Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

রেলপথে পণ্য পরিবহণ বাড়াতে নতুন ট্র্যাক সহ পরিকাঠামো গড়ার জন্য আরও ১০০কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ

রেলপথে পণ্য পরিবহণ বাড়াতে নতুন ট্র্যাক সহ পরিকাঠামো গড়ার জন্য আরও ১০০কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার হলদিয়ায় দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অর্চনা জোশির সঙ্গে বৈঠকের পর একথা বলেন শ্যামাপ্রসাদ মু…


 রেলপথে পণ্য পরিবহণ বাড়াতে নতুন ট্র্যাক সহ পরিকাঠামো গড়ার জন্য আরও ১০০কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার হলদিয়ায় দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অর্চনা জোশির সঙ্গে বৈঠকের পর একথা বলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পোর্ট ট্রাস্টের(কলকাতা-হলদিয়া বন্দর) চেয়ারম্যান বিনীত কুমার। বিভিন্ন শিল্প সংস্থার আমদানি করা পণ্য বন্দর থেকে দ্রুত খালি করতে এদিন বাড়তি রেক দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে রেল। এরফলে হলদিয়ায় চলতি আর্থিক বছরে আরও ৩০-৪০লক্ষ টন পণ্য আমদানি রপ্তানি বাড়বে বলে আশা করছে বন্দর। বন্দরে পণ্য বাড়লে নতুন করে কাজের সুযোগ তৈরি হবে। প্রসঙ্গত, করোনা ও লকডাউন বন্দর শ্রমিকদের উপর বড় প্রভাব ফেলেছে। বন্দরের ঠিকা শ্রমিকরা অনেকে কাজ হারিয়েছেন কিংবা কাজ কমে যাওয়ায় রোজগার কমেছে। 

এদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ রেলের বিশেষ সেলুন কারে হলদিয়ায় বন্দরের জিএম ইয়ার্ডে পৌঁছন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অর্চনা যোশি। প্রথমে তিনি বন্দর সংলগ্ন টাটা হুগলি মেটকোকের রেলওয়ে সাইডিং ঘুরে দেখেন। সেখান থেকে তিনি যান বন্দরের কমন ইউজার-টু(কাস-টু) সাইডিং এলাকায়। বন্দরের বিশেষ ভেসেলে চেপে তিনি ডক এলাকার মধ্যে বিভিন্ন বার্থের সঙ্গে রেল লাইনের কীধরনের সংযোগ রয়েছে তা ঘুরে দেখেন। জিএমের সঙ্গে ছিলেন রেলের একাধিক পদস্থ আধিকারিক এবং ইঞ্জিনিয়ার। বন্দরের তরফে ছিলেন চেয়ারম্যান বিনীত কুমার, ডেপুটি চেয়ারম্যান অমলকুমার, জিএম(প্রশাসন) প্রভীনকুমার দাস প্রমুখ। কীভাবে বন্দরে আরও পণ্য আসবে সেবিষয়ে তাঁরা টাটা ও সেইলের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি অন্যান্য শিল্প সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেন। শিল্প সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠকের পর এদিন বিকেলে বন্দরের প্রশাসনিক কার্যালয় জওহর টাওয়ারে দীর্ঘক্ষণ রেল ও বন্দরের প্ল্যানিং বৈঠক হয়।

রেলের জিএম বলেন, রেলপথে পণ্য পরিবহণ আরও বাড়াতে বন্দরের সঙ্গে রেল কীভাবে কাজ করতে পারে সেবিষয়ে এদিন আলোচনা হয়েছে। এজন্য বন্দরে বাড়তি রেক দেবে রেল। বৈঠকে এনিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। নতুন ট্র্যাক তৈরি, লোডিং এরিয়া বাড়ানো, ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্ট সহ একাধিক পরিকাঠামো বাড়াতে এদিন বিস্তারিত পরিকল্পনা করা হয়েছে। বন্দরকে এজন্য নতুন ইঞ্জিন দেওয়া হবে। ওয়াগন মেন্টেনেন্স সহ ট্র্যাক মেন্টেনেন্সের জন্য বাড়তি লোক নিয়ো করতে হবে রেলকে। বন্দরের চেয়ারম্যান বলেন, বন্দরে পণ্য আসার পর তাকে দ্রুত খালি করাই বড় চ্যালেঞ্জ। সড়কপথে বাড়তি চাপ পড়ছিল এবং যানজট বাড়ছে। রেলের কাছে এজন্য বাড়তি রেক চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সমস্যা ছিল রেপথের পরিকাঠামোর। সেজন্য রেলের জিএম সরেজমিনে ঘুরে দেখলেন বন্দর এলাকার রেল ট্র্যাকগুলি।

তিনি বলেন, রেলের সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ৬মাসের মধ্যে রেল প্রতিদিন বাড়তি আরও ৫টি রেক সরবরাহ করবে। এখন বন্দরে পণ্য পরিবহণের জন্য দিনে ১৮-২০টি রেক লোডিং হয়। এক একটি রেকে গড়ে সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার টন পণ্য লোডিং হয়। রেকের সংখ্যা বাড়লে দিনে আরও ২০হাজার টন পণ্য পরিবহণ বাড়বে। এজন্য বন্দরকেই ৮০-১০০কোটি টাকা খরচে পরিকাঠামো গড়তে হবে। হলদিয়ার ডেপুটি চেয়ারম্যান অমলকুমার মেহেরা বলেন, দক্ষিণপূর্ব রেল বছরে ২০০মিলিয়ন টন কার্গো পরিবহণ করে। তারমধ্যে হলদিয়া বন্দরের পণ্য ১৬-১৭শতাংশ। এখন হলদিয়া বন্দরের ২৪-২৫মিলিয়ন টন পণ্য রেলপথে পরিবহণ হয়। পরিকাঠামো বাড়িয়ে নতুন লক্ষ্যমাত্রা করা হয়েছে ৩০মিলিয়ন টন। সেজন্য এদিন টাটা ও সেইলের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। ওই সংস্থাগুলি হলদিয়ার মাধ্যমে তাদের স্টিল প্ল্যান্টের জন্য আরও কয়লা, লাইমস্টোন ও ম্যাঙ্গানিজ আমদানি করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।

No comments