নাট্যকার বিধান রায় এক সংগ্রামী যোদ্ধা
নাট্যকার বিধান রায় । শিল্পী বিধান রায়। মানুষ বিধান দা এক কথায় অতুলনীয়। সুটাহাটা বাজারের ওপর ওঁর আঁকা লেখা কর্মশালা। এখানেই তিনি সাইনবোর্ড লেখেন(যদিও ফ্লেক্স সব কাজ কার্যত কেড়ে নিয়েছে…
নাট্যকার বিধান রায় এক সংগ্রামী যোদ্ধা
নাট্যকার বিধান রায় । শিল্পী বিধান রায়। মানুষ বিধান দা এক কথায় অতুলনীয়। সুটাহাটা বাজারের ওপর ওঁর আঁকা লেখা কর্মশালা। এখানেই তিনি সাইনবোর্ড লেখেন(যদিও ফ্লেক্স সব কাজ কার্যত কেড়ে নিয়েছে )। হাতের অক্ষর মুক্তোর মত। নাটকের পোস্টার দেখলে ফিরে যেতে হয় সত্তরের দশকে।
নাটক করতে গিয়ে নিজের শিশু পুত্র ( এগার মাস বয়স )জিশু কে হারান তিনি। সে এক মর্মান্তিক ঘটনা। বিধান দা সে কথা যখন বলেন , গলা বুজে আসে ।তবু নাটক থামেনি। বিরামহীন সেই পথ চলা।
মেদিনীপুর শহরের অলি গলি চেনেন। শহরের হাসপাতালে জন্ম। কর্ম, শিক্ষার বেশিরভাগ সেখানেই। বাবা মেদিনীপুর সেন্ট্রাল জেলের কর্মী ছিলেন।হলদিয়া বন্দরে জাহাজ ভিড়ল যখন। নানা কাজের প্রয়োজনে বহু মানুষ এলেন । এমনই একজন মানুষ এই বিধান দা।
বিধান দার গলায় আন্তরিক এক ডাক আছে। স্পর্শের মধ্যেই মায়া আছে।বিধান দার সাথে আড্ডা দিলে বলবেন , আর একটু বস ভাই। লাল চা খেয়ে যাও। বিধানদা র একটি
পুরাতন ফোন ডায়েরি আছে। প্রিয়জনদের হাতের অক্ষর , কিছু ইচ্ছে মত কথা ও লেখা আছে। আমারও হাতে লেখা আছে।
সমৃতির জানালা খুলে সেসব দেখান। শুধু পাঁজরের মধ্যে সন্তান হারানোর কষ্ট এখনও লালন করেন।বিধান দা, তুমি তো শুনতে পাওনা প্রায়। নাটকের ডিরেকশন দাও কি করে?হেসে জানান, ঠোঁট দেখে। বুঝতে পারি ভুল পাঠ বলা হচ্ছে।বিস্মিত হই। বিধান দাকে সাইনবোর্ড দেখলেই বোঝা যায়। এটা অন্যন্য।
আর একজনের কথা না বললেই নয় , সে অভিজিৎ মন্ডল। বিধান দার চির সঙ্গী। সব ফোন ধরেন। অভিজিতের মাধ্যমেই বিধান দানসব শোনেন।
সুটাহাটা বাজারের ওপর ' আঁকা লেখা ' দোকানের নাম। শিল্প করতে গেলে আসলে জীবন নিংড়ে নেয়। উপার্জনের স্থায়ী পথ না থাকলে শিল্প করা বা থিয়েটার দল চালানো আত্মহত্যার সামিল। চাকরি করে ও অনেকেই শিল্প কর্ম করেন। সেটা অনেক ক্ষেত্রেই সেকেন্ডারি। বিধান দার কত মানুষেরা যে শিল্প নির্মাণ করেন তা আসলে খাঁটি সোনা।
এই লেখাটা শেয়ার হোক । বিধান দার কথা আরও মানুষ জানুক।।
ভালো থাকবেন বিধান দা।
শ্রদ্ধা।আরিফ ইকবাল খান
হলদিয়া
৯৭৩৩৮৮০৭৮৬
No comments