Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

জরাজীর্ণ ক্লাসরুম, খসে পড়ছে টালির ছাদ মেরামতের দাবিতে রাস্তা অবরোধ পড়ুয়াদের

জরাজীর্ণ ক্লাসরুম, খসে পড়ছে টালির ছাদ মেরামতের দাবিতে রাস্তা অবরোধ পড়ুয়াদের।    সকালে স্কুলে না গিয়ে স্কুলের পোশাকেই রাস্তার উপর বসে পড়ল প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়ারা। ঘটনাটি নন্দকুমার থানার অন্তর্গত চক বহিচবেড়িয়া গ্রামের। চক…

 




জরাজীর্ণ ক্লাসরুম, খসে পড়ছে টালির ছাদ মেরামতের দাবিতে রাস্তা অবরোধ পড়ুয়াদের। 

   সকালে স্কুলে না গিয়ে স্কুলের পোশাকেই রাস্তার উপর বসে পড়ল প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়ারা। ঘটনাটি নন্দকুমার থানার অন্তর্গত চক বহিচবেড়িয়া গ্রামের। চক বহিচবেড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলের ক্লাস রুমে না গিয়ে ট্যাংরাখালি মেছাদা রাজ্য সড়কের উপর বসে পড়ে।  সঙ্গ দেয় অভিভাবকেরা। চক বহিচবেড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটি দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস বসছে প্রতিদিন। কিন্তু মাঝেমধ্যেই স্কুলের টালির ছাদ থেকে টালি খুলে পড়ছে ছাত্র-ছাত্রীদের মাথায়। টালি খুলে পড়ায় চার পাঁচ জন ছাত্র-ছাত্রী এপর্যন্ত অসুস্থ হয়েছে। বর্তমানে ওই স্কুলে দেড়শ জনের বেশি ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। স্কুলের বিল্ডিং মেরামতি ও পাকা ছাদের দাবিতে ২১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল সাতটা থেকে পথ অবরোধ করে ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকেরা। তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে পথ অবরোধ। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় নন্দকুমার থানার পুলিশ। অবরোধ তুলতে গেলে প্রাথমিকভাবে জনরোষের মুখে পড়ে পুলিশ। পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকেরা। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছ থেকে জানা যায়, আম্ফান ঝড়ের পরবর্তী সময় থেকেই স্কুল বিল্ডিং এর এই বেহাল অবস্থা। জানানো হয়েছে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে। সবকিছু খতিয়ে দেখে যায় শিক্ষা দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারের। কিন্তু তারপরও স্কুল বিল্ডিং মেরামতের জন্য আর্থিক অনুমোদন পাওয়া যায়নি। স্থানীয় অভিভাবকদের কথায়, রাজ্য সরকার রাজ্যজুড়ে উন্নয়নের জন্য একাধিক প্রকল্প গ্রহণ করেছে। তার পরেও স্কুল বিল্ডিং এর এই বেহাল অবস্থা কেন! যদিও এই প্রশ্নের উত্তর তাদের জানা নেই। অভিবাবকরা কার্যত হুঁশিয়ারি সুরে জানায় এক সপ্তাহের মধ্যে স্কুল বিল্ডিং এর মেরামতির কাজ শুরু না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে তারা। এমনকি এই এক সপ্তাহ তাদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

No comments