Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

রথের মেলাকে গ্রাস করেছে চুরির আতঙ্ক

মহিষাদলের রথের মেলাকে গ্রাস করেছে চুরির আতঙ্ক
বাদদাতা, হলদিয়া: দাদা, দিদি মোবাইল সাবধান। এই তর্কবাণী পুলিস কিংবা মেলা কমিটির নয়। মহিষাদলে থের মেলায় ঢুকে যে কোনও দোকানের সামনে দাঁড়ালেই ক্রতাদের গম্ভীর মুখে মনে করাচ্ছেন দোকানিরা…

 


মহিষাদলের রথের মেলাকে গ্রাস করেছে চুরির আতঙ্ক


বাদদাতা, হলদিয়া: দাদা, দিদি মোবাইল সাবধান। এই তর্কবাণী পুলিস কিংবা মেলা কমিটির নয়। মহিষাদলে থের মেলায় ঢুকে যে কোনও দোকানের সামনে দাঁড়ালেই ক্রতাদের গম্ভীর মুখে মনে করাচ্ছেন দোকানিরা। সে কথায় =কউ হাসছেন, কেউ আবার কৌতূহল ভরে জানতে চাইছেন, কী হয়েছে? কেনাবেচার চেয়ে এখন মেলাজুড়ে দোকানিদের মুখে মুখে ফিরছে এই সতর্কবাণী। মেলায় এসে =ক্রতাদের পকেটমার হয়, মোবাইল চুরির ঘটনা আকছার ঘটে। কিন্তু মহিষাদলের রথের মেলায় এবার উলটপুরাণ। মেলার ব্যবসায়ীরা পড়েছে চোরেদের খপ্পরে। রাত নামতেই মেলাজুড়ে শুরু হচ্ছে তাদের দৌরাত্ম। ঘুমন্ত দোকানদারের মোবাইল, বাইক, টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়ে হাওয়া হয়ে যাচ্ছে চোরেরা। রথের মেলায় একসপ্তাহ ধরে পর পর চুরির ঘটনায় আতঙ্কে দোকানদার ও দর্শনার্থীরা।

অভিযোগ, রথের মেলার শুরু থেকেই চোরেদের দৌরাত্মে নাজেহাল ব্যবসায়ীরা। পাঁচ-ছ'জন দোকানদারের দামি স্মার্ট ফোন চুরি হয়েছে। একটি মোবাইল রেস্তরাঁর মালকিনের বাইক উধাও হয়েছে রথের প্রথম দিন। তাছাড়া ক্যাশবাক্স ভেঙে নগদও খোয়া গিয়েছে ব্যবসায়ীদের। এমনকী গুগুচাবাটিতে জগন্নাথদেবকে পুজো দিয়ে প্রসাদ খেতে গিয়েও এক মহিলার মোবাইল চুরির অভিযোগ উঠেছে। রাজবাড়ির প্রাঙ্গণে পীরথানের পাশে মোবাইল রেস্তরাঁ খুলেছেন নন্দকুমার থানার কল্যাণপুরের বাসিন্দা সোনাই সামন্ত মাজি। তিনি বলেন, রথের শুরুর দিন ব্যাপক ভিড় হয়েছিল। দিনভর পরিশ্রমের রাতে যখন বিশ্রাম নিচ্ছিলাম সেই সময় লালরঙের স্কুটি নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। গাড়িটি স্টলের পাশেই রাখা ছিল।

আর এক বাসিন্দা গৌতম মণ্ডল বলেন, গুণ্ডিচাবাটিতে রথের পাশে কাপ প্লেটের দোকান দিয়েছি। রাতে যখন ঘুমোচ্ছিলাম সেইসময় দোকান থেকে মোবাইল চুরি হয়েছে।

এক চারাগাছ ব্যবসায়ী বলেন, দু'দিন আগে এক রাতে তাঁর ব্যাগ থেকে নগদ ৪ হাজার ৯০০ টাকা চুরি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলেন, করোনার জন্য দু'বছর মেলা হয়নি। এবার রথে ভিড় হবে শুনে এসেছিলাম। কিন্তু মেলায় বিক্রিবাটা একদমই নেই। রাজবাড়ি প্রাঙ্গণে অনেক টাকা খরচ করে স্টল দিয়েছি। স্টল ভাড়া উঠবে কি না সন্দেহ। এদিকে আবার এত চোরের উৎপাত যে ব্যবসা করাই যাচ্ছে না। ব্যবসায় আয় নেই, এদিকে দামি মোবাইল চুরির জন্য ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত। ফলে সবাই আতঙ্কিত। মেলা কমিটি বা পুলিসের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ব্যবসায়ীরা। মেলা শুরুর আগে সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে মেলা প্রাঙ্গণ মুড়ে ফেলা হবে বললেও তার টিকির দেখা নেই। বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। তাঁরা বলেন, মেলা কমিটির কোনও অফিস পর্যন্ত নেই যেখানে কারও দেখা মেলে।

এবার মেলার আয়তন বাড়লেও অগ্নি সুরক্ষার কোনও ব্যবস্থা নেই বলে অভিযোগ। রাজার গড়ের মধ্যে কোনওভাবে আগুন লাগলে কীভাবে ফায়ারের গাড়ি ঢুকবে তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। রথ কমিটির কর্মকর্তা তথা মহিষাদলের বিডিও যোগেশচন্দ্র মণ্ডল বলেন, রথে কোনও চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা নেই। পুলিস এবিষয়ে কিছু আমাদের জানায়নি। তাছাড়া রাজার গড়ের মধ্যে যে মেলা বসেছে তার নিরাপত্তার দায় মেলা কমিটির নয়। রাজবাড়ি কর্তৃপক্ষ ওই মেলা বসিয়েছে। মেলায় পর পর চুরির ঘটনায় ক্ষুব্ধ হলদিয়ার এসডিপিও রাহুল পান্ডে। তিনি বলেন, মেলা পরিচালনা ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে রথ কমিটির বড় ভূমিকা থাকে। পুলিসকে মেলায় সমস্ত সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর দায়িত্ব দিয়ে মেলা কমিটি হাত গুটিয়ে বসে। থাকতে পারে না। মহিষাদলের ঐতিহ্যবাহী রথের মেলাকে দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করা প্রয়োজন। এজন্য আইএসও সার্টিফিকেশন দরকার।

No comments