ভবানীপুর থানা পুলিশের বড় সাফল্য হলদিয়ার ভবানীপুর থানা এলাকায় খুন হওয়া মহিলা হলেন ভগবানপুরের গৃহবধূ ...
গত ২০ এপ্রিল বুধবার থেকে নিখোঁজ মেয়ের রক্তাক্ত মৃতদেহের ছবি মোবাইলে দেখে মঙ্গলবার বিকেলে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মা। ভগবানপু…
ভবানীপুর থানা পুলিশের বড় সাফল্য হলদিয়ার ভবানীপুর থানা এলাকায় খুন হওয়া মহিলা হলেন ভগবানপুরের গৃহবধূ ...
গত ২০ এপ্রিল বুধবার থেকে নিখোঁজ মেয়ের রক্তাক্ত মৃতদেহের ছবি মোবাইলে দেখে মঙ্গলবার বিকেলে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মা। ভগবানপুর থানার মনিরামচক গ্রামের ছবি। মেয়ে টুম্পার জন্য অঝোর নয়নে কেঁদে চলেছেন মা দিপালী ঘোষ। এ ছবি টুম্পার বাবার বাড়ির। আর ভগবানপুর থানার কোটলাউড়ী গ্রামে টুম্পার তালাবন্ধ শ্বশুর বাড়ির সামনে পাড়া প্রতিবেশীর ভীড়। সবাই মোবাইল ফোনে টুম্পার রক্তাক্ত মৃতদেহের ছবি দেখতে ব্যস্ত। ২০ এপ্রিল বুধবার থেকে টুম্পা বাড়িতে নেই। বৌ কে খুঁজতে সেই যে বেরিয়েছে স্বামী কৃষ্ণশংকর দত্ত এখনও বাড়ি ফেরেনি। স্বামী-স্ত্রীর সংসার। এ কি হল ! বলছেন প্রতিবেশীরা?
হলদিয়ায় এক গৃহবধূকে নৃশংসভাবে খুন করা হয় গত ২০ এপ্রিল বুধবার রাতে। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ হলদিয়ার ভবানীপুর থানা এলাকার বাঁশখানা গ্রামে হলদি নদীর পাড়ে সাধনা ইটভাটার সংলগ্ন সোনামুখী ঢালাই রাস্তার উপর এক মৃতদেহ দেখতে পায় পথচলতি মানুষজন। গলার নলি কেটে খুন করায় রক্তে ভেসে যায় পুরো কংক্রিটের রাস্তা। খুন হওয়া গৃহবধূর পরনে ছিল নীলাভ রঙের শাড়ি, লাল ব্লাউজ, হাতে শাঁখা। গায়ের রং ফর্সা।
২৬ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে জানা গেল, খুন হওয়া গৃহবধূর নাম টুম্পা দত্ত। বয়স ৩৪ বছর। বাড়ি ভগবানপুর। এলাকার গৃহবধূর হলদিয়ায় খুন হওয়ার খবর জানাজানি হতেই মঙ্গলবার বিকেল থেকে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভগবানপুরে।হলদিয়ার ভবানীপুর থানার বাঁশখানা জালপাই এলাকায় এক বিবাহিত মহিলার খুনের ঘটনায় গ্রেফতার খুনি। খুনের মূল অভিযুক্ত পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা। খুনের দীর্ঘ ৬ দিন পরে পুলিশের জালে সঞ্জয় মান্না। মৃত মহিলার নাম টুম্পা দত্ত (৩৪)।খুনির বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং এলাকায় কোকনাগুড়ি গ্রামের বাসিন্দা। ভবানীপুর থানা ও ভগবানপুর থানা যৌথ প্রচেষ্টায় খুনিকে জালে আয়ত্ত করে। খুনের পর কয়েকদিন কেটে যাওয়ার পর ভবানীপুর থানার পুলিশ ওই মহিলার ছবি বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ করে। অবশেষে পুলিশের জালে খুনি।
জানা যায়, গত দু'বছর ধরে ওই মহিলার সাথে অবৈধ প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সঞ্জয় মান্না। অবশেষে টুম্পা সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাইলে সঞ্জয় মানতে নারাজ। এক ফাঁকা জায়গায় নিয়ে এসে তাকে জোর করে। তাতেও না রাজি হলে পেছন থেকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে তার গলায়। মহিলাটি রক্তাক্ত অবস্থা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাতে হলদিয়ার ভবানীপুর থানার বাঁশখানা জালপাই এলাকায় এক বিবাহিত মহিলার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল। এদি সাড়ে ৮টা নাগাদ হলদি নদী পাড়ের পাকা সড়কের কাছে মহিলার দেহ উপুড় অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন পথচারীরা। স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস। প্রাথমিক তদন্তে এটি খুনের ঘটনা বলে পুলিসের সন্দেহ। ওই এলাকাতেই মহিলার গলায় কেউ ধারালো অস্ত্র চালিয়ে খুন করেছে। ফলে ঘটনাস্থ রক্তে ভেসে যাচ্ছিল বলে জানান হলদিয়ার বাসিন্দারা । খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান হলদিয়ার অতিরিক্ত পুলিস সুপার পার্থ ঘোষ ও ভবানীপুর থানার ওসি। দীর্ঘ ৬ দিন ধরে পুলিশ প্রশাসন বিভিন্ন জায়গায় তদন্ত করে খুনিকে ধরে ফেলে। জেলা পুলিশের সহযোগিতায় ভবানীপুর থানা এবং ভগবানপুর থানার বড় সাফল্য। সঞ্জয় মান্নাকে গ্রেফতার করল ২৬ এপ্রিল রাত্রি ৯- ৪০ মিনিটে ভবানীপুর থানায় নিয়ে আসা হলো সঞ্জয় মান্না কে। আগামীকাল হলদিয়া মহকুমা আদালতে তোলা হবে সঞ্জয় কে।
No comments