শিক্ষকের বাড়িতে তদন্ত করছেন তমলুক থানার পুলিশ প্রশাসন ২৮ অক্টোবর ২০২২, রবিবার বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে তাম্রলিপ্ত পৌরসভার ১৮ নং ওয়ার্ডের বিবেকানন্দ নগর এলাকার ভাড়াটে বাড়ির বাসিন্দা প্রতিবন্ধী শিক্ষক নাড়ুগোপাল সামন্তের বাড়িতে তমল…
শিক্ষকের বাড়িতে তদন্ত করছেন তমলুক থানার পুলিশ প্রশাসন
২৮ অক্টোবর ২০২২, রবিবার বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে তাম্রলিপ্ত পৌরসভার ১৮ নং ওয়ার্ডের বিবেকানন্দ নগর এলাকার ভাড়াটে বাড়ির বাসিন্দা প্রতিবন্ধী শিক্ষক নাড়ুগোপাল সামন্তের বাড়িতে তমলুক থানার পুলিশ প্রশাসনের একটি টিম তদন্ত করলেন। তদন্তে সংগ্রহ করলেন ভাঙ্গা চাবিতালা এবং ইটের টুকরো ও ভিডিও ক্যাসেটে কিছু পুজো কমিটির সদস্যদের উত্তেজনামূলক ও হুমকির কথাবার্তা। গতকাল তমলুক আইসি থানায় শিক্ষক নাড়ুগোপাল সামন্ত লিখিতভাবে ঘটনার বিবরণ দিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন যে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ তিনি বাড়িতে ছিলেন না। সেই সময় বিবেকানন্দনগর ডেভেলপমেন্ট কমিটির ১০ --১২ জন সদস্য দুর্গাপূজোর চাঁদা আদায় করতে বাড়িতে উপস্থিত হন। তাদের দাবী মতো চাঁদা দিতে না পারায় শিক্ষকের স্ত্রী জলি মুন্সি সামন্তের সাথে কথা কাটাকাটি চলতে থাকে। অবশেষে পুজো কমিটির সদস্যরা দরজা টেনে চাবি লাগিয়ে চলে যান। স্ত্রীর ফোন পেয়ে শিক্ষক বাড়িতে এসে দেখেন চাবি তালা লাগানো অবস্থায় ঝুলছে। তিনি একটি ইট দিয়ে চাবি তালাটিকে কোনক্রমে ভাঙ্গে তারপর বাড়িতে ঢুকেন। পুজো কমিটির বিভিন্ন সদস্যদের ফোনে শিক্ষককে মারার হুমকি দেয় এবং বাড়িওয়ালা বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাবও দেন। শিক্ষকের পুরো পরিবারটি ভয়ে পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। তমলুক থানার আইসি অরূপ সরকার জানিয়েছেন, যারা আইন ভাঙছেন ,তাদের তদন্তের সাপেক্ষে যথোপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। অভিযোগের মূলে F.I.R শুরু করা হয়েছে। পরবর্তী স্টেপ গ্রেফতার করার। বিবেকানন্দ নগর ডেভেলাপমেন্ট কমিটিতে ২৮ বছর ধরে সম্পাদক ছিলেন এবং ক্যাশিয়ার সহ প্রভৃতি পদ সামলেছেন অরুণ ভট্টাচার্য। তিনি খুব দুঃখের সঙ্গে বলেন ২০১৮ সালে আমাকে কমিটি থেকে বাদ দিয়েছেন ওদের কিছু অন্যায় মূলক কাজকে আমি সমর্থন করি না বলে। কমিটির কিছু সদস্যরা জোরজুলুম করে অন্যায় ভাবে মানুষের কাছ থেকে চাঁদা তোলা শুরু করেছে। যে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুজো কমিটিগুলিকে নানা দিক থেকে সাহায্য করছেন। সেখানে মানুষের কাছে জোরজুলুম করে চাঁদা আদায় করার কোন প্রয়োজন নেই। পুজো মানেই একটা সুস্থ সংস্কৃতি।
No comments