পুরভোট আসন্ন, উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনের দাবিতে আন্দোলনে সিপিএম ও তৃণমূল
কেন্দ্রীয় সংস্থা বন্দর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে হলদিয়ায় উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনের দাবিতে জোরদার আন্দোলনে নামছে সিপিএম, তৃণমূল। আজ, মঙ্গলবার থ…
পুরভোট আসন্ন, উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনের দাবিতে আন্দোলনে সিপিএম ও তৃণমূল
কেন্দ্রীয় সংস্থা বন্দর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে হলদিয়ায় উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনের দাবিতে জোরদার আন্দোলনে নামছে সিপিএম, তৃণমূল। আজ, মঙ্গলবার থেকে হলদিয়া বন্দরের প্রশাসনিক ভবন জহর টাওয়ার ঘেরাও অভিযানের মধ্য দিয়ে লাগাতর আন্দোলনে নামছে দুই দল। মূলত পুরভোট মাথায় রেখেই হলদিয়া বন্দরের উদ্বাস্তুদের বঞ্চনাকে ইস্যু করতে চাইছে রাজনৈতিক দলগুলি। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর হলদিয়া পুরসভার বর্তমান পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। পুজোর পর পুর নির্বাচনের সম্ভবনা মাথায় রেখেই আন্দোলনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বন্দর শহরে। হলদিয়ায় শ্রমিকদের পাশাপাশি উদ্বাস্তুরাও ভোটের নির্ণায়ক শক্তি। পুরসভার ৭, ১১, ১২, ১৩, ২১, ২৪, ২৭, ২৮ এবং ২৯ নম্বর ওয়ার্ড অর্থাৎ ৯টি ওয়ার্ডজুড়ে হলদিয়া বন্দরের উদ্বাস্তুদের বসবাস।
রাজনৈতিক দলগুলির দাবি, পাঁচ দশক আগে ওই উদ্বাস্তুরা বন্দরের জন্য ভিটেমাটি ছেড়েছেন,
জমিহারা হয়েছেন। কিন্তু তাঁরা পুনর্বাসন পাননি। শহরে রুটিরুজির টানে তাঁদের সিংহভাগ বন্দরের অধিগ্রহণ করা জমিতে বস্তি ও ঝুপড়ি তৈরি করে রয়েছেন দু'প্রজন্ম ধরে। দুর্গাচকের কুমারচক, পাতিখালি, চিরঞ্জীবপুর, বালুঘাটা সংলগ্ন রায়রাক্র্যাচক, টাউনশিপের পাশে সাউতানচক, বিষ্ণুরামচক সহ ১০-১২টি জায়গায় রাস্তার পাশে উদ্বাস্তুরা বস্তিবাসী হয়ে বসবাস করছেন। সম্প্রতি বন্দর কর্তৃপক্ষ তাঁদের বেদখল হওয়া জমি উদ্ধারের জন্য উদ্যোগী হয়েছে। বন্দরের অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় ১০০ একর জমি বেদখল হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের জমি থেকে বস্তি উচ্ছেদের জন্য আইনি পদক্ষেপ শুরু করতেই সংঘাত বেধেছে উদ্বাস্তুদের সঙ্গে। আন্দোলনে নেমেছে তৃণমূলের 'হলদিয়া উদ্বাস্তু ক্ষতিগ্রস্ত বস্তিবাসী উন্নয়ন কমিটি' এবং সিপিএমের ‘পশ্চিমবঙ্গ বস্তি উন্নয়ন সমিতি'।,
গতকাল,৩০ আগস্ট মঙ্গলবার সিপিএম এবং আজ ৩১ আগস্ট বুধবার তৃণমূল উদ্বাস্তুদের দাবি নিয়ে বন্দর এগবে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
ঘেরাও করবে। তৃণমূলের উদ্বাস্তু নেতা জ্যোতিপ্ৰসাদ দাস বলেন, বন্দর কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদের জন্য হাইকোর্টের অর্ডার পেয়েছে। বন্দর যদি উদ্বাস্তুদের ন্যায্য পুনর্বাসন না দিয়ে জোর করে উচ্ছেদ অভিযানে নামে, তাহলে জীবন জীবিকার স্বার্থে জোরালো আন্দোলন হবে। বন্দর প্লট না দেওয়ার কারণেই নিরুপায় হয়ে উদ্বাস্তুরা বন্দরের জমিতে ৪০-৫০ বছর ধরে বসবাস করছেন। পুলিস ও বন্দরকে বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে পর্যালোচনার দাবি করেছি। সিপিএম নেতা অচিন্ত্য শাসমল বলেন, বন্দর কর্তাদের গাফিলতির জন্য উদ্বাস্তুদের কয়েক দশক ধরে ভুগতে হচ্ছে। রত্নারচকে বন্দরের ৬৫ একর জমি উদ্বাস্তু পুনর্বাসনের জন্য ২০০৮ সালে চিহ্নিত হয়েছিল। কিন্তু বন্দর ও রাজ্য সরকারের সদিচ্ছার অভাবে সেকাজ এগয়নি। বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) প্রবীণকুমার দাস বলেন, বেদখল হওয়া জমি উদ্ধারে হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে
No comments