ভবিষ্যতে দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজার বৃদ্ধির সম্ভাবনা বিপুল। সেই দিকে চোখ রেখেই ওই গাড়িতে ব্যবহৃত ব্যাটারির প্রধান উপাদান ‘লিথিয়াম আয়ন সেল' তৈরির কারখানা গড়তে ঝাঁপাল কলকাতার এক্সাইড ইন্ডাস্ট্রিজ। ব্যাটারি ক্ষেত্রের অগ্রণী…
ভবিষ্যতে দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজার বৃদ্ধির সম্ভাবনা বিপুল। সেই দিকে চোখ রেখেই ওই গাড়িতে ব্যবহৃত ব্যাটারির প্রধান উপাদান ‘লিথিয়াম আয়ন সেল' তৈরির কারখানা গড়তে ঝাঁপাল কলকাতার এক্সাইড ইন্ডাস্ট্রিজ। ব্যাটারি ক্ষেত্রের অগ্রণী এই সংস্থার পরিকল্পনা, আগামী আট-দশ বছরে দুই পর্যায়ে বেঙ্গালুরুতে সেই কারখানা তৈরি হবে। লগ্নি হবে ৬০০০ কোটি টাকা। প্রথম পর্যায় ২০২৪ সালে চালু হওয়ার সম্ভাবনা। কারখানা পুরোদমে কাজ শুরুর পরে এই ব্যবসা থেকে ১০-১২ হাজার কোটি টাকা আয়ের আশা করছে এক্সাইড।
লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির 'প্যাক' ও 'মডিউল' তৈরির জন্য সুইৎজারল্যান্ডের এক সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে গুজরাতে কারখানা গড়েছে এক্সাইড। সেগুলি তৈরির মূল উপাদান ‘লিথিয়াম আয়ন সেল' তৈরির বিষয়ে গত ডিসেম্বরে সায় দেয় তাদের পরিচালন পর্ষদ। সেই প্রকল্পের প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য চিনের এসভিওএলটি এনার্জি টেকনোলজির সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি গাঁটছড়া বেঁধেছে সংস্থা। বৃহস্পতিবার এক্সাইডের এমডি-সিইও সুবীর চক্রবর্তী জানান, ছয় গিগাওয়াট করে দুই পর্যায়ে কারাখানাটি তৈরি হবে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরের নিকটবর্তী শিল্প তালুকে। ৮০ একর জমির উপর মোট ১২ গিগাওয়াটের সেল - কারখানাটি গড়তে ৬০০০ কোটি টাকা লগ্নি করছেন তাঁরা। সেখানে ব্যাটারির ‘মডিউল' এবং প্যাক'-ও তৈরি হবে। ৩৮০০-৪০০০ কোটি টাকায় প্রথম পর্যায় সম্পূর্ণ হবে ২৭-৩০ মাসের মধ্যে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, সম্ভবত তাঁরাই প্রথম সংস্থা, যারা দেশে লিথিয়াম আয়ন সেলের কারখানা তৈরির কাজ শুরু করছে।
কর্নাটক কেন? সুবীরবাবু জানান, বিমানবন্দরের পাশাপাশি জাতীয় সড়ক এবং বন্দরের মতো ■ পরিকাঠামোও সেখানে কাছাকাছি। = কর্মীমহলের জন্য স্থানীয় সামাজিক পরিকঠামো খুব ভাল। আর কর্নাটক 1 সরকার আকর্ষণীয় আর্থিক সুবিধা দিয়েছে। চিনা সংস্থার সঙ্গে জোট বেঁধে শুরু করতে চলা এই প্রকল্পে ভারত চিন সম্পর্ক কোনও প্রভাব ফেলতে পারে কি না, সেই প্রশ্নও উঠেছে।
No comments