Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

শিল্প সংস্থার উদ্যোগে হলদিয়ার খাল সংস্কারের কাজ শুরু

শিল্প সংস্থার উদ্যোগে হলদিয়ার খাল সংস্কারের কাজ শুরু।অল্প জল হলেই সারা হলদিয়া জলপ্রপাত নিকাশি ব্যবস্থা না থাকার জন্যই এই সমস্যা তারপরেই শিল্প এলাকার বিভিন্ন জায়গায় গোডাউন এবং কারখানা হয়ে যাওয়াতে আরো বড় সমস্যা হয়ে যায় তার…

 




শিল্প সংস্থার উদ্যোগে হলদিয়ার খাল সংস্কারের কাজ শুরু।

অল্প জল হলেই সারা হলদিয়া জলপ্রপাত নিকাশি ব্যবস্থা না থাকার জন্যই এই সমস্যা তারপরেই শিল্প এলাকার বিভিন্ন জায়গায় গোডাউন এবং কারখানা হয়ে যাওয়াতে আরো বড় সমস্যা হয়ে যায় তার থেকেও বেশি সমস্যা দীর্ঘ ব্রিটিশ আমলে হুগলি এবং হলদি নদীর সংযোগস্থল থেকে বিভিন্ন এলাকায় প্রবেশ করেছে সেই সুইচগেট গুলো দীর্ঘদিন সংস্কার করার ফলেই ঢুকতে এবং বেরোতে সবথেকে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় হুগলি নদী অনেকটাই উঁচুতে তার থেকে হলদিয়া পৌর এলাকায় এবং হলদিয়া পঞ্চায়েত সমিতির বিস্তীর্ণ এলাকায় অনেকটাই নিচু সেকারণেই  জোয়ারের জল ঢুকে পড়ে হোলির হলদিয়ার বিভিন্ন এলাকায় কিন্তু জ্বর কমে গেল এই জল বেরোতে পারে না তার কারণ সুইচগেট গুলোর অনেক উঁচুতে থাকায় নাব্যতা বিভিন্ন এলাকার খালগুলি খনন করে করে অনেকটাই নাব্যতা হয়েছে তাই এলাকার মানুষের দাবি এলাকার সংস্কারের সাথে সাথেই সুইচগেট গুলোর সংস্কার করা খুবই দরকার।

এনিয়ে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান জ্যোতির্ময় কর এবং ভাইস চেয়ারম্যান সাধন জনার সাথে আলোচনাতেই তারা আশ্বাস দিলেন খুব শীঘ্রই এই সুইচগেট গুলো সংস্কারের জন্য তিনি উদ্যোগ নেবেন। 

হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ হলদিয়া শিল্প এলাকা আধিকারিকদের নিয়ে একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন সেই অনুযায়ী খালের সংস্কারের  কাজ শুরু হয়েছে।

  বিশেষ করে হলদিয়ার ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোনে মজে যাওয়া নিকাশি ক্যানেল সংস্কারে এবার সামাজিক দায়বদ্ধতা প্রকল্পের ফান্ড থেকে অর্থ সহায়তা দেবে শিল্প সংস্থাগুলি। হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এইচডিএ) সঙ্গে বৈঠকে এবিষয়ে সহমত হল আইওসি, পেট্রকেম, টাটা স্টিল হুগলি মেটকোকের মতো সংস্থাগুলি। সম্প্রতি ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন এবং শহরের আবাসন এলাকায় নিকাশি ক্যানেল সমীক্ষার পর তা সংস্কারের জন্য এইচডিএকে প্রায় ১০ কোটি টাকার বাজেট দেয় সেচদপ্তর। অর্থ সংস্থানের জন্য চিঠি দিয়ে বিভিন্ন শিল্প সংস্থার সহযোগিতা চায় এইচডিএ। তারপরই এগিয়ে আসে শিল্প সংস্থাগুলি। বর্ষার আগেই দ্রুত একাজ সেরে ফেলার যৌথ প্রস্তুতি নিচ্ছে এইচডিএ ও শিল্প সংস্থাগুলি। এদিকে, বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব নিকাশি ক্যানেল সংস্কার না করায় বন্দরকে চিঠি দিয়ে আলোচনায় বসতে চেয়েছে এইচডিএ।

