর মতো অনেকেই জানান, পিছনের দিকের কামরায় থাকলে নামা যায় না ট্রেন দাঁড়ালেও। তাই ট্রেন একবার দাঁড়ালে প্রথমে সামনের দিকের যাত্রীরা নামাওঠা করেন। ফের আর একবার দাঁড়ালে পিছনের কামরার যাত্রীরা নামাওঠা করেন। তাঁদের কটাক্ষ, দেশজুড়ে রেলের অগ্রগতির মানচিত্রে এমন ছবি সত্যিই বিরল! তবে নামেই স্টেশন। থাকেন না কোনও রেলকর্মী। নেই পানীয় জলের ব্যবস্থা, শৌচাগার। এমনকী স্টেশনে টিকিট দেওয়া হয় না বলেও এক যাত্রীর অভিযোগ। বাধ্য হয়েই বিনা টিকিটে যাত্রা করেন অনেকে।এক যাত্রীর অভিযোগ, হলদিয়া হাওড়া লোকাল ট্রেনের যে রুট রয়েছে সেখানে এই স্টেশনের অস্তিত্ব নেই। কী বলছেন রেলের কর্তারা? রেলের এক আধিকারিক অবশ্য স্বীকার করেছেন, ওই স্টেশনে কোনও পরিকাঠামো নেই। কেবলমাত্র সকাল ও বিকেলে ট্রেন দাঁড়ায় কর্মীদের নামাতে। কিন্তু এখন যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে। দক্ষিণ পূর্ব রেলের যাত্রী সুরক্ষা কমিটির সম্পাদক সরোজ ঘড়া বলেন, “সমস্যার কথা রেলকে জানিয়েছি লিখিতভাবে। স্টেশনের পরিকাঠামোর উন্নতির দাবি জানিয়েছি।”
No comments