পুজো চাঁদা তুলার নামে জোর জুলুম নিরাপত্তা হিনতায় ভুগছেন প্রতিবন্ধী শিক্ষক
তমলুক বিধান নগরের স্থায়ী বাসিন্দা সমীর কুমার ধাড়ার বাড়িতে এক প্রতিবন্ধী শিক্ষক নাড়ুগোপাল সামন্ত প্রায় পাঁচ বছর ধরে ভাড়াটে হিসেবে রয়েছেন। ২৬ অক্টোবর…
পুজো চাঁদা তুলার নামে জোর জুলুম নিরাপত্তা হিনতায় ভুগছেন প্রতিবন্ধী শিক্ষক
তমলুক বিধান নগরের স্থায়ী বাসিন্দা সমীর কুমার ধাড়ার বাড়িতে এক প্রতিবন্ধী শিক্ষক নাড়ুগোপাল সামন্ত প্রায় পাঁচ বছর ধরে ভাড়াটে হিসেবে রয়েছেন। ২৬ অক্টোবর ২০২২ ,শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার সময় তমলুক " বিবেকানন্দ নগর ডেভেলাপমেন্ট কমিটির " দুর্গাপুজোর চাঁদা তোলার জন্য প্রায় ১০ জন সদস্য উনাদের অর্থাৎ প্রতিবন্ধী শিক্ষকের বাড়িতে যান। সেই মুহূর্তে শিক্ষক নাড়ুগোপাল সামন্ত বাড়িতে ছিলেন না। উনার স্ত্রী জলিমুন্সী সামন্ত কোলের দুই শিশু কে নিয়ে ঘরের ভিতর ছিলেন। কমিটির সদস্যরা শিক্ষকের স্ত্রীকে ২,২০০ টাকা ( দুই হাজার দুইশত টাকা) চাঁদা দিতে হবে বলে বলেন। তিনি চাঁদা দিতে পারবেন না বলে জানায়। বলার সাথে সাথেই কমিটির সদস্যরা অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং ঘরের দরজা টেনে বাহির দিক থেকে চাবি লাগিয়ে দেয় বলে জানিয়েছেন প্রতিবন্ধী শিক্ষক নাড়ুগোপাল সামন্ত। তিনি মহিষাদল ব্লকের একটি হাইস্কুলে শিক্ষকতা করেন। ঘটনার কথা তাঁর স্ত্রী মোবাইল ফোনে ফোন করে জানায়। আজ সকালে তমলুক থানার আইসিকে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন প্রতিবন্ধী শিক্ষক। সকাল থেকে শিক্ষকের ফোনে নানা দিক থেকে খুনের হুমকি একের পর এক আসছে। তিনি এবং তাঁর স্ত্রী তাঁদের কোলের দুটি শিশুকে নিয়ে শান্তিতে থাকার জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। তিনি আর ওজানান ইং ২০১৬ সাল থেকে এই পুজো কমিটিকে চাঁদা দিয়ে আসছেন। চাঁদাবাদেও যখন তখন টাকা পয়সা চায় তাও দেন। এই ঘটনার পর থেকে বাড়িওয়ালা শিক্ষকের প্রতি খুব খারাপ ব্যবহার একের পর এক করতে থাকছেন। চাঁদা তোলার নামে জোর জুলুম এবং অশালীন খারাপ ভাষায় গালিগালাজ ও খুনের হুমকি শিক্ষক এবং তাঁর পরিবারকে এই প্রসঙ্গে তমলুক থানার আইসি অরূপ সরকারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি বলেন ঘটনার খবর লিখিতভাবে পেয়েছি। প্রশাসনিক দিক থেকে খুব তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
No comments