Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য রুখতে ইয়ার্ড ঘিরছে বন্দর কর্তৃপক্ষ

দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য রুখতে  ইয়ার্ড ঘিরছে বন্দর কর্তৃপক্ষ

 কোটি কোটি টাকার পণ্য চুরি রুখতে উঁচু পাঁচিল তুলে জেনারেল মার্শালিং (জিএম) রেল ইয়ার্ড ঘিরে ফেলার কাজ শুরু করল হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ। এজন্য খরচ হচ্ছে প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টা…

 


দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য রুখতে  ইয়ার্ড ঘিরছে বন্দর কর্তৃপক্ষ



 কোটি কোটি টাকার পণ্য চুরি রুখতে উঁচু পাঁচিল তুলে জেনারেল মার্শালিং (জিএম) রেল ইয়ার্ড ঘিরে ফেলার কাজ শুরু করল হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ। এজন্য খরচ হচ্ছে প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা।

 বিজ্ঞাপন- কাজের খবর


বন্দরে পণ্যবাহী ট্রেন যাতায়াতের পথে দুর্গাচক ও আইওসি সংলগ্ন এই ইয়ার্ডে এসে দাঁড়ায়। পণ্যবাহী এই ট্রেনগুলিকে রেলের পরিভাষায় বলা হয় রেক। রেকে কী ধরনের পণ্য বোঝাই রয়েছে তা সটিং বা বাছাই করার পর বন্দরমুখী বিশেষ ট্র্যাকে সেটি চালিত করা হয়। বন্দরের নিজস্ব পাইলট ইঞ্জিন করে এসে পণ্যবাহী রেক ট্রেনে নিয়ে যায় বিভিন্ন বার্থে। তারপর সেই পণ্য স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে জাহাজে বোঝাই হয়। একইভাবে জাহাজ থেকে পণ্য নামিয়ে তা রেকে বোঝাই করে অন্যত্র পাঠানোর (ডেসপ্যাচিং) আগে মার্শালিং ইয়ার্ডে এসে দাঁড়ায়। কয়লা, এলপিজি, পেট্রল, ডিজেল, দামি যন্ত্রাংশ সহ বিভিন্ন ধরনের পণ্যবাহী রেকগুলিকে বন্দরে ঢোকা বা বেরনোর সময় দীর্ঘক্ষণ দাঁড়তে হয় জিএম ইয়ার্ডে।


বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হলদিয়া বন্দরে রেলপথের মাধ্যমে বছরে ২২-২৩ মিলিয়ন বা ২ কোটি টনের বেশি পণ্য পরিবহন করা হয়। অর্থাৎ বন্দরে যে পরিমাণ পণ্য আমদানি রপ্তানি হয় তার ৫০ শতাংশ রেলপথে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত করে। বন্দর এলাকায় পণ্য আসার পর তার সুরক্ষার দায়িত্ব বন্দর কর্তৃপক্ষের। জিএম ইয়ার্ড বা সান্টিং ইয়ার্ডটি বন্দর এলাকার বাইরে হওয়ায়।

দিন দিন চুরির ঘটনা বেড়ে চলেছে। সেজন্য জিএম ইয়ার্ডে পণ্যের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য বন্দে সংরক্ষিত এলাকার আওতায় আনতে ঘিরে ফেলা হচ্ছে। দুর্গাচক এসবিআই রেলক্রশিং সংলগ্ন এইচ কেবিন থেকে আইওসি মেন গেট সংলগ্ন পিসিসি লেভেল ক্রশিং পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ জিএম রেল ইয়ার্ড ঘিরে হচ্ছে। এই ইয়ার্ডে রেক রিসিভিং, সর্টিং, ডেসপ্যাচিংয়ের জন্য স্বয়ংক্রিয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা রয়েছে।

অভিযোগ, বিস্তীর্ণ ইয়ার্ডের দু'পাশ ফাঁকা হওয়ায় সিআইএসএফের নজরদারিতে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ব্যাপকহারে কোকিংকোল চুরি হয়। চুরি হওয়া কয়লা কেনাবেচার বড় চক্র গড়ে উঠেছে দীর্ঘদিন ধরে। দুষ্কৃতীদের দাপটে ইয়ার্ডের দামি মেশিন, ফ্লাড লাইট, রেলের পাত দিন দিন উধাও হয়ে যাচ্ছে। লাইট খুলে নিয়ে ইয়ার্ডকে অন্ধকার করে চলে চুরি। বন্দরের এইচ কেবিন যেখান থেকে ইয়ার্ডের সিগন্যালিং সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ করা হয়, তা কার্যত দুষ্কৃতীদের দখলে। ফলে ট্রেনকে যেখানে খুশি দাঁড় করিয়ে চলে দেদার লুঠ। এই লুঠ ঠেকাতে ২০১৫ সাল থেকে পাঁচিল তোলার পরিকল্পনা করে বন্দর। বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) প্রভীনকুমার দাস বলেন, জিএম ইয়ার্ডকে বন্দরের সংরক্ষিত এলাকার আওতায় আনতে ৭.৩২ কোটি টাকা খরচে ঘিরে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। ওই এলাকায় বেশ কিছু বেআইনি ঝুপড়ি রয়েছে তা সরানোর জন্য জেলা প্রশাসনের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

No comments