ধনতেরাস উপলক্ষে এবার হলদিয়ায় রুপোর লক্ষ্মী-গণেশের মূর্তি ও কয়েনের চাহিদা দ্বিগুণ বেড়েছে
পুজোর আগে থেকে ধনতেরাসের জন্য জুয়েলারি দোকানগুলিতে মিনেকরা রুপোর লক্ষ্মী গণেশের অর্ডার পড়েছে। ধনতেরাস আরও সপ্তাহখানেক বাকি থাকলেও নতুন ক…
ধনতেরাস উপলক্ষে এবার হলদিয়ায় রুপোর লক্ষ্মী-গণেশের মূর্তি ও কয়েনের চাহিদা দ্বিগুণ বেড়েছে
পুজোর আগে থেকে ধনতেরাসের জন্য জুয়েলারি দোকানগুলিতে মিনেকরা রুপোর লক্ষ্মী গণেশের অর্ডার পড়েছে। ধনতেরাস আরও সপ্তাহখানেক বাকি থাকলেও নতুন করে আর অর্ডার নিচ্ছে না কোনও দোকানই। ধনতেরাস উপলক্ষে করোনার আগের অবস্থায় সোনা ও রুপো কেনাকাটার বাজার ফিরেছে বলে অভিমত জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের। শিল্পশহরে অবাঙালিদের পাশাপাশি ধনতেরাসে মাঙ্গলিক হিসেব সোনা-রুপোর গয়না বা রুপোর লক্ষ্মী গণেশের বড় ক্রেতা এখন বাঙালি পরিবারগুলি। তাছাড়া বন্দর শহরে বিভিন্ন শিল্প সংস্থায় বাঙালি আধিকারিক ও কর্মীর সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়েছে। ফলে হলদিয়ায় যেনতেরাস উপলক্ষে বাজার বেশ চাঙ্গা। সোনা-রুপোর সঙ্গে মিষ্টি, নতুন জামাকাপড়, দর্শকর্মার দোকানগুলিতে ভিড় লেগেছে। হলদিয়ার টাউনশিপ মাখনবাবুর বাজার ল্যান্ডমার্ক সংলগ্ন একটি জুয়েলারি দোকানের মালিক চিত্তরঞ্জন কামিলা বলেন, গত দু'সাত বছরে হলদিয়ায় কালীপুজো ও দীপাবলির সঙ্গে ধনতেরাসে কেনাকাটা
বেড়েছে। অবাঙালিদের সঙ্গে বাঙালি ক্রেতাদের মধ্যে গত তিন চার বছর ধরে রুপোর লক্ষ্মী-গণেশ কেনার প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে। অনেকেই একমাস আগে থেকে অর্ডার দিচ্ছেন। এবার বাজারে খুব সুন্দর নিলেকরা বড় আকারের লক্ষ্মী-গণেশ এসেছে। এর দাম আড়াই হাজার থেকে সাত-আট হাজার পর্যন্ত। রুপোর পরিমাণ ও ডিজাইনের উপর দান নির্ভর করে। রুপোরপ্লেট, ধূপধানি, পরা, ঘাট, রুপোর পাতা সবই মিলছে। কম বাজেটের মধ্যে চারশো টাকায় লক্ষ্মী-গণেশ আঁকা করেন মিলছে। এর চাহিদাও বেড়ে গিয়েছে অনেক। হলদিয়ার বাসিন্দা বন্দরের প্রাত্তন জেনারেল ম্যানেজার অমল দত্ত বলেন, হলদিয়ায় আগের তুলনায় বিভিন্ন সংস্থায় অবাঙালিদের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। সেজন্য এখন কলকাতার মতো এখানেও ধনতেরাস পার্বন হয়ে উঠেছে।
No comments