উদ্বোধনের পরেও পার্কে তালাতৈরি হয়ে গিয়েছে পার্ক। এলাকায় এসে সেটির উদ্বোধন করে গিয়েছেন খোদ পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু শিল্পশহর হলদিয়ায় ইকো হেলথ পার্কের দরজা খুলল। না আমজনতার জন্য। পুর কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, …
উদ্বোধনের পরেও পার্কে তালা
তৈরি হয়ে গিয়েছে পার্ক। এলাকায় এসে সেটির উদ্বোধন করে গিয়েছেন খোদ পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু শিল্পশহর হলদিয়ায় ইকো হেলথ পার্কের দরজা খুলল। না আমজনতার জন্য। পুর কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, পার্কের কাজ এখনও শেষই। হয়নি। তাই সেটির তালা এখনই খোলা সম্ভব নয়। হলদিয়াবাসীর প্রশ্ন— পার্ক পুরোপুরি তৈরি না করেই তা হলে সেটির উদ্বোধন করা হল কেন?
২০১৫ সালে হলদিয়ার দুর্গাচকে আইটিআই কলেজের বড় পুকুর ১৫ বছরের জন্য লিজ নেয় হলদিয়া পুরসভা। ওই পুকুর সংলগ্ন এলাকার সৌন্দর্যায়নে একটি ইকো হেলথ পার্ক তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। জেলায় সেটিই প্রথম ইকো হেলথ পার্ক হওয়ার কথা ছিল। পার্কে সুইমিং
পুল, কফি শপ, অতিথিনিবাস ছাড়াও থাকছে আধুনিক পরিকাঠামো, টয়ট্রেন ও লেজার শোয়ের ব্যবস্থা। পার্ক বানাতে প্রায় ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ করে পুরসভা। গত ২৫ অগস্ট ওই ইকো পার্কের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। উপস্থিত ছিলেন আরও একাধিক মন্ত্রী। কিন্তু এলাকাবাসীর অভিযোগ, উদ্বোধনের পর দিন থেকেই পার্কে ঝুলছে তালা।
সাধারণের জন্য পুরোপুরি প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ বিষয় পুরপ্রধান সুধাংশু মণ্ডল বলছেন, “পার্কে সামান্য কয়েকটি কাজ বাকি রয়েছে। সেগুলি দ্রুত শেষ করা হবে। তার পরেই ফের পার্কটি খুলে দেওয়া হবে।”
এদিকে, ওই প্রকল্পকে ঘিরেই উঠেছে বেনিয়মের অভিযোগও। অভিযোগ, পার্কটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনও দরপত্র ছাড়াই একটি বেসরকারি সংস্থাকে হলদিয়া পুরসভা দায়িত্ব দিয়েছে। এ ব্যাপারে পুরপ্রধানের অবশ্য দাবি, “যাঁরা ওই বেসরকারি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি অনিয়ম বলছেন, তাঁরা উন্নয়নের মানে বোঝেন না। প্রশাসনের তরফে জনসাধারণের জন্য একাধিক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। সব জায়গা থেকেই যা আর্থিক লাভ হবে, এমন কোনও কথা নেই। সরকারি সম্পত্তি ওই বেসরকারি সংস্থাকে রক্ষণাবেক্ষণ এবং দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
No comments