বন্দরের কড়া নিরাপত্তায় ঘেরা আবাসিক এলাকায় এক পদস্থ শিল্প আধিকারিকের ফ্ল্যাটে দিনদুপুরে চুরি
হলদিয়া বন্দরের কড়া নিরাপত্তায় ঘেরা আবাসিক এলাকায় এক পদস্থ শিল্প আধিকারিকের ফ্ল্যাটে দিনদুপুরে চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ওই শিল্প আ…
বন্দরের কড়া নিরাপত্তায় ঘেরা আবাসিক এলাকায় এক পদস্থ শিল্প আধিকারিকের ফ্ল্যাটে দিনদুপুরে চুরি
হলদিয়া বন্দরের কড়া নিরাপত্তায় ঘেরা আবাসিক এলাকায় এক পদস্থ শিল্প আধিকারিকের ফ্ল্যাটে দিনদুপুরে চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ওই শিল্প আধিকারিক স্টিল অথরিটি অব ইন্ডিয়ার(সেইল) ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার(ফিনান্স) পদে রয়েছেন। দিনদুপুরে তাঁর ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল, দামী দুটি ঘড়ি সহ দেড় লক্ষাধিক টাকার সামগ্রী চুরি করে পালায় দুষ্কৃতীরা। বন্দরের ক্লাস্টার ফোর এলাকায় ওই চুরির ঘটনা ঘটেছে। দুষ্কৃতীরা ফ্ল্যাটের বারান্দার দরজার তালা ভেঙে লুট করে বলে অভিযোগ। ওই এলাকা বন্দর ও বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সংস্থার আধিকারিকদের জন্য সংরক্ষিত। সিসিটিভি ক্যামেরায় মোড়া এবং গেটে নজরদারি থাকার পরও কীভাবে চুরি হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
জানা গিয়েছে, গত ২৫আগস্ট সকাল ৯টা থেকে সন্ধে ৭টার মধ্যে চুরির ঘটনা ঘটে। ২৯আগস্ট ওই আধিকারিক হলদিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
ওগো ওইসময় তিনি দুর্গাচকে সেইলের অফিসে ছিলেন। তাঁর অফিসের ল্যাপটপ ও মোবাইল চুরি হয়ে যাওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও নথি খোয়া গিয়েছে। অভিযোগ, এই ঘটনার পর এক সপ্তাহ কেটে গেলেও দুষ্কৃতীদের টিকির নাগাল পায়নি পুলিস। হলদিয়ার এসডিপিও রাহুল পাণ্ডে বলেন, বন্দরের কাছ থেকে সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে তদন্ত করছে পুলিস। বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার(প্রশাসন) প্রবীনকুমার দাস বলেন, চুরির ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। বন্দরের ওই এলাকায় বন্দরের আধিকারিকরা ছাড়াও সেইল, টাটা স্টিলের মতো সংস্থার পদস্থ আধিকারিকদের ভাড়া দেওয়া হয়। পুলিসকে এবিষয়ে দ্রুত তদন্ত করার আবেদন করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে এই ঘটনার পর বন্দরের আধিকারিক আবাসনের বাসিন্দারা রীতিমতো উদ্বিগ্ন। এই ঘটনায় বন্দরের নিরাপত্তার গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বন্দরের বিএমএসের শ্রমিক নেতা প্রদীপ বিজলি বলেন, নিরাপত্তা নিয়ে বন্দর লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করলেও একশ্রেণীর কর্মীর ঢিলেঢালা মনোভাবের জন্যই দুষ্কৃতীদের সাহস বেড়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের এবিষয়ে আরও কড়া পদক্ষেপ করতা উচিত। কারণ এই ঘটনায় বন্দরের সঙ্গে জড়িত শিল্পমহলও উদ্বিগ্ন। এতে বন্দরের সম্মানের প্রশ্ন জড়িত রয়েছে।
No comments