১ নভেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় দুয়ারে সরকার শিবির। তবে এই প্রথম এই শিবিরে থাকছে না ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প। কারণ, চলতি অর্থবর্ষে এই প্রকল্পের অধীন বাংলার জন্য শ্রমদিবস বরাদ্দই করেনি মোদি সরকার। এই নিয়ে এ…
১ নভেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় দুয়ারে সরকার শিবির। তবে এই প্রথম এই শিবিরে থাকছে না ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প। কারণ, চলতি অর্থবর্ষে এই প্রকল্পের অধীন বাংলার জন্য শ্রমদিবস বরাদ্দই করেনি মোদি সরকার। এই নিয়ে একাধিকবার কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, কেন্দ্রের দাবি মেনে সমস্ত তথ্য দিয়েছে রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তর। তবুও এই প্রকল্প থেকে বাংলার মানুষকে এখনও পর্যন্ত বঞ্চিত রেখেছে নয়াদিল্লি।
পঞ্চম দফার এই দুয়ারে সরকার শিবির চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। ১ থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে ‘পাড়ায় সমাধান’ শিবির। বিগত সময়ে প্রতি বছর ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে দেশে এক নম্বর স্থান ধরে রেখেছে বাংলা। সেই কারণে দুয়ারে সরকার শিবিরে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে রাখা হতো এই প্রকল্পকে। নতুন জবকার্ড থেকে শুরু করে কাজের জন্য আবেদন করতে পারতেন গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দারা। শনিবার আসন্ন দুয়ারে সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে একটি পর্যালোচনা বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সমস্ত সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন নবান্নের এই বৈঠকে। ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন জেলাশাসকরা। নবান্ন সূত্রে খবর, এই বৈঠকেই এবারের দুয়ারে সরকার শিবিরে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্প বাদ পড়ার বিষয়টি উঠে আসে। জানা গিয়েছে, এবারের শিবিরে বেশি করে জোর দিতে বলা হয়েছে মৎস্যজীবীদের নাম নথিভুক্ত করায়। এর ভিত্তিতেই রাজ্যের প্রতিটি মৎস্যজীবীকে পরিচয়পত্র দেবে রাজ্য। পাশাপশি কৃষি পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিল (এগ্রিকালচার ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফান্ড) স্কিমে জোর দিতে বলা হয়েছে। এবারের দুয়ারে সরকার শিবিরে রাজ্য সরকারের মোট ২৫টি প্রকল্পের সুবিধা মিলবে। থাকছে খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, জাতি শংসাপত্র, শিক্ষাশ্রী, তফসিলি বন্ধু, জয় জোহার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, মানবিক, কৃষকবন্ধু, ঐক্যশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড মতো প্রকল্পগুলি। জেলা প্রশাসনকে বিচ্ছিন্ন এলাকায় মোবাইল ক্যাম্পের মাধ্যমে বেশি করে পৌঁছনোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।
No comments