হলদিয়ায় টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় ‘সিট’ গঠন জেলা পুলিশের
দুর্নীতি এবং জালিয়াতিতে অভিযুক্ত হলদিয়ার প্রাক্তন পুরপ্রধান শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে তদন্তে ১২ সদস্যের ‘সিট' গঠন করল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। সদস্য সংখ্যা এবং আয়তনে …
হলদিয়ায় টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় ‘সিট’ গঠন জেলা পুলিশের
দুর্নীতি এবং জালিয়াতিতে অভিযুক্ত হলদিয়ার প্রাক্তন পুরপ্রধান শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে তদন্তে ১২ সদস্যের ‘সিট' গঠন করল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। সদস্য সংখ্যা এবং আয়তনে যা নজিরবিহীন বলে মনে করা হয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, হলদিয়ার এসডিপিও রাহুল পান্ডেকে মাথায় রেখে তৈরি করা পুলিশের ওই বিশেষ দলে দু'জন ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিক এবং ৯ জন সাব ইনস্পেক্টর রয়েছেন। এঁদের একটি বড় অংশই বিভিন্ন থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক। পূর্ব মেদিনীপুর পুলিশ সূত্রের খবর, গত পাঁচ বছরে জেলায় খুন এবং অন্য কয়েকটি মামলার তদন্তের জন্য ‘সিট' গঠন করা হলেও সেগুলি বহরে এত বড় ছিল না। তাই এবারের এই বিশাল দলের আয়তন দেখে অনুমান করা যাচ্ছে যে, ওই দুর্নীতি মামলাকে আদৌও লঘু করে দেখছে না পুলিশ।গত ২৯ সেপ্টেম্বর অরুণাংশু মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি যে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, সেখানে বলা হয়েছিল শ্যামল আদক অরুণাংশুর সংস্থার জন্য ক্রেডেনশিয়াল তৈরি করেন। তার আর্থিক মূল্য প্রায় ৮৬ লক্ষ ২৯ হাজার টাকা বলে দাবি করা হয়। এর সপক্ষে হলদিয়া ও ঘাটাল পুরসভা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের দুটি কাজের নমুনা যুক্ত করেন। কিন্তু তদন্তে দেখা যাচ্ছে, সরকারি বরাদ্দ পাওয়ার জন্য জাল নথি দাখিল করে ভুয়ো ক্রেডেনশিয়াল হলদিয়া পুরসভায় জমা দেওয়া হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর পুলিশ সুপার অমরনাথ কে বলেন, “ঘাটাল পুরসভা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের কাজ না করেই ভুয়ো নথি দেওয়া হয়েছিল হলদিয়া পুরসভায়। বেশ কিছু কাজের বরাত দরপত্র না করেই দেওয়া হয়েছিল। দুর্নীতি মামলার তদন্তে ১২ সদস্যের একটি সিট গঠন করা হয়েছে।”
এদিকে, শ্যামলের বিরুদ্ধে টেন্ডা দুর্নীতি তদন্তের জন্য পুলিশ বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে শ্যামল ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর সত্যব্রত দাস সিআইসি নারায়ণ চন্দ্র প্রামাণিক ও পৌরসভার অর্থ দপ্তরের সিআইসি বিকাশ জানা। পুলিশের তরফে নোটিস দেওয়া হয়েছিল। হলদিয়ার ১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর সত্যব্রত দাস তৃণমূলের হয়ে জয়ী হলেও পরে শ্যামলের সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দেন বলে দাবি প্রাক্তন কাউন্সিলর একাংশের। পুলিশ জানিয়েছে, শ্যামলের পুরপ্রধান থাকাকালীন সময়ে সত্যব্রত দরপত্র কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী ছিলেন। ফলে সত্যব্রতকে জিজ্ঞাসা করলে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া যাবে বলে পুলিশের অনুমান। বৃহস্পতিবার সকালে সত্যব্রত দাস ,বিকাশ জানা ও নারায়ণচন্দ্র প্রামাণিক থানায় উপস্থিত হন দীর্ঘ সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ চলে। হলদিয়া পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অ্যাডিশনাল এসপি শ্রদ্ধা পান্ডে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন তদন্ত চলছে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আরোও কয়েকজন কাউন্সিলর কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পৌরসভার টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় একটি সিট গঠন করা হয়েছে। শ্যামল আদকে গ্রেফতার করার জন্য হলদিয়ার একটি পুলিশ টিম দিল্লিতে রয়েছেন।
No comments