খুঁটি পূজা সুচনা করেন বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী
মহিষাদল প্রেসকর্নার উদ্যোগে বসন্ত উৎসবের খুঁটি পূজা সুচনা করেন বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী
মহিষাদল প্রেসকর্নার উদ্যোগে বসন্ত উৎসবের খুঁটি পূজা
খুঁটি পুজোর মধ্যদিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষ…
খুঁটি পূজা সুচনা করেন বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী
মহিষাদল প্রেসকর্নার উদ্যোগে বসন্ত উৎসবের খুঁটি পূজা সুচনা করেন বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী
মহিষাদল প্রেসকর্নার উদ্যোগে বসন্ত উৎসবের খুঁটি পূজা
খুঁটি পুজোর মধ্যদিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদল প্রেস কর্নারের ১৩ বছর বর্ষে " বসন্ত উৎসব-২০২২ শুভ সূচনা হলো।
এদিন মহিষদল রাজবাড়ী আম্রকুঞ্জে নাচ ও গানের মধ্যদিয়ে বসন্ত উৎসবের শুভ সূচনা ঘটে।
মহিষাদলের বিধায়ক তিলক কুমার চক্রবর্তী ও সংস্থা সভাপতি সুব্রত চক্রবর্তী নারকেল ফাঁটিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবী ছবিলাল মাইতি, সম্পাদক সঞ্জীব দোবে, কোষাধ্যক্ষ ভোলানাথ বিজলী সহ অন্যান্যরা। দোল মানেই এতদিন শান্তিনিকেতনকে বুঝতেন।
নৃত্য পরিবেশন ইরুপা বারিক,ইপ্তৃষা বারিক, অদিতি ব্যানাজী, সংসারী মাল।
দোলযাত্রা একটি সনাতনহিন্দু বৈষ্ণব উৎসব। বহির্বঙ্গে পালিত হোলি উৎসবটির সঙ্গে দোলযাত্রা উৎসবটি সম্পর্কযুক্ত।এই উৎসবের অপর নাম বসন্ত উৎসব।ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দোল যাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
বৈষ্ণব ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, ফাল্গুনী পূর্ণিমা বা দোলপূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবির বা গুলাল নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য গোপীগণের সঙ্গে রং খেলায় মেতেছিলেন। সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি হয়। দোলযাত্রার দিন সকালে তাই রাধা ও কৃষ্ণের বিগ্রহ আবির ও গুলালে স্নাত করে দোলায় চড়িয়ে কীর্তনগান সহকারে শোভাযাত্রায় বের করা হয়। এরপর ভক্তেরা আবির ও গুলাল নিয়ে পরস্পর রং খেলেন। দোল উৎসবের অনুষঙ্গে ফাল্গুনী পূর্ণিমাকে দোলপূর্ণিমা বলা হয়। আবার এই পূর্ণিমা তিথিতেই চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্ম বলে একে গৌরপূর্ণিমা নামেও অভিহিত করা হয়।
দোলযাত্রা উৎসবের একটি ধর্মনিরপেক্ষ দিকও রয়েছে। এই দিন সকাল থেকেই নারীপুরুষ নির্বিশেষে আবির, গুলাল ও বিভিন্ন প্রকার রং নিয়ে খেলায় মত্ত হয়। শান্তিনিকেতনে বিশেষ নৃত্যগীতের মাধ্যমে বসন্তোৎসব পালনের রীতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময়কাল থেকেই চলে আসছে। দোলের পূর্বদিন খড়, কাঠ, বাঁশ ইত্যাদি জ্বালিয়ে এক বিশেষ বহ্ন্যুৎসবের আয়োজন করা হয়। এই বহ্ন্যুৎসব হোলিকা দহন বা নেড়াপোড়া নামে পরিচিত। উত্তর ভারতে হোলি উৎসবটি বাংলার দোলযাত্রার পরদিন পালিত হয়।
বসন্ত উৎসব মানেই রঙের উৎসব মিলনের উৎসব ১৮ মার্চ মহিষাদল প্রেস কর্নারের উদ্যোগে এবারের বসন্ত উৎসবে রাজ্যের ও জেলার অন্যান্য এলাকা থেকে শিল্পীরা আসবেন । পূর্ব মেদিনীপুর ছাড়া হাওড়া হুগলি কলকাতা দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা থেকে আবৃত্তি নৃত্য সংগীত শিল্পী মিলে মোট ৩০৮ জন শিল্পী অংশগ্রহণ করবেন। তার মধ্যেই পুরুষ শিল্পী ৭৫ এবং মহিলা শিল্পী ২৩৩ জন রয়েছেন তাদের সঙ্গে অভিভাবকরাও আসবেন । উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের মন্ত্রী, বিধায়করা, পুলিশ প্রশাসন আধিকারিকদের একাংশ। তাদের উপস্থিতিতে প্রকাশিত হবে "আবির" স্মরণিকা ও গুণীজন সংবর্ধনা এবং সন্ধ্যায় অতিথি শিল্পীদের সমন্বয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান জানালেন সংস্থার সম্পাদক সঞ্জীব দোবে সভাপতি সুব্রত চক্রবর্তী কোষাধ্যক্ষ ভোলানাথ বিজলী এবং মহিষাদল প্রেসকর্নারের অন্যান্য সদস্য সদস্যা বৃন্দ।
No comments