দুর্গা পূজা বা দুর্গোৎসব হল দেবী দুর্গার পূজাকে কেন্দ্র করে প্রচলিত একটি উৎসব।বাঙালি সনাতনী সমাজে এটি অন্যতম বিশেষ ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব। এই বাংলা আজও সাক্ষী হয়ে আছে বহু প্রাচীন ও বনেদি দুর্গা পূজার। এমনই এক দুর্গা পূজা শুরু হয়ে…
দুর্গা পূজা বা দুর্গোৎসব হল দেবী দুর্গার পূজাকে কেন্দ্র করে প্রচলিত একটি উৎসব।বাঙালি সনাতনী সমাজে এটি অন্যতম বিশেষ ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব। এই বাংলা আজও সাক্ষী হয়ে আছে বহু প্রাচীন ও বনেদি দুর্গা পূজার। এমনই এক দুর্গা পূজা শুরু হয়েছিল ১৩৮ বছর আগে নন্দীগ্রামের খোদামবাড়ি তে স্বর্গীয় উপেন্দ্রনাথ মাইতি'র হাত ধরে। এই পূজার শুরুটাও বেশ নাটকীয়। কোনো এক কোর্ট কেস জয়ের উপলক্ষে শুরু হয়েছিল এই দুর্গা পূজা। পরবর্তীতে নিঃসন্তান উপেন্দ্রনাথের মৃত্যুর পর ভাগ্নেয় স্বর্গীয় সুরেন্দ্রনাথ মাইতি এবং ওনার মৃত্যুর পর বর্তমানে ওনার দুই সুযোগ্য সন্তান কমল কৃষ্ণ ও ডা:কল্যাণ কৃষ্ণ মাইতি,তাঁদের এই প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী দুর্গা পূজাকে যথাযথ মর্যাদায় সাথে করে চলছেন। মাঝে সুরেন্দ্রনাথের মৃত্যুর পর প্রবল আর্থিক অনটন,সামাজিক সমস্যায় প্রবলভাবে জর্জরিত এই পরিবার অনাহারে দিন কাটিয়েও কখনই এই পূজাতে ছেদ পড়তে দেননি। সেই কঠিন দিন গুলোতেও অনাড়ম্বর কিন্তু আন্তরিক শ্রদ্ধার সাথেই পরিবারের সবাই মাতৃ আরাধনা করে গিয়েছেন মন-প্রাণ দিয়ে, সুরেন্দ্রনাথের স্ত্রী,স্বর্গীয়া নির্মলা সুন্দরীর বিচক্ষণতা ও মাতৃভক্তির হাত ধরে। বছরের পর বছরএই পরিবারের ঠাকুর দালানে আজও মায়ের পূজা যথাযথ পূজাবিধি এবং মর্যাদার সাথে সংগঠিত হয়ে চলছে। ১৩৭ টা শরৎ কাটিয়ে এ বছর ১৩৮ তম পূজা বর্ষে মাতৃ আরাধনা ব্রতি হয়েছেন মাইতি বাড়ির পূজার অর্চনা। জানালেন মাইতি বাড়ির পরিবারের অন্যতম সদস্য ডাক্তার কল্যাণ মাইতি।সেই সঙ্গে এই মাতৃ আরাধনার দিন গুলিতে বস্ত্রদান,নরনারায়ণ সেবা'র মত সামাজিক কর্মকান্ডেও নিজেদের উজাড় করে দেন এই পরিবারের সকলেই।
No comments