হলদিয়ার টাউনশিপে পরিচালিকাদের বিক্ষোভ
হলদিয়া টাউনশিপ এলাকায় বিষ্ণুরাম চকে পঞ্চমী দাস ও ভানু মিদ্যা নামে দুজন বাস করেন। এরা পরিচারিকার কাজ করে জীবন নির্বাহ করে । হলদিয়ার থার্টিন মোড়ে ডিএভি স্কুলে শিক্ষিকা জয়িতা ব্যানার্জি দা…
হলদিয়ার টাউনশিপে পরিচালিকাদের বিক্ষোভ
হলদিয়া টাউনশিপ এলাকায় বিষ্ণুরাম চকে পঞ্চমী দাস ও ভানু মিদ্যা নামে দুজন বাস করেন। এরা পরিচারিকার কাজ করে জীবন নির্বাহ করে । হলদিয়ার থার্টিন মোড়ে ডিএভি স্কুলে শিক্ষিকা জয়িতা ব্যানার্জি দাস (স্বামী সৈকত ব্যানার্জি)। এদের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতো দুজনে। গত ১৩ই সেপ্টেম্বর বিকেলে ওই বাড়িতে পরিচারিকার কাজে গেলে চুরির অপবাদ দিয়ে তুলে দেয় টাউনশিপের পুলিশ ফাঁড়িতে। ওদের আনা হয় পরে হলদিয়ার চিরঞ্জিবপুর থানায় । থানার মধ্যে পুরুষ ও মহিলা পুলিশ মিলে মারধর করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে, ওদের বাড়ি তল্লাশি করে পুলিশ পরে সৈকত ব্যানার্জীর বাড়িতে সিসিটিভি তল্লাশি করে চোর ধরা পড়ে।
সারা বাংলা পরিচারিকা সমিতির হলদিয়া শাখার উদ্যোগে ১৫ই সেপ্টেম্বর পরিচালিকাদের নিয়ে পুলিশ ফাঁড়ি ও চিরঞ্জিবপুর থানায় ডেপুটেশন দেওয়া হয়। ১৭ ই সেপ্টেম্বর থানা থেকে ওই দুজন পরিচালিকাদের ছেড়ে দেয়। সমিতির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত না করে কেন ওই পরিচারিকাদের উপর মারধর করা হলো? পুলিশের এই জঘন্য আচরণের জন্য উপযুক্ত শাস্তি , মালিকপক্ষ সৈকত ব্যানার্জি জয়িতা দাস ব্যানার্জিকে উপযুক্ত শাস্তি দিক এবং তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এই দাবীতে ১৮ ই সেপ্টেম্বর বিকেল চারটে দুই শতাধিক পরিচালিকা নিয়ে সারা বাংলা পরিচারিকা সমিতির পূর্ব মেদিনীপুর শাখার পক্ষ থেকে তা হলদিয়া টাউনশিপ পুলিশ ফাঁড়িতে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এই বিক্ষোভ তিনজন প্রতিনিধি পুলিশের সঙ্গে কথা বলে ।তাতে পুলিশ জনসমক্ষে ভুল স্বীকার করে এবং পঞ্চমী দাসের ও বানু মিদ্যার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন,বেকসুর খালাস করার দায়িত্ব নেয় পুলিশ। ক্ষতিপূরণের পুলিশ সাহায্য করবে।
No comments