Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

রাত পোহালেই শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা

রাত পোহালেই শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। মোট ১১ লক্ষ ২ হাজার ৮৬৩ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় বসার জন্য নথিভুক্ত হয়েছে বলে শনিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে জানান মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। এই সংখ্যা এখনও পর্যন্ত রেকর্ড…

 



রাত পোহালেই শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। মোট ১১ লক্ষ ২ হাজার ৮৬৩ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় বসার জন্য নথিভুক্ত হয়েছে বলে শনিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে জানান মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। এই সংখ্যা এখনও পর্যন্ত রেকর্ড। পরীক্ষা শুরু হবে ১২টা থেকে। প্রশ্নপত্র দিয়ে দেওয়া হবে ১১টা ৪৫ মিনিটে। প্রশ্নপত্র পড়ার জন্য ১৫ মিনিট বাড়তি সময় থাকছে অন্যান্যবারের মতোই। দুপুর ৩টেয় পরীক্ষা শেষ হবে।

এবারও ছাত্রীরা সংখ্যায় (৬,২৬,৮০৪) অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে ছাত্রদের (৫,০০,০৫৯) তুলনায়। পরীক্ষার ভেন্যুও বেড়েছে একইভাবে। এবছর ৪ হাজার ১৯৪টি ভেন্যুতে পরীক্ষা হচ্ছে। ২০২০ সালে এই সংখ্যাটি ছিল ২ হাজার ৮৩৯টি। ২০২১ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়নি। পরীক্ষা না হলেও ২০২০ সালে নথিভুক্ত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০ লক্ষ ৭৯ হাজার ৬৯৯। সেটিও ছিল সর্বকালীন রেকর্ড। পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকায় বহু পরীক্ষার্থীই নাম নথিভুক্ত করে রেখেছিল। পর্ষদের এক কর্তা বলেন, এবারও অনেকে ভেবেছিল পরীক্ষা হবে না। আগেরবারের মতোই বিনা পরীক্ষায় পাশ করে যাওয়া যাবে। সেই কারণেই পুরনো অনেক পরীক্ষার্থী নাম নথিভুক্ত করেছে বলে আমার ধারণা। আর এতেই রেকর্ড ভেঙেছে। এদের মধ্যে কতজন পরীক্ষায় বসে, সেটাই দেখার।

পর্ষদ সূত্রে খবর, এনরোলমেন্ট করা প্রার্থীর সংখ্যার চেয়ে রেজিস্ট্রেশন করা ছাত্রছাত্রীর সংখ্যায় ৫০ হাজারেরও বেশি ফারাক রয়েছে। এরা শেষ মুহূর্তে এনরোলমেন্ট ফর্ম পূরণ করতে পারেনি। কেউ ভিন রাজ্যে গিয়েছিল। কেউ স্কুল বন্ধ থাকায়, মোবাইল ফোনের অভাবে খবর পায়নি। কেউ আবার অসুস্থ থাকার কথাও জানিয়েছে। এই ফারাক হওয়ার প্রধান কারণ করোনা। তবে, এদের আর পরীক্ষায় বসানোর সম্ভাবনা নেই বলে সাফ জানিয়েছেন কল্যাণময়বাবু। রেজিস্ট্রেশনের সংখ্যা কত, সেই প্রশ্ন তিনি এড়িয়ে গেলেও জানিয়েছেন, ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত এনরোলমেন্টের শেষ সময়সীমা ছিল। ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত লেট ফাইন সহ এনরোলমেন্ট করা হয়েছে। এর পরেও ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যারা এসেছে তাদেরও এনরোলমেন্টের সুযোগ দেওয়া হয়েছে বলে তাঁর দাবি। এবার পাল্লা দিয়ে পরীক্ষকের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। ২০২০ সালে যে সংখ্যা ছিল ৫০ হাজার ৫৫৮, এবছর তা বেড়ে হয়েছে ৫৩ হাজার ১৭৩। তবে, প্রধান পরীক্ষকের সংখ্যা ২০২০ সালের চেয়ে ৫৪ জন কমে হয়েছে ১ হাজার ৪৯৪।

উপদ্রুত ব্লকগুলিতে পরীক্ষা চলাকালীন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি। তবে, এটা পুরোপুরি প্রশাসনের ব্যাপার বলে এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা তিনি এড়িয়ে গিয়েছেন।

No comments