দুয়ারে সরকার, দুয়ারে রেশনের পর, এবার রাস্তায় প্রধান! প্রদীপ কুমার মাইতি* ঃ দুয়ারে সরকার, দুয়ারে রেশনের পর, এবার রাস্তায় প্রধান! গ্রাম পঞ্চায়েতের কার্যালয়ে না বসেই রাস্তার উপরে প্রচণ্ড বৃষ্টিতে ছাতা মাথায় নিয়েই আমজনতাকে পরিষেবা দ…
দুয়ারে সরকার, দুয়ারে রেশনের পর, এবার রাস্তায় প্রধান!
প্রদীপ কুমার মাইতি* ঃ দুয়ারে সরকার, দুয়ারে রেশনের পর, এবার রাস্তায় প্রধান! গ্রাম পঞ্চায়েতের কার্যালয়ে না বসেই রাস্তার উপরে প্রচণ্ড বৃষ্টিতে ছাতা মাথায় নিয়েই আমজনতাকে পরিষেবা দিচ্ছেন খোদ প্রধান। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ২ ব্লকের মঞ্জুশ্রী গ্রাম পঞ্চায়েতে এই অচেনা ছবি দেখা গেল। এই ঘটনায় স্থানীয় এলাকায় যথেষ্ট শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পঞ্চায়েত প্রশাসন সূত্রের খবর, গত ৮ আগস্ট, মঞ্জুশ্রী গ্রাম পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিরা এলাকার মানুষের সমস্যার কথা শুনে রাতে এগরা থানায় গিয়েছিলেন। অভিযোগ, এগরা থানার ইন্সপেক্টর-ইন-চার্জ (আই.সি) মৌসম চক্রবর্তী স্থানীয় পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিদের কোন কথা না শুনে তাঁদের থানায় আটক করেন। পরের দিন অর্থাৎ ৯ আগস্ট দুপুর ১২ টায় আইসি তাঁদের থানা থেকে ছাড়েন। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে চলতি সপ্তাহে মঞ্জুশ্রী গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা পঞ্চায়েত বয়কট করেন। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সমস্ত জনপ্রতিনিধিরা অনুপস্থিত। তাই স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান পূর্ণিমা মাইতি গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে আর আসেন না। কখনও রাস্তায় বসে, আবার কখনও চা'য়ের দোকানে বসে আমজনতাকে পরিষেবা দিচ্ছেন। মানুষের সমস্যার কথা শুনছেন। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান পূর্ণিমা মাইতি জানিয়েছেন, এগরা থানার আই.সি'র দ্বারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে হেনস্থার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।এরকম ঘটনা ঘটলে কোন নির্বাচিত সদস্য ও সদস্যা থানায় যেতে পারবেন না! কোন মানুষের হয়ে সুবিধা-অসুবিধার কথা বলতে পারবে না। তাহলে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি থেকে কি লাভ? এগরা থানার আই.সি'র এরকম আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। তিনি আরও জানিয়েছেন, আমরা গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে এগরা ২ ব্লকের বিডিও কৌশিশ রায়ের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। যতদিন না উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, ততদিন আমরা অর্নিদিষ্ট কালের জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস বন্ধ থাকবে। এ প্রসঙ্গে এগরা ২ ব্লকের বিডিও কৌশিশ রায় জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে। বিষয়টি আমি উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানিয়েছি।
No comments