বর্ষায় পর পর কয়েক বছর নিকাশি সমস্যায় ভুগতে হয়েছে শিল্পাঞ্চলকে। টানা দু'-তিনদিন ভারি বৃষ্টি হলেই জলের তলায় চলে যায় হলদিয়া। শুধু বাসিন্দারা নন, শিল্প কারখানাগুলিও জলমগ্ন হয়ে বিপাকে পড়ে। গত বছর ২৭ ও ২৮ জুলাই হলদিয়ায় সর্বকালীন রেকর্ড বৃষ্টিতে বন্দর শহর কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়। আইওসির মতো একাধিক শিল্প সংস্থার উৎপাদন ব্যাহত হয়, কোটি কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় বন্দরের কাজ। শহরকে জলযন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে এবার হলদিয়া পুরসভা মাসখানেক আগে থেকে আবাসিক এলাকায় নিকাশি সংস্কার শুরু করেছে। এবার এইচডিএ ও শিল্প সংস্থাগুলি যৌথভাবে কাজ শুরু করছে। সেচদপ্তরের তমলুক ডিভিশনের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অনির্বাণ ভট্টাচার্য বলেন, এইচডিএ, পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকদের নিয়ে শিল্পাঞ্চল জুড়ে ক্যানেলগুলির সমীক্ষা করা হয়েছে। সমস্যার এলাকাগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে। সবমিলিয়ে ২০ কিলোমিটার ক্যানেল সংস্কারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোনে থাকা গ্রিন বেল্ট ক্যানেল, এইচপিএল ক্যানেল, মনসাতলা সহ একাধিক ক্যানেল নতুন করে খনন জরুরি হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে এইচডিএ। বৃষ্টি হলেই যাতে দ্রুত এই ক্যানেলগুলির মাধ্যমে জল হলদি বা হুগলি নদীতে বেরিয়ে যেতে পারে সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বছর দুই আগে কয়েক কোটি টাকা খরচে গ্রিন বেল্ট ক্যানেল খননের কাজ শুরু হলেও তা মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়। আইওসি, হুগলি মেট কোক, এক্সাইড সহ ৮-১০টি শিল্প সংস্থার নিকাশি এই ক্যানেলের উপর নির্ভর করে। দুর্গাচকে গ্রিন বেল্ট ক্যানেলের লকগেট ব্যবস্থা ত্রুটিপূর্ণ থাকায় জল ঠিকভাবে বের হয় না।

এদিকে, বন্দরের প্রবেশ মুখে রানিচক সংলগ্ন হাতিবেড়িয়া ক্যানেল খনন না হওয়ায় বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয় প্রতি বছর হলদিয়ার টাউনশিপ আবাসন এলাকায় ঢোকার রাস্তা একহাঁটু জলের তলায় চলে যায়। গ্রিন বেল্ট ক্যানেল ও হাতিবেড়িয়া খাল দু'টিই বন্দর কর্তৃপক্ষ দেখাশোনা করে। অভিযোগ, বন্দরের গাফিলতির জন্য শিল্পাঞ্চল ভুগছে। এইচডিএর চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার হরিশঙ্কর পানিক্কর বলেন, সমস্যা মেটাতে বন্দরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোনের ক্যানেলগুলির সংস্কারের জন্য শিল্প সংস্থার সাড়া মিলেছে। বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) প্রবীণকুমার দাস বলেন, বন্দর ইতিমধ্যেই প্রায় ৬৫ লক্ষ টাকা খরচে আবাসন এলাকার ক্যানেল সংস্কার করেছে। হাতিবেড়িয়া ও গ্রিন বেল্ট নিয়ে আলোচনায় বসতে আগ্রহী বন্দর।

হলদিয়া পৌরসভা  এলাকায় প্রায় চৌদ্দটি মৌজার জল বাহির হয় বি সি রায় হাসপাতালে সন্নিকটে সুইস গেট থেকে।

গেটটি প্রায়  স্বাধীনতা সংগ্রামের আগেই  হয়েছিল।  তারপরেই হলদিয়া পৌরসভার উদ্যোগে( চুনামারা) খাল নামক এই খালটি বহুবার সংস্কার হয়েছে। তার ফলেই সুইস গেট থেকে খালের গভীরতা অনেক বেড়েছে কিন্তু সুইচ গেট এর কাজ দীর্ঘদিন না হওয়ায় বর্ষার জমা জল ওই  সুইস গেট থেকে বের হতে পারে না । তার জন্যই অল্প বৃষ্টিতেই সারা এলাকা ডুবে যায় । সূত্রের খবর, সুইচ গেট সংলগ্ন এবং তার পাশাপাশি বহু মানুষ ঘর করেছেন। তারফলে অনেক জায়গায় খালের গতিপথ আটকে যায়। হলদিয়া পঞ্চায়েত সমিতির এলাকা গঙ্গেশ্বর থেকে শুরু করে বাজিতপুর প্রায় বারোটি মৌজার জল বালুঘাটা কাছ থেকেই বাহির হয়। সেই সুইসগেট দীর্ঘদিন হয়ে গেছে সেই গেটটিও সংস্কার করার দরকার বলে জানিয়েছেন এলাকার মানুষ।

No comments