হলদিয়ার কুঁকড়াহাটি নদী বাঁধে ফাটল,আতঙ্কে স্থানীয় গ্রামবাসী
হলদিয়ার কুঁকড়াহাটির এড়িয়াখালিতে হুগলি নদীর বাঁধে বড়সড় ফাটল দেখা দেওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে নদী তীরবর্তী কয়েকটি গ্রামে। রবিবার দুপুর নাগাদ এড়িয়াখালি ইটভাটা সংলগ্ন নদীবাঁধে …
হলদিয়ার কুঁকড়াহাটি নদী বাঁধে ফাটল,আতঙ্কে স্থানীয় গ্রামবাসী
হলদিয়ার কুঁকড়াহাটির এড়িয়াখালিতে হুগলি নদীর বাঁধে বড়সড় ফাটল দেখা দেওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে নদী তীরবর্তী কয়েকটি গ্রামে। রবিবার দুপুর নাগাদ এড়িয়াখালি ইটভাটা সংলগ্ন নদীবাঁধে প্রায় ৫০ মিটার অংশ ফাটল নিয়ে ক্রমশ নীচের দিকে মাটি বসতে শুরু করে।খবর পেয়ে সেচদপ্তরের লোকজন ঘটনাস্থলে আসেন।সুতাহাটা ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে,বর্তমানে একশো দিনের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ওই এলাকায় নদী বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করা যায়নি। ফলে বাঁধ ক্রমশ দুর্বল হয়ে গিয়ে আরও ভয়াবহ আকার নিয়েছে। কিন্তু বর্ষার আগে নদী বাঁধ মেরামত না হলে বিপদে পড়বে তীরবর্তী বেশ কয়েকটি গ্ৰামের বাসিন্দারা।স্থানীয় বাসিন্দা বিজয় দাস বলেন,গতবার যশের সময় ওই এলাকায় নদীবাঁধ ভেঙে এড়িয়াখালি, বৈষ্ণবচক সহ কয়েকটি গ্রামে জল ঢুকেছিল। জলমগ্ন হয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। কিছুদিন আগে অশনি ঝড় আসার পূর্বে কোটালের সময় থেকেই নদী বাঁধে ফাটল ধরতে শুরু হয়েছিল।পাঁচ-সাতদিনের মধ্যেই তা বড় আকার নিয়েছে। তাঁদের আশঙ্কা, অমাবস্যা কোটালের আগে সপ্তাহখানেকের মধ্যে বাঁধ মেরামতি না হলে বড়সড় বিপদ ঘটবে। কিছুদিন আগে গ্রামের মানুষজন উদ্যোগী হয়ে স্থানীয় ইটভাটা থেকে ভাঙা ইট ফেলে মেরামতির চেষ্টা করলেও তা কার্যত ধসে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই গ্রামবাসীরা বাঁধের ছবি ও ভিডিওগ্রাফি করে সেচদপ্তরের এসডিওকে পাঠিয়েছে।সেচদপ্তর বাঁধ মেরামতির আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু যতসময় না বাঁধ মেরামত করা হয় দুঃচিন্তায় দিন কাটাতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।এবিষয়ে সেচ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন নদী বাঁধ ফাটলের খবর পেয়েছি,ক্ষতিগ্ৰস্থ বাঁধ দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করবো।
No comments