দিঘার সমুদ্র দেখানোর নাম করে উচ্চ মাধ্যমিক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ বন্ধুর বিরুদ্ধে

দিঘার সমুদ্র দেখানোর নাম করে উচ্চ মাধ্যমিক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ বন্ধুর বিরুদ্ধে সম্প্রতি রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে ধর্ষণের অভিযোগ সামনে এসেছে। হাঁসখালি থেকে নামখানা একের পর এক রাজ্যে ধর্ষিতা হচ্ছে মহিলারা। এবার সৈকত নগরী দিঘার…

 

দিঘার সমুদ্র দেখানোর নাম করে উচ্চ মাধ্যমিক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ বন্ধুর বিরুদ্ধে

 সম্প্রতি রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে ধর্ষণের অভিযোগ সামনে এসেছে। হাঁসখালি থেকে নামখানা একের পর এক রাজ্যে ধর্ষিতা হচ্ছে মহিলারা। এবার সৈকত নগরী দিঘার সমুদ্র দেখানোর নাম করে হোটেলে নিয়ে গিয়ে নাবালিকা উচ্চ মাধ্যমিক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল বন্ধুর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি থানার পদ্মপুকুরিয়া এলাকায়।

স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে মারিশদা থানার বলাগেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা রাজীব কামিলার সঙ্গে কাঁথির পদ্মপুকুরিয়া এলাকায় উচ্চমাধ্যমিক ছাত্রীর ফেসবুকে আলাপ হয়। এরপর বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে দুজনের মধ্যে। এদিকে আবার রাজীব কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে থাকত। ওই বছরই নভেম্বর মাসে বাড়িতে ফিরে রাজীব। এরপর উচ্চমাধ্যমিক ছাত্রী তথা বান্ধবীকে দিঘার সমুদ্র দেখানোর প্রতিশ্রুতি দেয় সে। সেইমত, জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে পরিবারের সদস্যদের কোন কিছু না জানিয়ে রাজীবের সঙ্গে দিঘা রওনা দেয় ওই ছাত্রী। এরপর ওই নাবালিকা ছাত্রীকে একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এমনকি হুমকি দেওয়া হয় এই কথা কাউকে জানালে  প্রাণে মেরে ফেলা হবে।

প্রথমে ওই নাবালিকা ছাত্রী পরিবারের সদস্যদের কিছু না জানালেও পরে ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর পরিবারের সদস্যদের সব কথা খুলে জানায়। সুবিচারের আশায় গত ১৯ শে জানুয়ারি কাঁথি মহিলা থানায় অভিযুক্ত বন্ধুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়। অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসে কাঁথি মহিলা থানার পুলিশ। এদিকে, ঘটনার পরই অভিযুক্ত রাজীব এলাকা ছেড়ে আত্মগোপন করে। 

মঙ্গলবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বাড়ি থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার অভিযুক্তকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তার জামিন নাকচ করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেন। অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩৬৩, ৩৭৬ (১) ও পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনায় তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

কাঁথি মহিলা থানার ওসি অষ্টমী সাহু বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরোও ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রেম সম্পর্ক রয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও তদন্তের কারণে বেশি কিছু তথ্য জানাতে রাজি হননি তিনি।’ যদিও গ্রেফতার যুবক ও পরিবারের সদস্যদের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। অভিযুক্ত যুবকের শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন নাবালিকা সহ তার পরিবারের সদস্যরা।